Connect with us

সিলেট

এস এ পরিবহন থেকে কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় পণ্য আটক

Published

on

অবৈধ

এস এ পরিবহন সুনামগঞ্জ পার্শ্বেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের সুনামগঞ্জ অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রায় কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে টাস্কফোর্স।

বুধবার (১৩ জুন) রাত ৮ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় পরিবহনের কাউন্টার থেকে ১৮৭ বস্তা ভারতীয় পণ্য আটক করেছে টাস্কফোর্স সংশ্লিষ্টরা।

সহকারী কমিশনার সদর ভূমি সুনামগঞ্জ মোঃ এমদাদুল হক শরীফের নেতৃত্বে পুলিশ বিজিবি আনসার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা দলের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পার্শ্বেল কাউন্টারে ফুচকা, বাদাম, চকলেট হরলিক্স, কসমেটিকসসহ ১৮৭ বস্তা ভারতীয় নানা পণ্য জব্দ করা হয়।  প্রাথমিকভাবে জব্দকৃত পণ্যের আর্থিক মূল্য এখনো নিরুপণ করা যায়নি।

এই বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য ভারত থেকে চোরাই পথে বিভিন্ন সীমান্ত পথে আনা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র এসব অবৈধ পণ্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠাচ্ছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন  এনএসআইয়ের উপ পরিচালক আরিফুর রহমান, সহকারি পরিচালক কৌশিক আহমদ কনক,  সুনামগঞ্জ সদর ওসি মো. খালেদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি প্রতিনিধি নায়েব সুবেদার বিল্লাল সহ অন্যান্য কর্মকর্তা গণ।

এস এ পরিবহনের সুনামগঞ্জের শাখা ব্যবস্থাপক শওকত কামাল বলেন, আদালতের নিলামের রশিদ সীমান্ত হাটের কার্ড এন আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে সীমান্ত এলাকার বেশ কয়েকজন লোক এসব পণ্য ঢাকায় পাঠানোর জন্য বুকিং দেয়। পরে এগুলোর কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করে এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এমদাদুল হক শরীফের নেতৃত্বে কাউন্টার থেকে জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব পণ্য সুনামগঞ্জ শহরের এস এ পরিবহনের কাউন্টারে আসে পরে পুলিশ বিজিবি আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্বে  টাক্সফোর্স এসব পণ্য আটক করে। অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর উপজেলা ভূমি কমিশনার এমদাদুল হক শরীফ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৮৪ বস্তা অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

 

সিলেট

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো পানিবন্দি অসংখ্য মানুষ

Published

on

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে নিম্নাঞ্চলে বানের পানি থৈ থৈ করছে। এ দুই উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি আছেন।

শুক্রবার (২১ জুন) সুরমা নদীর দিরাই ও ছাতক পয়েন্টে পানি কমলেও তা বিপৎসীমার  ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে বলে বায়ান্ন টিভিকে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।

স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জ সদরের পশ্চিম লালপুর, পূর্ব লালপুর  ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মল্লিকপুর, মুক্তিরখলা গ্রামে ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমেছে। বিশেষ করে জগন্নাথপুর উপজেলা পানি এখনো কমে নাই। অল্প অল্প করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে এই উপজেলার জনসাধারনের দূর্ভোগ চরমে গিয়েছে।

সুরমা নদীর পানি শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর নদীতে স্রোত না থাকায় পানি ধীরগতিতে কমছে বলে জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। সদর উপজেলার মঈনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে তিনি ত্রাণ বিতরণ করেন। এছাড়া বন্যার প্রকোপ রোধে ২০টি নদী খনন করার কথা জানান মন্ত্রী।

মল্লিকপুর গ্রামের রাসেল মিয়া জানান, বাড়ি থেকে পানি নেমেছে কিন্তু এখনো চলাচলের সড়ক ডুবে আছে। পানি ঘর থেকে কমলেও বসবাসের উপযোগী হয়ে ওঠেনি। বানের পানিতে গোলার ধানসহ ঘরের আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

Advertisement

জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুনামগঞ্জের নদী পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও প্রায় তিন দিন সময় লাগবে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ

Published

on

মৌলভীবাজারে জেলায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে। মেঘালয় থেকে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে কুলাউড়ায় রেলপথের কিছু স্থানে পানি উঠে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত দেয় কর্তৃপক্ষ।

গেলো বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রেল কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা দেয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. মোজাম্মেল হক।

এ কর্মকর্তা জানান, কুলাউড়া-সিলেট রেলপথের কুলাউড়া জংশন স্টেশন থেকে ছকাপন রেলস্টেশনে যেতে কিছু অংশ হাওরের কাছে পড়েছে। বন্যায় হাওরের পানি উপচে সেখানে রেলপথ প্লাবিত হয়েছে। ওই স্থানে রেলের স্লিপারে পানি উঠে গেছে, তবে রেললাইন ভেসে রয়েছে।

মোজাম্মেল হক জানান, স্বাভাবিকভাবে এই রেলপথে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। বুধবার ওই স্থানে ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে বলা হয়। গেলো ২০ জুন বিকেলে তারা সরেজমিন ওই স্থান পরিদর্শনে যান। পানিতে স্রোত তেমন নেই। তবে গতকালের চেয়ে সেখানে পানি বেড়েছে। পানি বাড়ায় গতি আরও কমিয়ে ১০ কিলোমিটার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বন্যাকবলিত ওই স্থানে পাহারাদার রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

বন্যায় বিপর্যস্ত সুনামগঞ্জের জনজীবন

Published

on

মেঘালয় থেকে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জের জনজীবন। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে খামারের মাছ ও হাঁস। আমন, আউশ, ইরি ধানি জমি পানির নীচে। নলকুপ নিমজ্জিত থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্যের অভাবে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।বন্যায় পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন জেলার ৬ লক্ষাধিক মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর পর্যন্ত জেলার প্রধান নদী সুরমা,কালনী,কুশিয়ারা ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মামুন হাওলাদার।

সরজমিনে দেখা যায়, বন্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গন, মসজিদ, মন্দির ও কবরস্থান প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি ও ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। রাস্তাঘাটের পাশাপাশি বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। অনেক জায়গায় চুলা-নলকূপও ডুবেছে।

জানা যায়, প্রথম দিকে জেলার ৩টি উপজেলা বন্যা কবলিত হলেও এখন সারা জেলার ১২টি উপজেলা ঢলের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। হাওর এলাকায় দিনে মাঝে মাঝে বৃষ্টি বন্ধ হলেও মুহুর্তেই কালো হয়ে উঠে আকাশ। নামে অবিরাম বর্ষণ এবং বর্ষণের সাথে শুরু হয় গর্জন। একটানা ৫ দিন ধরে পাহাড়ী ঢলের সাথে লড়াই করে চলছেন বানভাসিরা।

জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান,  বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ছাতক উপজেলায় ১৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের চেরীপুঞ্জিসহ সীমান্তে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। এতে সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।

Advertisement

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, বর্তমানে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। ইতোমধ্যে যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের জন্য ১০ মেট্রিকটন চাল এবং ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দসহ বন্টন করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত মরিমাণ ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। জেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে

এদিকে, গেলো ১৯ জুন দিনব্যাপী সুনামগঞ্জ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেওন্দ্রে শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী  বিতরণ করেছেন সুনামগঞ্জ ৪ (সদর বিশ্বম্ভরপুর) আসনের সংসদ সদস্য ড.মোহাম্মদ সাদিক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।

এছাড়া ছাতক উপজেলার জামুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়,দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে  ৫ হাজার পরিবারের মাঝে পুলিশ প্রশাসনের প্রস্তুতকৃত রান্না করা খাবার বিতরণসহ ত্রাণসামগ্রী প্রদান করেছেন সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য এম মুহিবুর রহমান মানিক।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version