Connect with us

বরিশাল

বিয়ের দাবিতে স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে তরুণীর অনশন

Published

on

বিয়ের

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে তিনদিন ধরে অবস্থান করছেন এক তরুণী। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব হাজিপুর গ্রামে শিক্ষক মহিবুল্লাহ সুমনের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই যুবতী। সুমন আক্কেলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সুমন ও ওই যুবতী এলএলবিতে অধ্যয়নরত। তারা দুজনে ব্যাচমেট। প্রায় এক বছর আগে বরিশালে এক অনুষ্ঠানে তাদের পরিচয় হয়। পরে উভয় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সুমন ওই যুবতীর সঙ্গে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি বাড়িতে অবস্থান নেয়।

ওই তরুণী জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুমন আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে। আমি তাকে বিয়ের জন্য বলি। কিন্তু তিনি তালবাহানা করছেন। আমি তার বাড়িতে অবস্থান নেয়ার পর তিনি আমাকে ফোন দিয়ে বরিশাল যেতে বলেন। আমি তার কথায় রাজি হইনি। আমাকে সুমন এবং তার পরিবার মেনে না নিলে আমি আত্মহত্যা করবো।

সুমনের বাবা বাশার সিকদার জানান, এ মেয়ে আমাদের বাড়িতে আসার পর থেকে ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। এখন এ মেয়েকে নিয়ে আমরা নিজেরাই সমস্যায় আছি।

Advertisement

স্থানীয় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ছেলের বাবা আমার কাছে এসেছেন। আমি ওই মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেয়ার কথা বলেছি।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম, এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরিশাল

ভোলার উপকূলীয় এলাকায় চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং

Published

on

ভোলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, জেলে ও নৌযান রক্ষায় সচেতনতামূলক মাইকিং করছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন।

শনিবার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে ভোলার সদর উপজেলার তুলাতুলি মেঘনা নদী এলাকায় এ সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করে তারা।

কোটগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. এইচ এম এম হারুন অর রশিদ জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমান্বয়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণের কাজ শুরু করেছেন তারা। এছাড়াও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের নিরাপদ সাইক্লোন শেল্টারে নেয়ার কাজও শুরু করবেন তারা।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

Published

on

ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুকুরের পানিতে ডুবে রিক্তা মনি নামে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রিক্তা ওই এলাকার মো. রাকিবের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির।

নিহত রিক্তা মনির বাবা রাকিব জানান, দুপুরে রিক্তা ঘরে খেলা করছিল। খেলার এক পর্যায়ে অসাবধানতাবশত বাড়ির পুকুরে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। এদিকে ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এক সময়ে তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন৷

কিছুক্ষণ পরে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে রিক্তার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিক্তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মো. শাহীন ফকির জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় রিক্তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দেশজুড়ে

বিদ্যালয়ের এক রুমে গিয়ে একে একে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ

Published

on

বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গিয়ে একে একে ৩৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে কেউ জ্ঞান হারিয়েছেন, আবার কেউ কেউ করছেন অস্বাভাবিক আচরণ। এ ঘটনার পরে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গেলো মঙ্গলবার (১৪ মে) উপজেলার ওই স্কুলের স্কুলের নন্দিনী হাইজিন কর্নারে প্রবেশ করার পর ছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পরার ঘটনা শুরু হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হোসনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নান্না মিয়া।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, শুরুতে ৮ জন ছাত্রী রুমে ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁরা অভিভাবকদের স্কুলে অসুস্থ ছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু গেলো ১৫ মে একই হাইজিন কক্ষে প্রবেশ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও ২৫ জন ছাত্রী। এদের মধ্যে অসুস্থ ছাত্রীদের সেবা শুশ্রূষা করতে তাদের সংস্পর্শে গিয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম জানান,  প্রতিটি বিদ্যালয়েই এ ধরনের হাইজিন রুম থাকে। যতদিন ধরে  স্কুলে মেয়েদের জন্য এ রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে এর মধ্যে আর কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার প্রথম দিন ওই রুমে প্রবেশের পর অসুস্থ হয়ে পড়া মেয়েদের চিৎকার শুনে তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন একেকজন একেকরকমের কথা বলেছে। কেউ বলেছে দেয়ালে লাল দাগ দেখা গেছে আবার কেউ বলছে কালো বিড়াল দেখা গেছে। পরে অসুস্থ মেয়েদের শিক্ষকদের রুমে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে অভিভাবকদের খবর দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর হোসেন জানান, ভৌতিক কিংবা অশরীরী উপদ্রবের কোনো কারণে স্কুলের ছাত্রীরা আক্রান্ত হয়নি। ম্যাস হিস্টিরিয়া বা গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এটি তেমন কোনো জটিল কিছু না। চিকিৎসার পাশাপাশি আক্রান্তদের কাউন্সেলিং করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

Advertisement

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পরেই তাঁরা স্কুলের সাথে যোগাযোগ করেছেন। যে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাদের চিকিৎসা ও যে ধরনের ভয়ভীতি রয়েছে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিভাবক ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে  দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুল শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version