আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

একটি মাছের দাম ১৩ লাখ টাকা

একটি মাছের দাম ১৩ লাখ টাকা

মাছটির নাম তেলিয়া ভোলা। আবার দিঘার জেলের জালে ধরা পড়ল সেই বিশালাকার তেলিয়া ভোলার।  নিলামে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে দরদাম । শেষ পর্যন্ত ২৬ হাজার টাকা কেজি দরে ১৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয় একটি তেলিয়া ভোলা।

স্থানীয় সময় রোববার (২৬জুন) দিঘা মোহনা বাজারে এই তেলিয়া ভোলা নিলামে বিক্রির জন্য আনেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈনানের মৎস্যজীবী শিবাজী কবীর। আড়ৎদার কার্তিক বেরা জানান, ৫৫ কেজি ওজনের স্ত্রী জাতের মাছটি বিক্রির সময় ডিমের জন্য পাঁচ কেজি ওজন বাদ যায়। তারপর মাছটির নিলাম শুরু হলে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দরদাম চলে। শেষ পর্যন্ত ২৬ হাজার টাকা কেজি দরে ১৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে মাছটি।

তিনি আরও বলেন, এই তেলিয়া ভোলাটি পুরুষ জাতের হলে দাম আরও বেশি হত। ছ’দিন আগেই এই বাজারে ৩০ কেজির একটি পুরুষ তেলিয়া ভোলাই নয় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

১৩ লাখে মাছ বিক্রি নিয়ে ‘দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর অন্যতম কর্তা নবকুমার পয়ড়্যার বলেন, পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় নোনা মাছের মৎস্য নিলাম কেন্দ্র দিঘা মোহনায় একটি ৫৫ কেজি ওজনের তেলিয়া ভোলা মাছ নিয়ে ব্যাপক দর কষাকষি চলেছিল। শেষ পর্যন্ত সেটি বিপুল টাকায় কিনে নিয়েছেন এসএসটি নামের একটি সংস্থা।

তিনি আরও বলেন এমন বড় আকারের তেলিয়া ভোলা বছরে দু’-তিনটে ধরা পড়ে।

প্রশ্ন ছিলো ঠিক কী কারণে তেলিয়া ভোলার এমন কদর? মৎস্যজীবীরা জানান, তেলিয়া ভোলা প্রজাতির মাছের পেটে থাকা পটকা জীবনদায়ী ওষুধের খোল তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই মাছের ওজন যত বেশি হয়, ততই বাড়ে তার পটকার মূল্য। দিন কয়েক আগে ১২১টি তেলিয়া ভোলা বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছিলেন কয়েক জন ব্যবসায়ী। তবে সেগুলির প্রত্যেকটি বিকিয়েছিল ১০-১৫ হাজার টাকায়। এক মৎস্যজীবীর কথায়, ভাগ্যবান মৎস্যজীবীদের কপালেই এত বড় আকারের তেলিয়া ভোলা জোটে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মাছের | দাম | ১৩ | লাখ | টাকা