দেশজুড়ে
মায়ের হাত ধরে হাঁটছিলো শিশুটি, পেছন থেকে পুলিশের গাড়ির ধাক্কা!
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গাড়ি ধাক্কায় আব্দুল্লাহ নামে দুই বছর বয়সী এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে কোট চত্বর এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানায়, মায়ের সাথে হাত ধরে কোর্ট চত্বরের রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছিল শিশু আব্দুল্লাহ। হঠাৎ পেছন থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসে পুলিশের একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। এসময় শিশুটি চাকার নিচে পরে যায়। এতে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার খবর জানতে পেরে পুলিশের কর্মকর্তারাও ছুটে যান হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করান তারা। শিশুটির এক পায়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। সেই সাথে বুকেও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
আহত শিশুর মা সুরভী জানান, মামলার সংক্রান্ত বিষয়ে সকালে ছেলেকে নিয়ে আদালতে আসেন। হঠাৎ দুপুরে ছেলের এমন দূর্ঘটনার শিকার হয়। ছেলের কিছু হলে নিজের জীবন বেচে থাকা কঠিন হবে বলে জানান তিনি।
হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে শিশুটির সব রকম চিকিৎসা নেয়ার তদারকির সময় গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে সদর থানার এসআই মামুর উর রশিদ জানান, শিশুটি ভালো আছে। সব রকম চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, শিশুটি এখন ভালো আছে। কেনো দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে শিশুটি যেন দ্রুতই সম্পূর্নভাবে সুস্থ্য হয়।
খুলনা
আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বৃদ্ধের মৃত্যু
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। নদ-নদীর পানি ৫ থেকে ৭ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকাত মোড়ল (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পুত্রবধূ জানান, সন্ধ্যার দিকে তার শ্বশুর ও শাশুড়িকে নিয়ে নাপিতখালী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর শ্বশুর মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, সবাই এখনো আতঙ্কের মধ্যে আছে। আতঙ্ক কাটেনি, সামনে আতঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করার পরও সারা দেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এটাও একটি দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। এর ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এসব দুর্যোগকে লক্ষ্য করে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডসহ সবাই একসঙ্গে কাজ করছে।
দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে মানুষের প্রয়োজনে ইতোমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
আই/এ
চট্টগ্রাম
কক্সবাজারে ১০ গ্রাম প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ
ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া এবং মহেশখালী উপজেলার সিকদারপাড়াসহ জেলার অন্তত ১০টি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। জোয়ারের পানিতে গ্রামীণ সড়ক ও বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) রাতে উপকূল এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, কক্সবাজার পৌরসভা, মহেশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃদ্ধি পেয়েছে বাতাসের গতিবেগ। দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বীপটির কিছু কিছু এলাকায় বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।
স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গাছ ভেঙে পড়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান জানান, জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরসহ উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কক্সবাজারে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আই/এ
বরিশাল
বরগুনায় বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তীব্র জোয়ারের পানির চাপে বাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে আমতলী উপজেলার আড়পাংগাশিয়া ইউনিয়নের পশরবুনিয়া নামক এলাকায় তিনটি ও সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা নামক এলাকায় দুইটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব গণমাধ্যকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, পায়রা ও বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বরগুনা সদর ও আমতলী উপজেলায় এ প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ৫০ সেন্টিমিটারেরও বেশি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির তীব্র চাপে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এর ফলে প্লাবিত এলাকার বিভিন্ন পুকুর ও ঘেরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
পশরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আফজাল সিকদার জানান, এলাকার বেড়িবাঁধ আগে থেকেই দুর্বল ছিল। সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হলে বেড়িবাঁধ ভিজে নরম হয়ে যায়। পরে জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে তাঁদের এলাকায় পানি প্রবেশ করে।
উত্তর ডালভাঙ্গা ও মাছখালী গ্রামের দুই বাসিন্দা জানান, দুপুরে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। রাতে জোয়ারের চাপ বেশি থাকলে আবারও গ্রামে পানি প্রবেশ করবে। এ ছাড়া রাতে যদি বাতাস ও বৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।
বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বরগুনার বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বেড়িবাঁধই সংস্কার করা হয়েছে। তবে এক থেকে দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওইসব ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙেই লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত করা হবে।
আই/এ
-
অপরাধ4 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়7 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
বাংলাদেশ4 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
অপরাধ2 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
টুকিটাকি4 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
অপরাধ4 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
-
ঢাকা6 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
-
জাতীয়2 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে