Connect with us

ক্রিকেট

রেকর্ডগড়া ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ ভারতের

Published

on

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টির পঞ্চমটিতে ইংলিশদের পরাজিত করে সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরেছে স্বাগতিক ভারত। এদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের পর ৪১২ রানের রোমাঞ্চকর ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৩৬ রানে হারায় ভারত।

সিরিজ নিজেদের পকেটে নিতে হলে ভারতের দেয়া ২২৫ রানে তাড়া করে রেকর্ড গড়তে হতো ইংলিশদের। কিন্তু নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। ওপেনার জেসন রয়কে কোনও রান করতে না দিয়ে ফেরত পাঠান ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু এরপর থেকে ইনিংসের পরের ১৩ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নিজেদের কাছেই রাখে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার জস বাটলার ও ডেভিড মালান গড়েন ১৩০ রানের পার্টনারশিপ। মারমুখী ইংল্যান্ড উইকেটরক্ষক ৩৪ বলে ৫২ রান করে আউট হতেই ম্যাচে ফেরে ভারত।

মালান ৪৬ বলে ৬৮ রান করে আউট হতেই আবারও চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরেন জনি বেয়ারস্টো (৭) এবং অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানও (১)। শেষদিকে বেন স্টোকস ব্যাট চালালেও ১১ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।

ভারতের হয়ে তিন উইকেট নেন পেসার শার্দুল ঠাকুর। দুই উইকেট নেন অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার।

এর আগে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। ইংলিশ অধিনায়কের যে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল তা প্রমাণিত করেন ভারত। এদিন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেন। ম্যাচের ভিত সেখানেই তৈরি হয়ে যায়।

Advertisement

প্রথম থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন রোহিত শর্মা। ধ্বংসাত্মক মেজাজে ৩৪ বলে চারটি ৪ ও পাঁচটি ৬ এর ম্যাধ্যমে ৬৪ রান করেন রোহিত। দলীয় ৯৪ রানে রোহিতকে বোল্ড করেন ইংল্যান্ডের অল রাউন্ডার বেন স্টোকস।
 
রোহিতের বিদায়ের পর মাঠে আসেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত অর্ধশতরান করা সূর্যকুমার যাদব। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত আউটের জবাব এ ম্যাচে ব্যাট চালান তিনি। ১৬ বলে ৩২ রানের ক্যামওি ইনিংস খেলেন সূ্র্য। যেখানে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কার মার। বাউন্ডারিতে এক হাতে সূর্যর দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে দৌড়ে সীমানা পেরোনার আগে জেসন রয়ের হাতে বল ছুঁড়ে দেন ক্রিস জর্ডান।

ক্রিজের অন্যপ্রান্তে ঠিকই উইকেট আঁকড়ে ধরে নিয়মিত বাউন্ডারিতে রান তুলছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৮তম অর্ধশতরান হাঁকান কোহলি। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ৮০ রান করে অপরাজিত থেকে ভারতকে জয়সূচক স্কোরের কাছে নেন কোহলি।

ইনিংসের শেষদিকে বিরাটকে যোগ্য সহায়তা দেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্বভাবোচিত ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭ বলে ৩৯ রান করেন হার্দিক। চারটি চার ও দুটি ছক্কা আসে তাঁর ব্যাট থেকে।

তাতেই শেষ টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের ২২৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। যা টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৮ ছিল তাদের সর্বোচ্চ রান।

এএ

Advertisement

ক্রিকেট

রোনালদোকে উত্ত্যক্ত করতে মেসির জার্সি  

Published

on

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে উত্ত্যক্ত করার কি এক অস্ত্রই না পেয়েছে প্রতিপক্ষের ভক্তরা।  লিওনেল মেসির নাম স্মরণ করিয়ে দিলেই চেতে যান পর্তুগিজ মহাতারকা।  যার প্রভাব পড়ে মাঠের খেলায়।

স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচেও দেখা গেলো সেই চিত্র। রোনালদোকে উত্যক্ত করতে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের জার্সি নিয়ে হাজির একাধিক স্লোভেনিয়া ভক্ত। এমনকি মাঠে ‘মেসি মেসি’ ধ্বনিও তোলে তারা।

মেসির জার্সির প্রভাবে হোক বা যে কারণেই হোক, স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে দিনটা ভালো ছিলো না রোনালদোর জন্য। একের পর এক ফ্রি কিক নিয়ে কাজে লাগাতে পারেননি আল নাসর তারকা। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মিস করেছেন পেনাল্টিও।

দলের জন্য কিছু করতে না পারার আক্ষেপ কতোটা পুড়িয়েছে রোনালদোকে তা প্রকাশ পেয়েছে খেলার মাঝেই। অতিরিক্ত সময়ের বিরতিতে ছোট বাচ্চার মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন।

যদিও পর্তুগিজ গোলরক্ষক ডিয়াগো কস্তার ‘অতিমানবীয়’ পারফর্ম্যান্সে ম্যাচে ফলাফল এসেছে পর্তুগালের জয় হয়েই।

Advertisement

রোনালদোকে মাসনিক ভাবে শন্তিশালী হিসেবেই চেনে ফুটবল বিশ্ব। নিজের খারাপ দিনে এভাবে কান্নার কারণ সিআরসেভেন জানিয়েছেন ম্যাচ শেষে,

‘মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী মানুষেরও খারাপ দিন আসে। দল যখন আমার কাছে কিছু চাচ্ছে, আমি তখন পতনের নিচে অবস্থান করছি। প্রথমের কান্নাটুকু কষ্টের, এরপর আনন্দের। একই ম্যাচ, অথচ আমার দুইরকম অনুভূতি হলো- আনন্দ ও বেদনার। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো আনন্দ উপভোগ করা। আমার সতীর্থরা দারুণ খেলেছে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত সবাই লড়াই করেছি। জয়টা আমদেরই প্রাপ্য ছিল। কারণ পুরো ম্যাচে আমরাই ভালো খেলেছি।‘

কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। ২০১৬ ইউরোতে ফাইনালে এই ফ্রান্সকে হারিয়েই আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন রোনালদো।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

রোহিতের ইচ্ছাতে বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচ ছিলেন দ্রাবিড়

Published

on

ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জিতলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। এই ভারতীয় কোচের মেয়াদ ছিল সবশেষ ওডিআই বিশ্বকাপ পর্যন্ত। যে টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল রোহিত শর্মার দল। অধিনায়ক রোহিত চেয়েছিলেন দ্রাবিড় থাকুক। এই চাওয়া কোচ রেখেছেন এবং আরও কিছুদিন থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। যা সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বর্ধিত ছিল।

জীবনের এই পর্যায়ে এসে রোহিতকে ধন্যবাদ দিতে পারেন দ্রাবিড়, দিলেনও তিনি। এখন বিশ্বকাপ-জয়ী কোচ হিসেবে নাম উঠেছে তার। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দ্রাবিড় বলেন, ‘রো (রোহিত), অনেক ধন্যবাদ নভেম্বরে আমাকে ডেকেছিলে আর চালিয়ে নিতে বলেছিলে।’

‘আমি মনে করি এটা অনেক সম্মানের এবং আনন্দের, এখানের সবার সাথে কাজ করা। কিন্তু রো, তোমার সময়ের জন্য ধন্যবাদ। এখানে অনেক সময় আছে আমাদের গল্প করার জন্য, আমরা আলোচনা করব, আমরা একমত হব, আমরা মাঝেমধ্যে দ্বিমত হব। তবে তোমাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ জানাই।’

কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না দ্রাবিড়। এমন দিনের মতো দিন যে তার জীবনে এসেছে, তার জন্য তিনি অনেক বেশি আনন্দিত- যা বারবার তার কথায় প্রকাশ পাচ্ছিল।

শেষ হচ্ছে দ্রাবিড়ের সাথে ভারতের কোচিংয়ের সম্পর্ক। কোথায় নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, তা এখনো জানা যায়নি। তবে যেখানেই যান, ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার এই মধুর স্মৃতি তো সবসময় আঁকড়ে থাকবেন তিনি।

Advertisement

 

এম/এইচ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

পিচের মাটি মুখে নেওয়া প্রসঙ্গে জানালেন রোহিত

Published

on

বার্বাডোজের পিচ থেকে মাটি নিয়ে মুখে দিলেন রোহিত শর্মা। আইসিসি থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেল তা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে রোহিতের আবেগ যেন ঠিকরে বের হয়েছে নানাভাবে। পিচের মাটি মুখে নেওয়া সেই আবেগের অংশ সন্দেহ নেই। তবুও সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রোহিত।

কেনসিংটন ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়েছে ভারত। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ভারতীয় দলের অনেকরকম আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। খেলোয়াড়দের অশ্রু আর আনন্দে মাখামাখি ছিল সবকিছু।

রোহিত তো মাটিতে শুয়ে পড়লেন ম্যাচ জয়ের পরপর। একটা সময় গিয়ে পিচের কাছে বসলেন। যে পিচে খেলা হয়েছে, সেই পিচের মাটি মুখে নিলেন। সবকিছু যেন একেকটা মুহূর্ত তৈরি করে দিচ্ছিল।

এ বিষয়ে রোহিত বলেন, ‘আসলে এই জিনিসগুলো, আমার মনে হয় না আমি বর্ণনা করতে পারব, কারণ এর কিছুই লেখা ছিল না। এটা হচ্ছে, আপনি জানেন, যা একেবারে মুহূর্তে চলে আসে, আমি সেই সময়টা অনুভব করছিলাম- যখন আমি পিচের কাছে গেলাম। কারণ এই পিচ আমাদের এটা দিয়েছে, আমরা এই ম্যাচটা জিতেছি।’

ভারতীয় অধিনায়ক যোগ করেন, ‘নির্দিষ্ট করে বললে এই মাঠেও। আমি সারা জীবন এই মাঠের কথা মনে রাখব, এই পিচকেও। তো আমি চেয়েছিলাম এই পিচের কিছু অংশ নিজের সাথে নিতে। হ্যাঁ এই মুহূর্ত অনেক অনেক বিশেষ। এবং এই জায়গা, যেখানে আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি এর কিছু নিতে চেয়েছিলাম। এর পেছনে এই অনুভূতিই ছিল।’

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version