বাংলাদেশ

পদ্মা সেতু হয়ে চালু হলো ঢাকা-খুলনা রুটের নতুন ট্রেন

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মত পদ্মা সেতু পার হয়ে  ঢাকা থেকে নড়াইল হয়ে খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। নতুন এ ট্রেন চালুর ফলে ঢাকা থেকে খুলনা যেতে এখন সময় লাগবে মাত্র ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট, একইসঙ্গে দূরত্ব কমেছে ২১২ কি.মি। যা আগের রুটের থেকে ৫/৬ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় করবে। ঢাকা-খুলনা রুটে চালুকৃত ট্রেনটি জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামে চলাচল করবে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় খুলনা রেলস্টেশন থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস খুলনা রেলস্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশিক আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান,  ট্রেনটি সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রথমদিন খুলনা থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ট্রেনের সিট রয়েছে ৭৬৮টি। এই ট্রেনে ১১টি যাত্রীবাহী কোচ এবং একটি লাগেজ ভ্যান রয়েছে। ধারণক্ষমতার ৬৯ শতাংশ যাত্রী খুলনা থেকেই যাত্রা করেছে। এছাড়া অন্যান্য স্টেশন থেকে যাত্রীরা উঠবে। নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া, নড়াইল, কাশিয়ানী, পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকায় যাবে। ট্রেনটি সাপ্তাহিক ছুটি সোমবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৬টায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। ঢাকা থেকে রওনা হবে রাত ৮টার দিকে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন রুটের ট্রেনের নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ৮৫১ টাকা ও এসি সিট ১০১৮ টাকা। 

এদিকে নতুন ট্রেন চালু হওয়ায় খুশি এ রুটের যাত্রীরা।  তবে তাদের দাবি ট্রেনের সিডিউল যেন কিছুটা বদল করা হয়।

নগরীর খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা যাত্রী সোহেল হোসেন বলেন, শীতকালে ভোর ৬টায় অন্ধকার থাকে। ট্রেনে যাওয়ার জন্য তিনি সোয়া ৫টায় বাসা থেকে বের হয়েছেনএরপর স্টেশনে আসার জন্য সিএনজি পেতে অনেক সময় লেগেছে। সকাল ৬টার পরিবর্তে শিডিউল এক ঘণ্টা বাড়ানো বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হলে অনেক ভালো হতো।

রেলওয়ে নির্ধারিত সূচি অনুসারে, জাহানাবাদ এক্সপ্রেস সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (সোমবার) ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৬টায় খুলনা থেকে ছেড়ে নোয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন, ভাঙ্গা জংশন হয়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আর ঢাকা থেকে রাত ৮টায় ছেড়ে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনা পৌঁছাবে। একই ট্রেন রূপসি বাংলা এক্সপ্রেস নামে ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছাবে দুপুর আড়াইটায়। আর বিকেল সাড়ে ৩টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে যশোর জংশন, নড়াইল, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, বিদেশ থেকে ট্রেনের নতুন ইঞ্জিন ও বগি আনা হচ্ছে। ৬ মাস পর এই রুটে নতুন আরও ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন জাহানাবাদ এক্সপ্রেস