সীমান্তবর্তী চার জেলার ১০ পয়েন্টেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে পাচারের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ হওয়ায় নারী-শিশু পাচারের জন্য এসব পয়েন্ট বেছে নিচ্ছে পাচারকারীরা। বললেন, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
চুন্নু বলেন, কোনোভাবেই থামছে না ভয়ংকর মানবপাচার। সীমান্ত এলাকায় অভিযান নিয়ে মাঝে মধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে যায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। আর সেই সুযোগ নিচ্ছে পাচারকারীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধি পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, আইনে আছে সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে বিজিবি চাইলে অপারেশন করতে পারে, পাচারকারীদের ধরতে পারে। পুলিশতো যেকোনো জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু যখন পুলিশ ধরতে যায় সীমান্তে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে তখন আবার বিজিবি পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশ এবং বিজিবির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।
পাচার এখনও চলছে দাবি করে তিনি বলেন , রুটগুলো চিহ্নিত করা। নারী-শিশু পাচারের মতো জঘন্য ঘটনা হর হামেশা দেখছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব বিষয়টি খুব গুরুতর অপরাধের বিষয়। এ বিষয়ে যদি সরকার সচেতন না হয়, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয় তাহলে নিরীহ মানুষ যাবে কোথায়?
প্রসঙ্গত, ব্র্যাকের তথ্য অনুযায়ী গত ১২ বছরে ভারতে পাচার হওয়া ২ হাজার ৫০ জনকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
