Connect with us

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৬

Published

on

চট্টগ্রামে দূর্ঘটনা

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় হানিফ ও নাবিল পরিবহনের দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুল হামিদ (৩২) ও শাহীদা (২৮) নামে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দুর্ঘটনায় আরও ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তারা হলেন— আসিকা (২৫), ফোরকান উদ্দিন (২৭), মোহাম্মদ আরিফ (২২), এনামুল হক (২৭), ইকামনি (৩) ও আবুল কালাম (৫২)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, সকালে হানিফ পরিবহনের একটি বাস কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নাবিল পরিবহনের আরেকটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক গণমাধ্যমকে বলেন, পটিয়ায় দুই বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় মোট আটজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। বাকি ৬ জনকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা রয়েছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

চট্টগ্রাম

ফের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাঁপল টেকনাফ সীমান্ত

Published

on

সপ্তাহ খানেক বন্ধ থাকার পর ফের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে কাঁপল সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ। কখনও দিনে আবার কখনও রাতে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।

গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায় রাখাইনের মংডু টাউনশিপের দক্ষিণ-পশ্চিমের বাসিন্দারা। নাফ নদের তীরে টেকনাফ পৌরসভা, হ্নীলা, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায়।

টেকনাফ সীমান্ত এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যমতে, কিছুদিন বন্ধ থাকলেও গতকাল  সকাল থেকে ওপার থেকে মর্টারশেল ও শক্তিশালী গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে। যা আজ পর্যন্ত থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে।

তারা আরও জানান, টেকনাফের নাফ নদের পূর্ব পাশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের কাদিরবিল, মংনিপাড়া ও সুদাপাড়া গ্রাম। ওই সব এলাকায় মানুষের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসব ঘরবাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন দেয়া বাড়িঘরের অধিকাংশের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিকেরা। রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য অংশ নাফ নদ অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে খবর রয়েছে।

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গুলির  শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। বাড়ির বের হতে ভয়ে শরীর কেঁপে উঠে। এমন কি শিশু পর্যন্ত ঘুম থেকে চমকে উঠতেছে। মনে হচ্ছে আকাশ ভেঙে পড়ছে মাথার উপর।

Advertisement

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, কিছুদিন বিকট শব্দ শুনা না গেলেও গতকাল থেকে আবারও শুনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। গতকাল সারাদিন থেকে শুরু হয়ে আজ সকাল পর্যন্ত অনেক বেশি গোলাগুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। যার কারণে প্রতিনিয়ত জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন বিকট শব্দ আগে কখনো শুনিনি।

টেকনাফ ২ বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি। পাশাপাশি রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, সপ্তাহ খানেক কোনো ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল থেকে আবারও বিকট শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ। তবে এটি মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হলেও এপারের মানুষগুলো শান্তিতে থাকতে পারছে না। তিনি বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান।

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

পুত্রের আশায় তৃতীয় সন্তানও মেয়ে, বিক্রি করে দিলেন বাবা!

Published

on

পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম দেয় এক দম্পতি। এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন ওই কন্যাসন্তানটি।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কুলালপাড়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. সাদ্দাম ও স্ত্রী সুমি আক্তারের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানের পর তৃতীয় মেয়ে সন্তান জন্মায়। পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা সাদ্দাম। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন বাচ্চাটিকে।

অভিযুক্ত বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সন্তানকে বিক্রি করিনি, এক আত্মীয়ের কাছে রাখতে দিয়েছি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নে ওই অটোরিকশা চালকের স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠলে গত ২৭ জুন রাতে উপজেলার দোভাষী বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (২৯ জুন) সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।

Advertisement

জানা যায়, হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য নবজাতকের বাবা গেলো মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক দম্পতির কাছে ৫০ হাজার টাকায় সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই দম্পতি ১৪ বছর ধরে নিঃসন্তান।

মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে এক আত্মীয়ের জন্য রক্ত দিতে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পান পারভেজ হোসেন নামের এক যুবক। নবজাতক বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে তিনি কৌশলে ওই শিশুর একটি ছবি তুলে রাখেন। পরে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালের বিলের টাকা পরিশোধ করে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। পরে বুধবার (৩ জুলাই) স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু এবং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহর উপস্থিতিতে কন্যা শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে গলা কেটে হত্যা

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নূর মোহাম্মদ (৩১) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোরে ৪ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহত নূর মোহাম্মদ উখিয়া ৪ নম্বর ক্যাম্পের এক্সটেনশন-৪ ডি ব্লকের অলি আহমেদের ছেলে।

স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানা যায়, নিহত যুবক প্রতি রাতে ব্লকে পাহাড়াদারদের সাথে স্বেচ্ছায় পাহারা দিতো ও স্থানীয় মসজিদে নামাজ এবং সকালে মক্তবে শিশুদের আরবি পড়াতো।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ ক্যাম্পের পাশে একটি পাহাড়ে পাওয়া যায়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version