আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস
আজ ২৬ মার্চ। বাঙালির গৌরবদীপ্ত দিন–মহান স্বাধীনতা দিবস। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ২৫ মার্চ মধ্যরাতের আগে পাকিস্তানিরা শুরু করে গণহত্যা। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।’ সেই ঘোষণার পরেই নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের সিঁড়ি বেয়ে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে বাংলাদেশ। বায়ান্ন পেরিয়ে চুয়ান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টির পথ বেয়ে আসে ১৯৬৯। প্রবল গণ-অভ্যুত্থানে কেঁপে ওঠে তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুবের মসনদ। ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো-বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গ্রাম-শহর, জনপদ। বাঙালির ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করতে না পেরে ১৯৭০ সালে নির্বাচন দেয় সরকার। ষড়যন্ত্র ও সামরিক জান্তার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্তরের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাঙালির হাতে শাসনভার দেয়ার বদলে পর্দার আড়ালে প্রস্তুত হয় বাঙালি হত্যাযজ্ঞের ‘নীলনকশা’। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হামলে পড়ে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল, রোকেয়া হল, পিলখানার ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, ইপিআর সদর দপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে একযোগে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে হত্যা করে নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক মানুষদের। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান—‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’ যা প্রথমে ইপিআরের ওয়্যারলেস মাধ্যমে প্রচারিত হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সময় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবেন দলের নেতা-কর্মীরা। দিবসটি উদযাপনে রাষ্ট্রীয়ভাবে কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আজ | মহান | স্বাধীনতা | দিবস