Connect with us

ছাত্র-শিক্ষক

হলে জবি ছাত্রীকে নির্যাতন: শাস্তির দাবি মহিলা পরিষদের

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলে এক শিক্ষার্থীকে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৬ মে রাতে নিজেদের রুমে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সিনিয়র শিক্ষার্থীর সঙ্গে এক জুনিয়র শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জুনিয়র শিক্ষার্থী হলের অন্য রুমের মেয়েদের নিয়ে এসে সিনিয়র শিক্ষার্থীকে প্রায় ৩ ঘণ্টা রুমে আটকে রেখে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। প্রায় ৩ ঘণ্টা হেনস্তার পর সিনিয়র শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়।

আমরা উদ্বিগ্নতার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এবং শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে যৌন হয়রানি ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে শিক্ষার্থীকে ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় আমরা খুবই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।

এ ঘটনায় একদিকে যেমন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। নারী শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে মহিলা পরিষদ।

Advertisement

এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায় মহিলা পরিষদ।

জানা যায়, মারধর করা শিক্ষার্থীরা সবাই জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের কর্মী। তারা হলেন- তামান্না ইসলাম তন্বী, ইশিতা, ফাল্গুনী আক্তার, নিনজা শিকদার , ইরা ও নাজমুন নাহার স্বর্ণা।

অন্যদিকে নির্যাতনে শিকার শিক্ষার্থী  হলেন- হাফসা বিনতে নূর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। হাফসার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে নিজেদের রুমের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাফসা বিনতে নূরের সাথে জুনিয়র রুমমেট রেবেকা খাতুনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রেবেকা হলের অন্য রুমের ছাত্রলীগের মেয়েদের নিয়ে এসে রুম আটকে হাফসাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন ও হেনস্তা করে। করা হয় হেনস্তার ভিডিও। প্রায় তিন ঘন্টা যাবৎ হেনস্তার পর হাফসা বিনতে নূর অজ্ঞান হয়ে যায়।

ছাত্র-শিক্ষক

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল আজ

Published

on

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার ফল রোববার (২১ এপ্রিল) প্রকাশ করা হবে। তবে কখন ফল পাবেন, তা জানা যায় নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি জানান, তৃতীয় ধাপের ফলাফল প্রস্তুত। হয়তো আজই আমরা ফল প্রকাশ করতে পারি। তবে ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট সময় জানাননি সচিব।

প্রাথমিক বিদ্যালয়/ অনলাইনে বদলি আবেদনে পদে পদে ভোগান্তি, ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা
গেলো ২৯ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হন।

Advertisement

তারও আগে গেলো বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ছাত্র-শিক্ষক

ঈদের দিন কালো পতাকা হাতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ

Published

on

পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতার দাবিতে বরিশালে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)  সকালে  নগরীর ফকিরবাড়ি রোড থেকে মিছিল বের হয়ে অশ্বিনী কুমার দত্ত টাউন হলের সামনে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি বরিশাল শাখার সভাপতি মহসিন উল ইসলাম ও বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক রেজাউল করিম।

শিক্ষক নেতারা বলেন, ঈদের আগেও পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতার দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি দিয়ে দাবির কথা সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু এরপরও ঈদুল ফিতরে বেসরকারি শিক্ষকদের মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দেওয়া হয়েছে। তাই ঈদের দিন রাস্তায় কালো পতাকা নিয়ে নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

শিক্ষক নেতারা আরও বলেছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ৯৮ শতাংশ পরিচালনা করেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। মানবসম্পদ বিকাশে ভূমিকা রাখা এই ৫ লাখের বেশি বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে আসছেন। এতে একজন শিক্ষকের ন্যূনতম জীবনমান নির্বাহ করা অসম্ভব। মানবসম্পদ উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না।

প্রসঙ্গত, আগামী ঈদুল আজহায় যাতে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ ভাতা পেতে পারেন, সেজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঈদের দিন এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্যাম্পাস

অবন্তিকার বাড়িতে জবির তদন্ত কমিটি

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায়  অবন্তিকার বাড়ি কুমিল্লায় গিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। সেখানে অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা।

কথা বলেছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও। এসময় তারা আত্মহত্যার স্থানও পরিদর্শন করেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ে অবন্তিকার বাসায় যান। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।

কমিটির প্রধান জানান, অবন্তিকার বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন তাঁরা। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁরা পুলিশ ও অভিযুক্তদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করবেন। তাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কিছু তথ্য চাইবেন।

অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, আড়াই ঘণ্টা ধরে তারা অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ঘটনা সম্পর্কে অবন্তিকার মা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা জানেন সবই তাঁরা শুনেছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, তদন্তে যেসব তথ্য বেড়িয়ে এসেছে সে বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে এ মুহুর্তে তাঁরা কিছু বলবেন না। তদন্তের কাজ চলছে।  যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।

অবন্তিকার মা জানান, তদন্ত কমিটি সকল তথ্য নিয়েছে।  ওনারা যা যা জানতে চেয়েছেন সকল তথ্য তিনি দিয়েছেন। তাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জবি তদন্ত কমিটি।

উল্লখ্যে, তদন্ত কমিটির দলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষক ও একজন সহকারী প্রক্টর ছিলেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version