আইন-বিচার
সাঁওতালপল্লীতে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ ওই গণশুনানিতে অংশ নেন।
শনিবার (১ এপ্রিল) উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের সাঁওতালপল্লী আদমপুর লুথারেণ গির্জা প্রাঙ্গণে এ গণশুনানি অনুষ্ঠত হয়। গাইবান্ধা জেলা আইন সহায়তা কমিটির উদ্যোগে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনছুর মিঞা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হাসান সিদ্দিকী। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন, গাইবান্ধা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক ভিএসএম আলমীর, সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহা ও কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জোবায়ের মাহমুদ গোলাপ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনছুর মিঞা আদিবাসীদের সমস্যার কথা শুনেন এবং বিনামূল্যে সরকারি আইনি সহায়তা বিষয়ে তুলে ধরেন। এসময় আদিবাসীদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
আদিবাসী নেতা ডা. ফিলিমন বাস্কে, গৌর পাহাড়ী, ব্রিটিশ সরেন, রুসেন কিসকু ও এমিলী হেমব্রম বলেন, একটি কুচক্রি মহল সব সময় আদিবাসীদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করে থাকেন। বিশেষ করে আদিবাসীরা জমি-জমা নিয়ে হয়রানীসহ নানাভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকেন। এছাড়াও আদিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উপস্থাপন করেন তারা।
আইন-বিচার
ভোক্তা অধিদপ্তরের তৎপরতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে তনির রিট
‘সানভীস বাই তনি’র স্বত্বাধিকারী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তৎপরতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। রিটে সানবিসকে কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়ে এবং শুনানি না করে ভোক্তা অধিকার হয়রানি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তনি। একই সঙ্গে ভোক্তা অধিকারের নামে শুধু টাকা দেয়ার রশিদ দিয়ে এবং কোনো প্রকার দালিলিক প্রমাণ না দিয়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে, যা অবৈধ ও বেআইনি বলে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে রিটে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করা হয়েছে বলে শনিবার (২৫ মে) রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
রিট পিটিশন থেকে জানা গেছে, গত ১৪ মে সানবিসকে দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন সানবিস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর ৩ এপ্রিল ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। পরে ১২ মে সানবিসের প্রধান শোরুমে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করে দেন সহকারী পরিচালক জব্বার মন্ডল।
রিটে বলা হয়, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৬০ ধারা অনুযায়ী অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হয় ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে। কিন্তু লুবনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেছেন ৫৩ দিন পর। ফলে তিনি অভিযোগ আমলে নেওয়ার বৈধতা হারিয়েছেন। এই ৫৩ দিন তিনি ওই কাপড় ব্যবহার করে নষ্ট করেছেন কি না সেটিও নিশ্চিত নয় কেউ। কিন্তু এমন অবৈধ অভিযোগ আমলে নিয়ে ৪৫ ধরা মতে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় সানবিসকে। এমন অবৈধ অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান আইনের প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন তনির পক্ষে রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন।
অন্যদিকে মিথ্যা বিজ্ঞাপনের অভিযোগে ৪৪ ধারায় সানবিসকে দ্বিতীয় জরিমানা (দুই লাখ টাকা) করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। দ্বিতীয় জরিমানার টাকা আদায়ের রশিদে অভিযোগকারী হিসেবে রাজু নামের এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু রাজু নামে কোনো ব্যক্তি সানবিসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। এমনকি এই অভিযোগের বিষয়ে সানবিসকে কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি বা শুনানিও হয়নি।
প্রসঙ্গত, লুবনা ইয়াসমিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সানবিসের মালিক তনিকে তলব করেন ইন্দ্রানী রানি। তিনি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা। কিন্তু সেই তলবের শুনানিতে অযাচিতভাবে হাজির হন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং ভুয়া অভিযোগকারীর নামে নোটিশ বা শুনানি ছাড়াই বেআইনিভাবে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এএম/
আইন-বিচার
টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা ৪০ হাজার ডলার উদ্ধার
ঢাকা থেকে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার চুরি করে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চোরের। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা পুলিশ ওই চোরকে আটক করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া ডলার। (৪০ হাজার ডলার) যা বাংলা টাকায় প্রায় ৪৭ লাখ টাকা।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া ডলারসহ ওই চোর তামিমকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মেহেদী হাসান তামিম(২৭) ভাঙ্গা পৌরসভার রায়পাড়া সদরদী গ্রামের মৃত আলতাফ কাজীর ছেলে ।
তামিমের দেয়া তথ্যমতে, তার বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে ডলারগুলো উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একটি চুরি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এসআই মনির হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, মেহেদী হাসান তামিম ঢাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন। গেলো ২২ মে বসুন্ধরা গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার এস এম তৌহিদুজ্জামানের বাসায় বিদ্যুতের কাজ করতে যায় তামিম। ইঞ্জিনিয়ারের ছোট ভাই অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তাকে পাঠানোর জন্য বাসায় রাখা ছিল ৪০ হাজার (ইউএস) ডলার। যা বাংলা টাকায় প্রায় ৪৭ লাখ টাকা।’
তামিম কাজ করার ফাঁকে কৌশলে ৪০ হাজার ডলার নিয়ে গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গায় পালিয়ে আসেন। পরে তৌহিদুজ্জামানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে তামিমের বাড়ি রায়পাড়া অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান তামিমকে আটক করা হয়।
তার দেয়া তথ্যমতে বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ৩৬ হাজার ২০০ ডলার উদ্ধার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এএম/
আইন-বিচার
এমপি আজীম হত্যার বিচার বাংলাদেশেই হবে : রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী
আইনগত দিক বিবেচনা করে আজীম হত্যার বিচার বিচার এখানেই হবে। যে দেশের নাগরিক, সেদেশে বিচার হবে। তবে ভারতেও তদন্ত হবে। বললেন, এমপি আজীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার দুলাল।
শুক্রবার ((২৪ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টের সামনে এ কথা বলেন এ আইনজীবী সাত্তার।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামিকে আদালতে তোলার পর। আদালত শুনানি শেষে ৩ আসামিকে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিন আসামি শিমুল ভূইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইয়া ওরফে আমানুল্যা সাইদ, তানভীর ভূইয়া ও শিলাস্তি রহমান। প্রত্যেক আসামির জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত প্রত্যেকের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজীমের কন্যা অপহরণের মামলা দায়ের করলেও এটি হত্যাকাণ্ডের মামলা হবে কি না এমন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, হত্যার রহস্য যখন উন্মোচন হবে তখনই এ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। বর্তমানে এটি অপহরণ মামলাই আছে।
প্রসঙ্গত, আদালতে আসামিপক্ষের কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। অন্য দুই আসামি কোন কথা না বললেও। শিলাস্তি রহমান তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হল সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে আদালতকে জানান।
আই/এ
-
অপরাধ3 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়6 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
আইন-বিচার7 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
-
অপরাধ7 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
-
বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
টুকিটাকি3 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
ঢাকা5 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
-
অপরাধ3 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন