অর্থনীতি
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.২ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক
চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৬.২ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৫০ শতাংশ হওয়ার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদায়েল সেক। এ সময় অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনসহ সংস্থাটির ঢাকা অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে পড়েছে। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, রাজস্ব ঘাটতি এই চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিশ্বের দেশগুলোকে প্রভাবিত করেছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সংস্কারে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশে পণ্যের উচ্চমূল্য মূল্যস্ফীতির চাপে অবদান রেখেছে। ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ঘাটতি চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৭.২ বিলিয়নে পৌঁছেছে। যা ২০২২ সালে ছিল ৫.৩ বিলিয়ন। যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ তৈরি করেছে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, অভ্যন্তরীণ থেকে উচ্চতর অর্থায়নের ফলে আর্থিক ঘাটতি ২০২৩ সালে বিস্তৃত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে নিয়ে মূল্যায়ন করেছে। সেখানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ বাংলাদেশকে ঋণ সংকটের কম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানায়। বিশেষ করে রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উন্নতি বাংলাদেশের অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে বলেও উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রায় ৮৩ শতাংশ যোগান হচ্ছে। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে এ দেশের রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার উন্নতি করতে হবে।
অর্থনীতি
বেগুনের কেজি ১২০, মুরগির দাম ৪২০
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে লাউ ও ঢ্যাঁড়স ব্যতীত কোনো সবজিই ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০-১২০ টাকা। মাছ-মাংস, ডিম, সবজি ও মসলাসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম চড়া। দাম বাড়তে থাকলে সবজি কেনা অসাধ্য হয়ে যাবে বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (১০ মে) রাজধানী ও এর আশেপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গেলো সপ্তাহে প্রতি কেজি ৫০ টাকার পটল, আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া, বরবটি ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, ঝিঁঙে ৬০ টাকা, এক ফালি মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ১০০-১২০ টাকা, কচুমুখি ১৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, প্রতি পিস চাল কুমড়া ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ১২০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ টাকা ও প্রতি পিস বাঁধা কপি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। এর প্রভাবে দাম বাড়ছে।
রায়ের বাজারের সবজি বিক্রেতা রমিজ মিয়া জানান, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় কৃষক তেমন সবজি উৎপাদন করতে না পারায় ঢাকায় সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে সবজির দাম বেড়েছে।
সবজি ক্রেতা রহমতুল্লাহ জানান, সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে, কিনে খাওয়াই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেবল লাউয়ের দাম কিছুটা কম। তাছাড়া, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেগুন না কি মানুষ খায় না, অথচ সেই বেগুনও ১০০-১২০ টাকা কেজি। যারা নিম্নআয়ের মানুষ,তাঁরা এমন চলতে থাকলে কোনো সবজিই আর কিনে খেতে পারবে না।
স্বস্তি নেই মাছের বাজারে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বড় সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ২০০০ টাকা এবং ছোট ৭০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগ মাছ বাজারে বিক্রেতা তুহিন বলেন, এক মাস আগের চেয়ে প্রতিটি মাছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। এতে তাঁদের বেচাকেনা কমেছে। ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে। আরতে মাছ নাই। যা পান, তা চড়া দাম। ক্রেতারা নিচ্ছেন না।
মাংসের স্বাদ পেতেও ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৪০০-৪২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালী মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৮০ টাকা।
এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতাদের দাবি, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।
আই/এ
অন্যান্য
সংসদে বাজেট পেশ ৬ জুন
আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ‘আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়েছে।’
অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। সূত্র : বাসস
জেএইচ
অর্থনীতি
একনেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং চট্টগ্রামে একটি বার্ন ইউনিট স্থাপনসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, নিজের নাম ব্যবহার করে আর প্রকল্প যাতে না নেয়া হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
টিআর/
-
তথ্য-প্রযুক্তি7 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
জাতীয়4 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড5 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ6 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা4 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়6 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা7 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন