Connect with us

চট্টগ্রাম

ছোট ভাইয়ের ধাক্কায় বড় ভাইয়ের মৃত্যু

Published

on

লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছোট ভাইয়ের ধাক্কায় শাহাদাত হোসেন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে ছোট ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন।

শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে পৌরসভার লাহারকান্দির বাইশমারা এলাকার আবদুল মজিদ খন্দকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহাদাত লাহারকান্দি এলাকার মৃত আবুল বাশারের বড় ছেলে ও পেশায় গাছ ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত মুরাদ তার ছোট ভাই।

নিহত শাহাদাতের স্ত্রী রোকসানা ইয়াসমিন জানান, ঘটনার সময় বাড়িতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে তার স্বামী শাহাদাতের সঙ্গে মুরাদের তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে মুরাদ তার স্বামীকে ধাক্কা দেন। এতে শাহাদাত মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে শাহাদাতকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, হাসপাতাল আনার আগেই শাহাদাত হোসেন মারা গেছেন। তবে কী কারণে তিনি মারা গেছেন তা বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে তার মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Advertisement

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এই ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জেনে ভুক্তভোগী পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

চট্টগ্রাম

সেন্টমার্টিনে বেড়েছে পানি, নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছে মানুষ

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সেন্টমার্টিনে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়েছে। ইতোমধ্যে দ্বীপের চারপাশে আগের তুলনায় সাগরের পানির উচ্চতা ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়ে গেছে। এ কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

আজ রোববার (২৬ মে)  প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেমাল মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি।

ওসি জানান, মহাবিপদ সংকেত জানার পরপরই টেকনাফ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিসহ টেকনাফ, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া, হোয়াইক্যং ও হ্নীলায় মাইকিং করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় যেতে বলা হচ্ছে। যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলায় পুলিশের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী  জানান, বিপদ সংকেত বৃদ্ধি হলে সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের উপকূলে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। দ্বীপসহ উপকূল ইউনিয়নে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার-পানি মজুত রাখার পাশাপাশি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ অগ্রভাগ

Published

on

বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের অগ্রভাগ। রোববার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ১১টার মধ্যে বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের উপকূলীয় এলাকা হয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে রেমাল। সবশেষ অবস্থান অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে বৃষ্টিসহ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

রোববার (২৬ মে) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে বৃষ্টিসহ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র অতিক্রমের পর এর নিম্নভাগ অতিক্রম অব্যাহত থাকবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

Advertisement

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে বাতাস ও বৃষ্টিপাত

Published

on

তীব্র ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দুপুর থেকে উপকূলে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি কখনো বা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে রয়েছে দমকা বাতাস। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকা। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৬ মে) জেলার ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থি নিয়ে বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

জেলা প্রশাসক জানান, জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০ সহ ১০ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে  ৬৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায়। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও শুটকি মহাল।  সমিতি পাড়া বাজার থেকে কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, মোস্তাক পাড়া, বাসিন্না পাড়ার নিচু অংশ প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছে লোকজন।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা ওই এলাকায় মাইকিং চালিয়ে সতর্ক করছেন এবং লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ করছেন।

Advertisement

কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা আলী আজগর জানান, জোয়ারের পানিতে প্রায় সময় এ অঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে এবার সাগরের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নাজিরারটেক শুঁটকি মহালে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শুঁটকি মহালের জিনিসপত্র গোছানোর কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কর্মচারীদের।

কক্সবাজার পৌর কাউন্সিলর আক্তার কামাল জানান, সমিতিপাড়ার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৫ মে রাত থেকে সতর্কবার্তা প্রচার চলমান রেখেছে জেলা প্রশাসনসহ সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। তবে প্রচারণা চালালেও গতকাল রাত থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপস্থিতি নজরে পড়েনি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version