Connect with us

জাতীয়

মুখচ্ছবি কখনো মুখোশ দিয়ে ঢাকা যায় না

Published

on

স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করাই হচ্ছে বিএনপির গণতন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজার জেলার বাংলাদেশ নৌবাহিনী শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোগ সড়কের নির্মাণ প্রকল্পের সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

সম্প্রতি বাসে আগুন দেয়ার মাধ্যমে বিএনপি আবার জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিতে ফিরে গেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, অপরাজনীতির জন্য জণগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া না দেয়ায় তারা আবার প্রতিশোধ নিতে আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।

তিনি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সকল দলের রয়েছে। কিন্তু কর্মসূচির নামে জনগণের শান্তি ও স্বস্তি বিনষ্টের কোন অপচেষ্টা করলে সমুচিত জবাব দেবে সরকার।

বিএনপি অস্বীকার করলেও ভিডিও চিত্রে সব প্রকাশিত হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুখচ্ছবি কখনো মুখোশ দিয়ে ঢাকা যায় না, কথামালার চাতুরী দিয়ে সব ভুলিয়ে রাখা যায় না।

Advertisement

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে কোন নির্বাচনে পরাজিত হলেই দোষ চাপায় সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের উপর। আর জয়ী হলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ না করলে আরও বেশি ভোটে জিততে পারতো।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলেকে শক্তিশালী করতে বিএনপির যে দলগত ভূমিকা জনগণ প্রত্যাশা করে, তা থেকে তারা অনেক দূরে অবস্থান করে বলেও জানান তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ বদলে দিয়েছে কক্সবাজারের সুনিল সমুদ্র অবলোকনের দৃশ্যপট। তিনি বলেন, মেরিন ড্রাইভকে ঘিরে সম্প্রসারণের উদ্যোগও ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। একইসাথে ফতেখারকুল, মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। কক্সবাজার লিংকরোড় হতে লাবনী মোড় পর্যন্ত চারলেনের মহাসড়কের কাজ শীঘ্রই শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজার প্রান্তে এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এবং সংসদ সদস্য সাইমুন সরওয়ার কমল,আশিক উল্লাহ রফিক, জাফর আলম এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতর চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তাগণ।

এস

Advertisement

জাতীয়

সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার পদ খালি

Published

on

সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে। এ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা শৃঙ্খলা চলে এসেছে।

তিনি বলেন, যখন আমরা পদোন্নতি দিই একটা প্রশ্ন আসে পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হয় বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত থাকেন। সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপ রয়েছে সেই স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতদের বিষয় তো রয়েছেই। তারপর একটি বিষয় রয়েছে কিছু সংখ্যক মানুষ থাকেন, যারা অসুস্থ থাকেন। সেটি বাদেই আমাদের কিন্তু হিসাব করতে হয়।

ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি তখন যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে। কিছুদিনের মধ্যেই বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশ কিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপর বেশকিছু আমাদের রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ হচ্ছে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায়, এই জায়গাটি পূরণ করা।

Advertisement

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএফ’র সহ সভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য আসাদ আল মাহমুদ, ওবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহসীনুল করিম লেবু, আয়নাল হোসেন প্রমুখ।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রাত ২টা পর্যন্ত দুর্যোগ মনিটর করেছেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদে রাখতে রাত ২টা পর্যন্ত দুর্যোগ মনিটর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ল্যান্ডফোনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যোগাযোগ করে পরিস্থিতি মনিটর এব সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ঘূর্ণিঝড়ে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনা হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালাম ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরেন।

সচিব বলেন, রাত ২টা পর্যন্ত পরিস্থিতি মনিটরিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ল্যান্ডফোনে নিজেই কথা বলেন। আমরা ফোন ব্যবহার করি। কিন্তু ল্যান্ডফোন বিপদে অনেক কাজে লাগে, এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেছেন। সব সরকারি কর্মকর্তাকে দুর্গতের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঝড়ে অনেক বাঁধ নষ্ট হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এএম/

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আমরা যে তথ্যগুলো নিয়ে এসেছিলাম, তার হুবহু মিল পেয়েছি : ডিবিপ্রধান

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু জানানো সম্ভব হচ্ছে না। এবং আমাদের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের যে মূল ঘাতক রয়েছে, সেও অনেক তথ্য দিয়েছে। পাশাপাশি, যে মেয়েটা ছিল, সেও আমাদের কিছু তথ্য দিয়েছে। এই তথ্যগুলো নিয়েই আমরা বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছি। কলকাতায় এসে ওই আসামির সাথে আমরা কথা বলেছি। তথ্য মিলিয়ে দেখেছি। তারপরে ওই আসামিকে আমরা ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছি। সেখানে গিয়েও আমরা যে তথ্যগুলো নিয়ে এসেছিলাম, তার হুবহু মিল পেয়েছি। বললেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিউটাউনের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে মামলার অগ্রগতি কী জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, (কলকাতার) সিআইডি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তারা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রথমে তারা যে খালটির কথা বলেছিলেন, সেখানে বেশ কিছুদিন ধরে সার্চ করেছেন। আজও সার্চ করছেন। এবং তারা কাজ করছেন। পাশাপাশি, আমরাও তাদের সঙ্গে আসছি। আমরা কিছু অনুরোধ করেছি। সঞ্জীবা গার্ডেনসের পাশে একটি হাতিশালা লেক রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি, এটা যেন সার্চ করা হয়।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা আরেকটি অনুরোধ করেছি। যে বাসায় আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ঢুকেছিলেন। সেটি যেন সার্চ করা হয়। যেখানে যে তিনটি কমোড রয়েছে, সেগুলো ফ্ল্যাশ করলে ময়লা যেখানে জমা হয় এবং যে স্যুয়ারেজ লাইন, সেটি ভাঙতে বলেছি। আশা করি, ওনারা এই কাজগুলো আজই করবেন। এছাড়া, হাতিশালা ব্রিজের কাছে যে খালটা, সেটিও সার্চ করতে অনুরোধ করেছি আমরা।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, সিআইডি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে মরদেহের অংশগুলো খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে। এখন আপনারা যেটা বলছেন, মরদেহ না পাওয়া গেলে কি মামলার নিষ্পত্তি হবে না? না। দেখেন, ভারত মহাসাগরে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে। তারা তিন বছর যাবৎ ৪৬ হাজার বর্গমাইল এলাকা সার্চ করেছে। তারপরও কিন্তু পায়নি। এটার অর্থ হলো, যদি (মরদেহ) পাওয়া না যায়, তাহলে কি অ্যাকনলেজ (স্বীকৃতি) হবে না? এটার কোনো সমাধান হবে না? আমি জানি, সিআইডি প্রত্যেকটা বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবেচনা করে কাজ করছে।

Advertisement

ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার এ কর্মকর্তা আরও বলেন, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আসামিদের বিভিন্ন বিষয়গুলো তদন্তকারী কর্মকর্তা আমলে নেবেন। তারপর আদালতে প্রেরণ করলে মাননীয় আদালত সেটি আমলে নেবেন। সব কিছু মিলিয়ে এই লোমহর্ষক হত্যকাণ্ডের বিচার খুব কষ্টকর হবে বলে আমি মনে করি না।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version