Connect with us

অর্থনীতি

একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদিত

Published

on

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ২৫২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে ৬০৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ কমিশনের সচিবরা।

ঢাকা সিএমএইচ এ ক্যানসার সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৬ কোটি টাকা। ঢাকা শহর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি অ্যাসিসটেন্স প্রজেক্ট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।

Advertisement

জামালপুর জেলার পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। ওয়াশ সেক্টর স্ট্রেনদেনিং অ্যান্ড স্যানিটেশন (সানমাকর্স) ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ক্লাইমেট রেজিলেন্ট সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এছাড়া অনুমোদিত হয়েছে, ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক ও সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্প।

অর্থনীতি

প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কি তথ্য আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে, প্রশ্ন সাংবাদিকদের

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে মাঠে নেমে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অর্থনৈতিক সংবাদিকদের সংগঠন অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবেশাধিকার নিয়ে ডেপুটি গভর্নর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে মিথ্যাচার-প্রোপাগান্ডার জোর প্রতিবাদ করেছে সংগঠনটি।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর পুরান পল্ট‌নে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

ইআরএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের আগের মতো অস্থায়ী পাস নিয়ে নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার চাই। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা ও একাধিকবার চিঠি চালাচালি করা হয়েছে কিন্তু সমাধান হয়নি। যদি নিয়মতান্ত্রিক আলোচনায় প্রবেশাধিকার ফিরিয়ে দেয়া না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছরে কোনো বিষয় মাঠে নামেনি ইআরএফ। যদি দাবি না মানা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে মাঠে নামা ছাড়া উপায় নেই। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে, এখন দাবি না মানলে আন্দোলন ছাড়া উপায় নেই।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারে কি না তা নিয়ে কেউ–কেউ প্রশ্ন তুলেছেন জানিয়ে ইআরএফ সভাপতি বলেন, আমাদের জানতে হবে অন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইট অনেক সমৃদ্ধ। সেখানে অর্থনীতির সব সূচেকের নিয়মিত আপডেট ছাড়াও বোর্ড মিটিংয়ের কার্যবিবরণী, বিভিন্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থাসহ সব ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। কোনো সাংবাদিক প্রশ্ন করলে দ্রুত রেসপন্স করা হয়। আবার এসব দেশের আর্থিক খাতের সুশাসনের মাত্রা অনেক উঁচুতে। পদ্ধতিগত কারণে সেখানে কোনো অনিয়ম–দুর্নীতির তথ্য আড়াল করা কঠিন। এছাড়া বেনামি ঋণ, ঋণ খেলাপি, অর্থ পাচারকারী বা অনিয়ম–দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কেউ কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারে বলে আমাদের জানা নেই। এখন বাংলাদেশে সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে কেবল সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আসলে কি তথ্য আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে, আমরা সে প্রশ্ন রাখতে চাই।

Advertisement

দাবি না মানলে কী কর্মসূচি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, আগামী জাতীয় বাজেটের আগে যদি বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে বাজেটের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে অবস্থান ও সমাবেশ করা হবে। এছাড়া দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও মুখপাত্রের সব ধরণের প্রোগ্রাম বর্জন করা হবে।

লিখিত বক্তব্যে ইআরএফ সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা বলে আসছে। অথচ ৫৩ বছরের প্রথা ভেঙে হঠাৎ করে বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যা সরকারের অবস্থানের বিপরীত। গত ২১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক অলিখিতভাবে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ বিষয়ে সমাধান চেয়ে ইআরএফের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়েছে এবং দুদফা চিঠিসহ বিভিন্নভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন হারানোর কারণে আর্থিক খাতের দুরবস্থার কথা বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ, গবেষকদের বক্তব্যে উঠে এসেছে জানিয়ে ইআরএফ সভাপতি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, তদারকি ব্যবস্থার ভঙ্গুরতা, বিভিন্ন গোষ্ঠীর চাপে নীতির ধারাবাহিকতা রাখতে না পারার বিষয়টি সবার জানা।

উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রায় দুমাস হলেও সমস্যার সমাধান না করে এখন বিভিন্ন ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় আজকের এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। এখানে আমি একটি বিষয় পরিস্কার করতে চাই। সাংবাদিকরা এর আগে নিজের কার্ড প্রদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারতেন। এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় নানা গুজব ডাল পালা মেলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না সে প্রশ্ন উঠছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহতের খবরে অস্থির জ্বালানি তেলের বিশ্ববাজার

Published

on

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত  হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার খবর সামনে আসতে না আসতেই অস্থির হয়ে উঠেছে জ্বালানি তেলের বিশ্বাজার। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবের বাদশা সালমানের অসুস্থতার খবর।

সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ মে লেনদেন শুরুর পরপরই ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৩২ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়ায় ৮৪ দশমিক ৩০ ডলারে। আর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড, ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৫ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল উঠে যায় ৮০ দশমিক ১১ ডলারে।

জ্বালানির বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন আরও বলা হয় , রাইসি নিহতের পাশাপাশি দাম বাড়ার পিছনে ভূমিকা রাখছে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের জাপান সফর বাতিলের খবর। মূলত বাদশা সালমানের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে জাপান সফর বাতিল করেন মুহাম্মদ বিন সালমান। বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখেই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজার।

প্রসঙ্গত, ইরানের সীমান্তবর্তী পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয় প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। এ দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহতের হয়েছেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

একদিনের ব্যবধানে ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম

Published

on

দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৯৮৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। আগামীকাল সোমবার (২০ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (১৯ মে) যা ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। গতকাল শনিবার ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে একদিনের ব্যবধানে আবারও এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৮০ হাজার ৮৬৬ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটেv প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version