Connect with us

রাজশাহী

বিয়ের একমাস না যেতেই একসঙ্গে বিষপান, স্ত্রীর মৃত্যু

Published

on

বিষপানে আত্মহত্যা

পাবনার ঈশ্বরদীতে পরিবারের অমতে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেন সাজেদুল ইসলাম (২১) ও রিয়া খাতুন (১৯)। বিয়ের একমাস যেতে না যেতেই একসঙ্গে বিষপান করেন এই দম্পতি। এতে স্ত্রী রিয়ার মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্যদিকে হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন স্বামী সাজেদুল।

গেলো রোববার (৩০ জুলাই) ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

ওই দম্পতির প্রতিবেশীরা জানান, গেলো রোববার দুপুরে রিয়ার চাচী শাশুড়ি ভানু বেগম  সাজেদুলের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি রিয়া-সাজেদুলের ভালোবাসার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে রিয়াকে নানা কটূক্তিমূলক কথা বলেন এবং থুথু ফেলে বিদ্রুপ করেন। সাজেদুল বাড়ি ফেরার পর এ বিষয়টি জানিয়ে রিয়া কান্নাকাটি করেন।

এতে অপমানে আবেগতাড়িত হয়ে দুজনে একসঙ্গে দুই বোতল কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন।

পরিবারে লোকজন টের পেয়ে তাদের প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই রোববার রিয়ার মৃত্যু হয়। সাজেদুল আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

ওসি জানান, এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। ঘটনা জানার পর থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আই/এ

 

দুর্ঘটনা

প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৫

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাবনা-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক সড়কে দাশুরিয়া পল্লীবিদ্যুত অফিসের সামনে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সবাই বন্ধু ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণেরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে জিহাদ হোসেন (২৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে বিজয় হোসেন (২৫), ইলিয়াস হোসেনের ছেলে সিয়াম হোসেন (২৩), ভারইমারি গ্রামের মাসুম হোসেনের ছেলে শিশির ইসলাম (২২) এবং ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে শাওন হোসেন (২৪)।

পুলিশ জানায়, প্রাইভেট কারটিতে চালকসহ মোট সাতজন আরোহী ছিলেন। তারা সবাই বন্ধু। তাদের মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। অপর দুজনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে জানান, একটি প্রাইভেট কার দ্রুতগতিতে পাবনা জেলা শহরের দিকে যাচ্ছিল। ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া এলাকায় আসার পর প্রাইভেট কারটির নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে প্রাইভেট কারটি মহাসড়কের পাশে একটি গাছে সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

তিনি আরও জানান, প্রাইভেট কারটিতে আরও দুজন আরোহী ছিলেন। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার কথা জেনেছেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ করছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে মাইক্রোবাস চাপায় মা-মেয়ে নিহত

Published

on

নাটোরে হাসপাতাল থেকে মেয়েকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে  মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মেয়ের বাবাও আহত হয়েছেন। ঘাতক মাইক্রোবাসটিকে আটক করেছে পুলিশ

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে লালপুর-বাঘা সড়কের জামতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে নিজ বাড়ি থেকে তিন বছরের শিশু রোকেয়াকে নিয়ে তার বাবা-মা  চিকিৎসার জন্য বাঘায় যায়। এরপর দুপুরে চিকিৎসা শেষে অসুস্থ্য মেয়েকে নিয়ে অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় লালপুর-বাঘা আঞ্চলিক সড়কের রহিমপুর জামতলা এলাকায় পৌঁছালে লালপুর থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, শিশু রোকেয়া তাঁর বাবার হাত থেকে ছিটকে পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মাহবুব আলমকে লালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

ওসি নাছিম আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক্রোবাসটিকে  আটক করে। মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নিহতরা হলেন লালপুর উপজেলার উধনপাড়া গ্রামের  রুবিনা বেগম ২৫ এবং তার তিন বছরের মেয়ে রোকেয়া সুলতানা।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশসহ আহত ৬, কাউন্সিলরসহ ৩ জন আটক

Published

on

পাবনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযানের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পাবনার রাধানগরের সিংগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এই ঘটনা ঘটে। আহত ও অন্যান্য আটককৃতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, বিকেলে ওই এলাকায় পাবনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা অভিযানে যায়। এসময় তাদের আটক করে রাখেন পাবনা পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রাজিবসহ তার অনুসারীরা। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধারে গেলে পুলিশের ওপরও হামলা করা হয়। এতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৪ জন ও ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অভিযান চালিয়ে রাজিবসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের এসআই জাকির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় রাজিব কমিশনার ও তার লোকজন হামলা চালায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এঘটনায় আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version