Connect with us

আন্তর্জাতিক

টর্নেডোতে লন্ডভন্ড যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্য, মৃত বেড়ে ৩২

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এবং মধ্যপশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দফা টর্নেডোর আঘাতে এখন পর্যন্ত ৩২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এতে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

সোমবার (৩ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে বেশ কিছু গাড়ি উল্টে গেছে, গাছ উপড়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের অধিকাংশই আরকানাসাস, টেনেসি, ইলিনয়েস, ইন্ডিয়ানা, আলাবামা ও মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের।

মেমফিস থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে ছোট শহর উইনে রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে শুক্রবারের (৩১ মার্চ) টর্নেডো। সিটি কাউন্সিলের সদস্য লিসা পাওয়েল কার্টার জানিয়েছেন, টর্নেডোর পর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে উইন। রাস্তাগুলো ধ্বংসাবশেষে পূর্ণ। তিনি বলেন, আমি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু যেতে পারছি না।

আরকানসাসের মেয়র সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। অঙ্গরাজ্যটির মধ্যাংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রতিক্রিয়ায় সহায়তার জন্য স্থানীয় ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকে সক্রিয় করেছেন তিনি।

Advertisement

আরকানসাসের রাজধানী লিটল রকের এক বাসিন্দা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, তার মনে হচিছল এটা ভয়াবহ। তিনি বলেন, আমি ১৯৮৫ সাল থেকে এখানে আছি। আমি সবকিছু ভালো ভাবেই জানি। কিন্তু এর আগে এমন কিছু দেখিনি।

শুক্র (৩১ মার্চ) ও শনিবার (১ এপ্রিল) ৬০টির বেশি টর্নেডো আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন সরকারের স্টর্ম প্রেডিকশন সেন্টার নিশ্চিত করে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ছয় লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

আন্তর্জাতিক

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর পুরুষ হয়ে গেলেন নারী!

Published

on

মুজাহিদ, ২০ বছর বয়সী এই তরুণ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখেন নারী হয়ে গেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে সার্জারির মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে দিয়েছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাটি ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। এ নিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়ন (বিকেইউ)। মনসুরপুরের বেগরাজিপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ২০ বছর বয়সী মুজাহিদ সানজাক গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ রয়েছে গত ৩ জুন ওমপ্রকাশ নামের এক ব্যক্তি তাকে প্রতারিত করেছে। ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের মুজাহিদের অস্ত্রপচার করতে রাজি করায় বলে অভিযোগ উঠেছে ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে। অস্ত্রপচারের মাধ্যমে তার পুরুষাঙ্গ (মুজাহিদের) ফেলে দিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তনের কারসারি করেন তিনি।

মুজাহিদ অভিযোগ করেন, ওমপ্রকাশ তাকে গত দুই বছর ধরে নির্যাতন এবং হুমকি দিয়ে আসছে। মুজাহিদের একটি সমস্যা রয়েছে এজন্য তার হাসপাতালে যাওয়া প্রয়োজন বলে জানায় ওমপ্রকাশ। এরপর সে ওমপ্রকাশের সঙ্গে ওই হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা তাকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তনের কাজ করে।

মুজাহিদ জানায়, ওমপ্রকাশ আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরের দিন সকালে অপারেশন করা হয়। যখন আমার জ্ঞান ফেরে তখন আমাকে বলা হয় আমি পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তর হয়েছি।

এরপর থেকেই ওমপ্রকাশ মুজাহিদকে তার সঙ্গে থাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। কারণ এ অবস্থায় মুজাহিদকে তার পরিবার মেনে নেবে না। অন্যদিকে ওমপ্রকাশ মুজাহিদের বাবার জমি দখল করে নিতে তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

Advertisement

মুজাহিদ আরও জানায়, ওমপ্রকাশ এখন আমাকে বিয়ে করার জন্য চেষ্টা করছে এবং আমার বাবার সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

এ ঘটনার পর ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়নের (বিকেইউ) নেতা শ্যাম পাল ওই মেডিকেল কলেজের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি ওমপ্রকাশ ও অস্ত্রপচারের সঙ্গে যুক্ত থাকা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে প্রদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। পুলিশ এ ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।

শ্যাম পাল বলেন, এ ঘটনা এটাই নির্দেশ করে হাসপাতালটি মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার করছে। এক্ষেত্রে হাসপাতালের একটি গোষ্ঠী কাজ করছে। যারা মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ এবং কৌশলে লিঙ্গ পরিবর্তনের মতো ভয়ঙ্কর কাজে লিপ্ত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মুজাহিদের বাবা গেল ১৬ জুন পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরই পুলিশ ওমপ্রকাশকে গ্রেপ্তার করেছে। শ্যাম পাল এ ঘটনার জন্য ২ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। কারণ এ ঘটনায় মুজাহিদের পুরো জীবন ক্ষতির মুখে পড়বে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

টানা ৩য় বার বৈশ্বিক ধনকুবেরদের সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্য আমিরাত

Published

on

টানা তৃতীয়বারের মতো বৈশ্বিক ধনকুবেরদের সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্যের তকমা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের ‘প্রাইভেট ওয়েলথ মাইক্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এই তথ্য।

প্রতিবেদনটিতে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যে দশটি শহরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কোটিপতি নিজেদের সম্পত্তি স্থানান্তর করেছেন, তার তালিকা দেওয়া আছে।

এতে বলা হয়েছে, আমিরাতে ন্যূনতম ১০ লাখ ডলারের সম্পত্তি কিনেছেন বা দেশটির ব্যাংকে রেখেছেন— চলতি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এমন ধনীদের সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজারে পৌঁছেছে, যা রীতিমতো রেকর্ড। এর আগে কোনো বছর বিশ্বজুড়ে এত সংখ্যক ধনী আমিরাতে তাদের সম্পদ স্থানান্তর করেননি।

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যে গতিতে বৈশ্বিক ধনীরা আমিরাতে তাদের অর্থ-সম্পদ স্থানান্তর করছেন, তাতে বছর শেষ হওয়ার আগেই ১ লাখ ২৮ হাজারের সঙ্গে আরও যোগ হবেন অন্তত ৬ হাজার ৭০০ জন।

Advertisement

আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ থেকে তথ্য নিয়ে ‘প্রাইভেট ওয়েলথ মাইক্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। গত বছরও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। সেই প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দুবাইয়ে নিজেদের সম্পত্তি স্থানান্তর করেছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার বৈশ্বিক কোটিপতি।

নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ এবং হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের মোট ১০টি দেশে সম্পদ স্থানান্তর করেছেন অধিকাংশ ধনকুবের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এই তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র (২য়), সিঙ্গাপুর (৩য়), কানাডা (৪র্থ), অস্ট্রেলিয়া (৫ম), ইতালি (৬ষ্ঠ), সুইজারল্যান্ড (৭ম), গ্রিস (৮ম), পর্তুগাল (৯ম) এবং জাপান (১০ম)।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

পুতিন এখন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র ভিয়েতনামে

Published

on

ফাইল ছবি

উত্তর কোরিয়ার পর কমিউনিস্ট শাসিত রাষ্ট্র ভিয়েতনামে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোররাতে তিনি দেশটির রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছান। বিমানবন্দরে পুতিকে স্বাগত জানান, দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী চান হোং হা। এসময়  ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কূটনীতিক লে হাই চুং উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।

দুদিনের এ সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নেয়ন ফু চং, প্রেসিডেন্ট তো লাম ও প্রধানমন্ত্রী ফাম মিং চিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পুতিন ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠাতা নেতা হো চি মিনের সমাধিও পরিদর্শন করবেন।

অতীতে কমিউনিস্ট শাসনের সময় থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে ভিয়েতনামের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। শীতল যুদ্ধের সময় ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির অনেক কর্মী সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়তে যেতো। দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান প্রধান নেয়ন ফুচংও রাশিয়ায় গিয়ে পড়েছেন।

বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম একটি নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা করেনি ভিয়েতনাম। পশ্চিমা দেশগুলো হ্যানয়ের এ অবস্থানকে ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করে।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version