অপরাধ
২৮২ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
চলতি বছরের মে মাসে দেশের সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৮২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (২ জুন) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২০ কেজি ৫৬৯ গ্রাম স্বর্ণ, ৮৮ কেজি ৬৯৪ গ্রাম রূপা, এক লাখ ৫১ হাজার ৬৪৫টি কসমেটিক্স সামগ্রী, দুই হাজার ৭৬৬টি ইমিটেশন গয়না, ২১ হাজার ৪৮১ শাড়ি, এক হাজার ২৭৫টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল, তিন হাজার ৯১১টি তৈরি পোশাক, এক হাজার ৯২৪ ঘনফুট কাঠ, ছয় হাজার ৬৬ কেজি চা পাতা, এক লাখ ১৬ হাজার ৪৩০ কেজি কয়লা, দুই হাজার ২৫৯ কেজি কারেন্ট ও সুতার জাল, এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৩ ঘনফুট পাথর, ১০টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ১১টি পিকআপ, পাঁচটি প্রাইভেটকার, ২৫টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ১১৬টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আটটি পিস্তল, আটটি ম্যাগাজিন, সাতটি সকল প্রকার গান, ১০০ কেজি সালফার, চারটি বিস্ফোরক স্টিক, সাতটি ডেটোনেটর এবং ৪০ রাউন্ড গুলি। এপ্রিল মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বিজিবি।
এ ছাড়াও সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২০ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অপরাধে ৩১ জন বাংলাদেশি নাগরিক, চারজন ভারতীয় নাগরিক এবং ২৮ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অপরাধ
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ২৪৯৬ পিস ইয়াবা, ২৬ গ্রাম হেরোইন, ২৫ কেজি ৯৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে।
কেএস/
অপরাধ
‘শাহদৎ’ নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান, বিশেষ কৌশলে চলতেন সদস্যরা
নতুন এক জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাজধানীর গুলিস্তান ও সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ওই সংগঠনের প্রধান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও দুই প্রশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩ এর একটি দল। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোসহ গোপনীয়তা রক্ষায় জঙ্গিরা বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করতেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (২৫ মে) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত মো. ইসমাইল হোসেন (২৫) চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে। এছাড়া আঞ্চলিক প্রশিক্ষক মো. জিহাদ হোসেন (২৪) যশোরের চৌগাছা উপজেলার মো. তরিকুল ইসলামের ছেলে এবং মো. আমিনুল ইসলাম (২৫) ঝালকাঠির নলসিটি উপজেলার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য ছিলেন গ্রেপ্তারকৃতরা। তবে সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ায় নতুন করে ‘শাহদৎ’ নামে জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেন তারা। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কার্যক্রমও চালানোসহ গোপনীয়তা রক্ষায় বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করতেন গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিরা।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আফগানিস্তানের তালেবান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তথাকথিত হিজরতের পরিকল্পনা করছিলেন। দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে নতুন সদস্য খুঁজছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত এই জঙ্গি সংগঠন।
গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
এএম/
অপরাধ
এমপি আজীমের মরদেহ উদ্ধারে ফের তল্লাশি চলছে
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের খণ্ডিত মরদেহ খুঁজতে আবারও তল্লাশি চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)।
শনিবার (২৫ মে) কসাই জিহাদ হাওলাদারের দেয়া তথ্যানুয়ায়ী সঞ্জীভা গার্ডেনে বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।
জিহাদকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহাবশেষ উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি চালায় সিআইডি। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ আবারও তল্লাশিতে নেমেছে সিআইডি।
আজীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বনগাঁ সীমান্ত থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা কসাই, খুলনার বাসিন্দা জিহাদ। পরে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির গোয়েন্দাদের কাছে খুনের পর ফ্ল্যাটেই দেহ টুকরো টুকরো করে লুকানোর লোমহর্ষক তথ্য স্বীকার করে সে।
কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ ৮০ টুকরায় বিভক্ত করা হয়। পরে তা ফেলা হয় খালসহ বিভিন্ন স্থানে। পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন জিহাদ হাওলাদার। সিআইডির আশঙ্কা, এমপি আনরের মরদেহের খণ্ডিত অংশ এরই মধ্যে হয়তো চলে গেছে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর পেটে।
টিআর/
-
অপরাধ3 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়6 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
আইন-বিচার7 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
-
অপরাধ7 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
-
বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
টুকিটাকি3 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
ঢাকা5 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
-
অপরাধ3 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন