Connect with us

ফুটবল

ড্র করেও সেমিতে পা রাখলো ম্যানচেস্টার সিটি

Published

on

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইংলিশ ক্লাব ম্যান সিটি ১-১ গোলে ড্র করেছে জার্মান ক্লাব বার্য়ান মিউনিখের সাথে। প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জিতেছিলো ম্যান সিটি। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে এগিয়ে সেমিতে পা রাখে পেপ গার্দিওয়ালার ম্যান সিটি। বড় ব্যবধানে জয়ের সমীকরণ থাকায় নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। আক্রমণে ম্যান সিটিকে কোনঠাসা করে রাখে মিউনিখ। পঞ্চম মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন লেয়র সানে। ১৭ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়ে সেটি কাজে লাগাতে পারেনি সানে। জশুয়া কিমিচের বাড়ানো বল পেয়ে ম্যান সিটির গোলবারের উপর দিয়ে মারেন সানে।
অন্য দিকে প্রথম ২০ মিনিটে বলার মত আক্রমন করতে পারেনি ম্যান সিটি। ১৮ মিনিটে লাল কার্ডের হাত থেকে বাঁচেন মিউনিখের উপামেকানো। আর্লিং হালান্ডকে ফাউল করলে লাল কার্ড পান উপামেকানো। তবে ভিআরএর সহায়তায় দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন হালান্ড। এতে বাতিল হয় লাল কার্ড।
৩৫ মিনিটে নিশ্চিত এগিয়ে যেতে পারতো ম্যান সিটি। বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল হয় মিউনিখের উপামেকানো। এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি শট মিউনিখের গোলবারের উপর দিয়ে মারেন সর্বশেষ ১৮টি পেনাল্টিতে সফল হওয়া হালান্ড। দু’দলের গোল মিসের মহড়ায় গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটে মিউনিখের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি পেনাল্টি মিস করা হালান্ড। অবশ্য ২ মিনিট পরই গোলের দেখা পান তিনি। ম্যাচে ৫৭ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে বল ডি ব্রুইনা পাস থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান দেন হালান্ড(১-০)। চলমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২তম গোল করেন হালান্ড।
১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের সুর বাজে মিউনিখের। কারন গোল হজমের পর সেমিতে যেতে হলে ঐ অবস্থায় পাঁচ গোলের দরকার পড়ে তাদের। এতে আক্রমনের ধারও কমে যায় মিউনিখের। ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে মিউনিখকে ম্যাচে ফেরান কিমিচ। ম্যাচের বাকী সময়ে আর কোন গোল না হলে সেমির টিকিট নিশ্চিত করে ম্যান সিটি।
সেমিফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ম্যান সিটি। গত আসরের সেমি-ফাইনালে ১৪বারের চ্যাম্পিয়ন এই রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিলো ম্যান সিটি।

ফুটবল

জামালকে প্রাপ্য অর্থ দিতে আর্জেন্টিনা ক্লাবকে নির্দেশ দিয়েছে ফিফা

Published

on

জামাল ভুঁইয়া খেলতে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দে মায়োতে। তৃতীয় বিভাগের এই ক্লাবটিতে ৭ মাস ছিলেন জামাল। যদিও চুক্তি ছিল দেড় বছরের। চুক্তির আগে চলে আসার যৌক্তিক কারণও আছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের। ক্লাবটি থেকে এই সময়কালে কোনো বেতন পাননি জামাল। যা নিয়ে ফিফার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে রায় জানিয়েছে ফিফা।

ফিফার দেওয়া রায় জামালের পক্ষে গিয়েছে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, সোল দে মায়ো থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার পাবেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে মোট ১ কোটি ৯০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। গত সাত মাস ধরে বেতন পাননি এই ফুটবলার। প্রতি মাসে ১২ হাজার ডলার দেওয়ার কথা ছিল এই আর্জেন্টাইন ক্লাবের। সাত মাসের বেতন তো ছিল, এর সাথে যোগ হয়েছে কিছু জরিমান, কিছু সুদ। ক্লাবটিকে ৪৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, যে সময়কালের মধ্যে জামালের পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে।

জামালকে দেড় বছরের চুক্তিতে সোল দে মায়ো নিজেদের দলে নেয়। জাতীয় দলের এই অধিনায়ক যখন সেখানে যান, মাসের পর মাস অতিবাহিত হচ্ছে- কিন্তু কোনো বেতন প্রদান করা হচ্ছিল না। যা জামালকে বেশ আহত করে। ফলে সাত মাস শেষেই সেখান থেকে ফিরে এসে দেশে আবাহনী লিমিটেডের সাথে যোগ দেন।

সোল দে মায়োকে বলা হয়েছে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আপিল করতে। পরবর্তীতে নির্ধারিত অর্থ প্রদান করতে না পারলে, ফিফার আইন অনুযায়ী যেতে হবে ক্লাবটিকে। যেখানে ৩ মাস স্থানীয় ও বিদেশী খেলোয়াড় নিবন্ধনের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে আর্জেন্টিনার এই ক্লাবটির উপর।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

এবার অপরাজেয় লেভারকুসেন ইউরোপা লিগের ফাইনালে

Published

on

ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালে রোমার বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিলো লেভারকুসেন। তবে দ্বিতীয় লেগে ম্যাচের ৬৬ মিনিটের মধ্যে সেই গোলের সমতা আনে রোমা। আর্জেন্টাইন মিড ফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেস ৪৩ ও ৬৬ মিনিটে পেনাল্টি গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেয় রোমাকে।

কিন্তু ৮২ মিনিটে রোমার জিয়ানলুকা মানচিনির আত্মঘাতী গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লেভারকুসেন। এই স্কোরলাইন ধরে রাখলেই ইউরোপার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেত জার্মান ক্লাবটির। কিন্তু থেমে যেতো অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা।

তবে লেভারকুসেন যখন নেভারলুসেন তখন এই পথ কীভাবে বন্ধ হয়। ৯৭ মিনিটে জোসিফ স্তানিসিচ গোল করে আবারও লেভারকুসেনকে অপরাজেয় রাখলেন। এটি চলতি মৌসুমে যোগ করা সময়ে লেভারকুসেনের ১৭ তম গোল।

এই ড্রয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে টানা ৪৯ ম্যাচে অপরাজিত রইল জাবি আলোনসোর দল। লেভারকুসেন পেছনে ফেলেছে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার ৫৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ১৯৫৫ সালে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত টানা ৪৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল বেনফিকা।

ক্লাবের ইতিহাসে এবারই প্রথম বুন্দেসলিগা জেতা লেভারকুসেন দাঁড়িয়ে ইউরোপা লিগ এবং জার্মান কাপ জয়ের সামনে। আগামী ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তার মুখোমুখি হবে তারা। ২৫ মে জার্মান কাপের ফাইনাল দ্বিতীয় স্তরের দল কাইজারস্লাটার্নের বিপক্ষে।

Advertisement

লেভারকুসেনকে অবিশ্বাস্য সাফল্য এনে দেওয়া জাভি আলোনসোর আশা, তাঁর দল দুটি ট্রফিই জিতবে।

এস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

মাদ্রিদ স্কোয়াডের প্রতিফলন হোসেলু, মন্তব্য আনচেলত্তির

Published

on

হোসেলুর কাছে স্বপ্নের মতো এক রাত কেটেছে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাঠে নেমেছেন ৮১ মিনিটে। তখন বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১ গোলে পিছিয়ে মাদ্রিদ। সেখান থেকে ৮৮ মিনিটে সমতা, এরপর আরও এক গোলে দলের জয়- হোসেলুর কাছে স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু মনে হওয়ার কথা। স্পেনের এই ফুটবলারকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

হোসেলুর জন্য একেবারেই সহজ ছিল না। যেখানে বেশিরভাগ সময় বেঞ্চেই বসে থাকতে হয়েছে তাকে। তবে এমন এক মুহূর্ত জানান দিতে যতটুকু প্রতিজ্ঞা থাকতে হয়, নিজের মধ্যে তা লালন করেন এই স্প্যানিশ ফরোওয়ার্ড।

চলতি মৌসুমে এস্পানিওল থেকে লোনে মাদ্রিদে এসেছেন। নানা ক্লাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তবে নিজের ভেতরে মাদ্রিদের জৌলুস ঠিকই অনুভব করেন তিনি। আর নিজেকে আরও বেশি প্রকাশ করতে এমন কিছু দরকার ছিল হোসেলুর জন্য।

মাদ্রিদের ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তি হোসেলু সম্পর্কে বলেন, “ সে একজন চমৎকার প্রতিফলন। কারণ এই মৌসুমে খেলোয়াড় হিসেবে অনেক বেশি অবদান রেখেছেন তিনি। যদিও খুব বেশি মিনিট তিনি খেলেননি।“

স্কোয়াডের প্রতিফলন হিসেবে হোসেলুকে উল্লেখ করেছেন আনচেলত্তি। বেঞ্চে থাকলে সাধারণত আত্মবিশ্বাসে ছেদ পড়ার কথা। তবে হোসেলুর ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি। মাদ্রিদ কোচ মনে করেন, এই স্প্যানিশের আরও অনেক কিছু দেওয়ার রয়েছে।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version