নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির যে এজেন্ডা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। চাইলে রাজনৈতীক দলগুলো বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে পারে। আমরা চেয়েছি নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ। বললেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আহসান হাবিব খান।
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঝালকাঠিসহ পার্শ্ববর্তী তিন জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন-শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিমিয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, তারা যদি নির্বাচনে আসে তাহলে আমরাও (কমিশন) তৃপ্তি পাবো। আমার চেয়েছি নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ। সে লক্ষ্যে প্রথম থেকেই আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি। তারা যদি কোনো সমাধানে আসে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমার আত্মাটা তৃপ্তি পেত যদি নির্বাচনে সবাই আসতো। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে আমরা কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নিব তফসিল পেছানো ব্যাপারে। আমরা ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, তারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন। সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, একজন ভোটার ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত আসছে কিনা, বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে কিনা এবং ভোটটি সঠিকভাবে দিতে পারলো কিনা, এটা খেয়াল রাখতে হবে। ভোটার ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে যদি বলে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, এটাই আমাদের সার্থকতা। আর যদি বলে কেন্দ্রে অরাজকতা চলছে, পেশী শক্তির প্রভাব চলছে, তাহলে কিন্তু সবকিছুই জিরো।
সভায় ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
