Connect with us

বাংলাদেশ

পতাকা উত্তোলন করে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কর্মসূচি শুরু

Published

on

বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন আজ। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার জন্মদিনের কর্মসূচি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। 

আজ বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় দলীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়। এছাড়া সারা দেশের সংগঠনের কার্যালয়গুলোয়ও জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনের অংশ হিসেবে সরকারের সিদ্ধান্তে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আজ পতাকা উত্তোলনের আদেশ জারি হয়।

সরকার মুজিব বর্ষ হিসেবে দিনটি পালন করছে। জন্মশত বার্ষিকী হিসেবে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ হতে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত ছিল সরকারের। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে কর্মসূচিগুলো বিস্তারিতভাবে পালন না করতে পারার কারণে সরকার মুজিববর্ষের মেয়াদ এ বছর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। মুজিববর্ষ ছাড়াও আগামী ২৬ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি উপলক্ষে এক যোগে সরকারের কর্মসূচি চলবে।

Advertisement

জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। সকাল ১০টায় দলটি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন। দলটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আলোচনা সভার আয়োজন করছে। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করবেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করছে।

শুভ মাহফুজ

আইন-বিচার

আজকে ভালো লাগলো, খাঁচার ভেতরে ছিলাম না : ড. ইউনূস

Published

on

আজকে ভালো লাগলো, খাঁচার ভেতরে ছিলাম না। এখানে খাঁচার ব্যবস্থা নেই। বলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।

ড. ইউনূস বলেন, আজকে ভালো লাগলো, খাঁচার ভেতরে ছিলাম না। এখানে খাঁচার ব্যবস্থা নেই। এই খাঁচার ব্যাপারে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বারেবারে- এটা যাতে বাংলাদেশের আদালত থেকে একেবারে চিরস্থায়ীভাবে উচ্ছেদ হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে বসার কথা বলেছিলেন এ ব্যাপারে আগ্রহ আছে কি না? উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, আমি এটা শুনলাম এবং তালিকা করলাম যে কী কী বলেছেন তিনি। তালিকাতে সবকটাই হলো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। আমি টাকা পাচার করেছি, বিদেশে বহু প্রতিষ্ঠান করেছি, ট্যাক্স ফাঁকি দেই। এগুলো হলো তদন্তের বিষয়, বিতর্কে বিষয় নয়। এটা আইন-আদালতের বিষয়, বিচার বিভাগের বিষয়। এখানে বিতর্কের কী আছে বা ডায়ালগের কী আছে, আমি তো কিছু পেলাম না। কাজেই আমার মনে হয়, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

ড. ইউনূস বলেন, আর যেসব বিষয় তিনি উত্থাপন করেছেন অভিযোগ হিসেবে, সেগুলোর জবাব আমরা বহুবার দিয়েছি, একবার না। আপনাদের হয়তো স্মরণ আছে, ২০১২ সালে আমরা এগুলো বলতে বলতে এত বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম, শেষে গ্রামীণ ব্যাংকের ২৯টি প্রশ্ন ও তার জবাব বলে একটা তালিকা করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে ছাপিয়ে দিয়েছিলাম। ওটা পড়লে ওগুলোর জবাব ওখানেই পেয়ে যাবেন। এটা নতুন করে আর জবাব খুঁজতে হবে না।

Advertisement

তিনি বলেন, আমার ট্যাক্সের ব্যাপারে কোনোদিন সরকারের পক্ষ থেকে, এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) পক্ষ থেকে কোনো মামলা করাই হয়নি। কাজেই ট্যাক্স ফাঁকির বিষয়টি আসলো কোথা থেকে এটা বুঝতে পারছি না। কাজেই এগুলো হলো তদন্তের বিষয়। আবারও আলোচনা করতে চান, করুক।

ড. ইউনূস বলেন, আমার একটা জিনিস ভালো লেগেছে তার কথায়, তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এনেছেন। যেসব অভিযোগ এনেছেন, এগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে আইন-আদালতে ঘোরাঘুরি করে একটা জিনিস শিখেছি যে, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ করা হয়, তখন চেয়ারম্যান এবং বোর্ড সদস্য সবাইকে অভিযোগ করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, যারা বোর্ড সদস্য ছিলেন, তারাও অভিযুক্ত হবেন। কাজেই তাদেরকে নিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন প্রথমে ইকবাল মাহমুদ সাহেব, প্রফেসর ইকবাল মাহমুদ অত্যন্ত সম্মানী ব্যক্তি। তার পরে প্রফেসর কায়সার হোসেন, প্রফেসর রেহমান সোবহান, ড. আকবর আলি খান, তবারক হোসেন; তারা সবাই অভিযুক্ত হবেন। কাজেই আমার খুব ভালো লাগবে তাদের সঙ্গে আসা। আমি তখন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, দুই নম্বরে আমি, তারা সব এক নম্বরে এবং খাঁচা যদি ততদিন টিকে থাকে আমরা সবাই মিলে খাঁচার ভেতরে থাকবো। এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগবে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আদালতের রায় আদালত হয়েই সমাধান করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

সরকারি চাকরিতে কোটা সরকার বাতিল করেছিল, আদালত বহাল রেখেছেন। কোটা নিয়ে আন্দোলন আদালতবিরোধী। আদালতের রায় আদালত হয়েই সমাধান করতে হবে। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রেসক্লাবে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যর পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয় নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে। পেনশন ব্যবস্থা সবার জন্য করা হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতের পণ্য বাংলাদেশের ভুখণ্ড ব্যবহার করছে এতে বাংলাদেশেরও উপকার হচ্ছে। ট্যারিফ পাচ্ছে। ভারতের সহযোগিতায় রেল ও সড়ক পথের উন্নয়ন হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে সরকারের পরিপত্র অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে পেনশন স্কিম প্রত্যয় চালু করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন। ১ জুলাই থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

জামিনের মেয়াদ বেড়েছে ড. ইউনূসের

Published

on

শ্রমআইনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আদেশ অনুযায়ী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিন মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আপিল ট্রাইব্যুনাল মেয়াদ বাড়ানোর এ আদেশ দেন।

এর আগে গেলো ২৩ মে শ্রমআইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের দণ্ড পাওয়া নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে চারজনের জামিন ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গেলো ১ জানুয়ারি রায় দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন— গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে গেলো ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং তৃতীয় শ্রম আদালতের দেয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেয়। ৩ মার্চ ফের শুনানি শেষে জামিনের সময় পরবর্তী তারিখ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। ১৬ মার্চ ফের শুনানি শেষে জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এরপর আবার বাড়িয়ে চার ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

Advertisement

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গেলো বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গেলো বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গেলো ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘শ্রমআইন ২০০৬ ও শ্রমবিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত বিলে জমা দেয়া হয়নি।’

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version