Connect with us

রংপুর

অভাবে মেরুদণ্ডের অপারেশন অনিশ্চিত, সকলের সহযোগিতা চান তরণী

Published

on

তরণী

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার তরণী কান্ত রায়-এর  (৩৫) ছেলে, মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে তরণীর ছোট সংসার। তরণীর ছেলে প্রথম শ্রেণী ও মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। তিনি সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের পাঠানটারী গ্রামের মৃত. রাম মোহন রায়ের ছেলে।‌ বাবার রেখে যাওয়া ৪ শতাংশ ভিটেয় চার ভাই মিলে থাকেন। এছাড়া তাদের নেই কোনো আবাদি জমিও।

ছাত্রজীবনে বাদাম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তরণী। পরে একসময় চায়ের দোকান দেন। ৭-৮ বছর আগে তার মেরুদণ্ডের সমস্যা দেখা দেয়। ঢাকায় গিয়ে অপারেশন করতে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় হয়। বিভিন্ন জনের সাহায্য সহযোগিতা ও ধারদেনা করে চিকিৎসা করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান। সুস্থ হয়ে পুনরায় হকারি ব্যাবসা শুরু করেন। ব্যাটারী চালিত ভ্যানে করে বিভিন্ন দোকান ঘুরে পণ্য সরবরাহ করে যা হয় তা দিয়েই কোনোরকমে চলে সংসার।

গেলো ২ ফেব্রুয়ারি রাতে হটাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন সকালে রংপুরে চিকিৎসকের কাছে গেলে ডাক্তার জানান আবারও মেরুদণ্ডের সমস্যা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় সার্ভিক্যাল স্পাইন কড। যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করাতে হবে। এতে প্রয়োজন হবে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার। কিন্তু দিন এনে দিন খাওয়া এই অভাবের সংসার থেকে এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তরণীর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অসুস্থতায় ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।

অসুস্থ তরণী কান্ত সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহায়তা কামনা করে বলেন, আমি খুবই গরিব মানুষ। ঘরে নেই কোন টাকা পয়সা। আমি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলে আমার এই ছোট ছেলে মেয়ের কি হবে? সকলে যদি আমাকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেন তাহলে আমার অপারেশন হবে। তা না হলে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নাই।

তরণী কান্তের স্ত্রী কণিকা রাণী বলেন, আগের বারের অপারেশনের সময় অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়েছে। বিভিন্ন জনের সাহায্য সহযোগিতা ও ধার দেনা করে চিকিৎসা করানো হয়েছে। সেই ঝোঁক সামাল দিয়ে না উঠতেই পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমরা অনেক দুশ্চিন্তায় আছি। অপারেশন করতে তো অনেক টাকা লাগবে। আমরা গরিব মানুষ। এত টাকা কোথায় পাব? সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের নিকট আর্থিক সহায়তার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

Advertisement

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ হারুন জানান, তরণী কান্তের অসুস্থতার খবর শুনে তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। সে নিতান্তই গরীব মানুষ। তার আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ চলছে। বিভিন্ন জনের কাছে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে তার অপারেশনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তরণী কান্তের অপারেশন সফল করতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা কামনা করেন তিনি।

তার পরিবারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ এবং সহায়তা পাঠাতে বিকাশ নম্বর (পার্সোনাল) ০১৭৩৭৬১৩৮৬৭. এছাড়াও সহায়তা পাঠাতে পারেন আইএফআইসি ব্যাংক, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম উপশাখা, একাউন্ট নং ০১৯০০২৭৫৯৫৮১১.

 

রংপুর

‘স্বর্ণের খোঁজ মেলা’ সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি

Published

on

গেলো কয়েক দিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের কাতিহার গ্রামে আরবিবি ইটভাটায় স্বর্ণের খোঁজে জেলার কয়েক হাজার মানুষ দিনরাত মাটি খুঁড়ছিলেন। প্রশাসন নিরাপত্তা ঝুঁকি চিন্তা করে সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ তথ্য জানান। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে তা কার্যকর হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাণীশংকৈল থানার ৫ নম্বর বাচোর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাতিহার বাজারের উত্তর পার্শ্বে রাজোর গ্রামে মো. রুহুল আমিনের মালিকানাধীন আরবিবি ইটভাটায় মাটির স্তূপ খুঁড়ে সোনা পাওয়া যাচ্ছে। এমন খবরে স্থানীয় লোকজনসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গার অসংখ্য মানুষ বেশ কিছুদিন ধরে খুন্তি, কোদাল ইত্যাদি দিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। প্রতিদিন সেই স্থানে তারা স্বর্ণের সন্ধান করছে। ফলে আগ্রাসী লোকজন স্বর্ণ পাওয়ার আশায় ঝগড়া-বিবাদ, কলহ ও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন জনগণ মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করতে থাকলে যেকোনো সময় ঘটনাস্থলে মারামারি, খুন, জখমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেই স্থানে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইটভাটা এলাকা ও এর আশপাশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাতিহার সামুরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তূপ থেকে স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিনরাত ওই মাটির স্তূপ খনন করে বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ছোট ভাইয়েরও

Published

on

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই ভাইয়ের নাম তমিজ উদ্দিন (৫০) ও রবিউল ইসলাম (৪৫)।

শুক্রবার (২৫ মে) রাতে উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বর্মতোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনভর ভুট্টা ভাঙার কাজ শেষে রাতে নিজ বাড়িতে তমিজ উদ্দিন ফ্যানের বৈদ্যুতিক তারের লিকেজ পলিথিন দিয়ে ঠিক করছিলেন। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাই রবিউল ইসলামও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

ভানোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মামুন বলেন, ৫ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই তিন বছর আগে মারা গেছেন। দুই ভাই ঢাকায় চাকরি করেন ও দুই ভাই এলাকায় কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মারা যাওয়া দুই ভাইয়ের সাত সন্তান থাকলেও সবাই নাবালক। দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ওসি ফিরোজ কবির বলেন, অপমৃত্যুর ডায়রি হয়েছে। এভাবে মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

গাইবান্ধায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

Published

on

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাদিয়া আকতার (৭) মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের স্বাধীন মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের আরজি শাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কোচাশহর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল সাদিয়া। খেলতে খেলতে হঠাৎ করে বাড়ির পাশে অসাবধানতায় পানি ভর্তি একটি ডোবায় পড়ে যায়। স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজির পর ডোবায় শিশুকে ভাসতে দেখেন। সেখান থেকে তারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version