জিম্মি ও বন্দী বিনিময়ের শর্তে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ৪দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ রয়েছে। বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ম্যাসাচুসেটসের ন্যানটাকেটে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় ৪দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে।এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আশাবাদ জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি- এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে। এই সাময়িক চুক্তি কার্যকর হওয়ার সময়ে আমি আমার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এ তো কেবলই শুরু। তবে এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা ভালোভাবেই হয়েছে।’
এদিকে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার হামাস প্রথম দফায় আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে ২৪ জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি নাগরিক, ১০ জন থাইল্যান্ডের ও ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল তাদের কারাগারে থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে।
চুক্তি মোতাবেক জিম্মি মুক্তির পাশাপাশি চার দিন লড়াই বন্ধ রাখার ব্যাপারে দুই পক্ষের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, তা-ও মানা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ি আল আকসা মসজিদের অপবিত্রতা এবং কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে চলতি বছরের ৭ অক্টোবর স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে তারা নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে গাজায় অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। শুধু তাই নয়,গত বছর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের শহরগুলোতে সামরিক অভিযান দেশটির সেনাবাহিনী। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ভূখন্ডে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রকেট হামলা চালায় হামাস। আর এর জবাবে বিমান হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েল।
হামাসের হামলায় দেশটির ১ হাজার ২০০ জন বেসমারিক নিহত হন। সেদিন ইসরায়েলের ২৪০ জনকে জিম্মিও করে হামাস। হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় সেদিনই গাজায় নির্বিচারে বোমা হামরা শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। এর পর থেকে অব্যাহত হামলায় গাজার ১৪ হাজারের বেশি বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। নিহেতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।