মিয়ানমারে সেনা শাসনবিরোধী চলমান আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে আরো ১২ বিক্ষোভকারী। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে শনিবারও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে বিভিন্ন শহরের রাজপথে।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, ১৯৮৮ সালে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের সময় ১৩ মার্চ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিল শিক্ষার্থী ফোন মাও। তার স্মরণে শুক্রবার রাতে ইয়াঙ্গুনে মোমবাতি জ্বালিয়ে একত্রিত হয়েছিল আন্দোলনকারীরা। ফোন মাওয়ের মৃত্যুর ৩৩ বছর পর আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে উত্তাল এখন পুরো মিয়ানমার।
প্রায় প্রতিদিনই মিয়ানমারে সামরিক জান্তার নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। মৃত্যুর কাতারে সামিল হচ্ছে নতুন নতুন নাম। স্বজন হারিয়ে শোকাগ্রস্ত প্রিয়জনেরা। পাশাপাশি চলছে ব্যাপক ধরপাকড়।
এদিকে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। অভ্যুথানের কারণে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া দেশটিতে মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসাসেবার মারাত্মক ঘাটতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
এদিকে, সেনা অভ্যুত্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মিয়ানমারের প্রথম স্যাটেলাইট উন্নয়নের কাজ আটকে দিয়েছে জাপান।
এসএন