Connect with us

রাজশাহী

বিএনপির আহ্বায়ককে কুপিয়ে জখম, সাবেক মেয়রসহ আহত ৭

Published

on

বিএনপি

নাটোরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও জেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুসহ সাতজন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন

বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে যুবলীগ কর্মী রাসেদুল ইসলাম কোয়েলের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন যুবলীগ কর্মী এ হামলা চালায়। তারা বিএনপি অফিসের সমাবেশ লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপসহ গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

সমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বাচ্চুকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Advertisement

দেওয়ান শাহিন আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এই বাহিনী এর আগেও আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনসহ কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, বিরোধী দলের সমাবেশে যারা হামলা করেছেন তারা যুবলীগের কেউ নন।

পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সমাবেশ এলাকায় আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশে আসার পথে বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর এসব হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করেছে। গুলি বা ককটেল বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা জানা নেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমাবেশস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।

কেএস/

Advertisement

রাজশাহী

বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপরে যমুনার পানি

Published

on

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে  গত ১২ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জের দুইটি পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে। বর্তমানে সিরাজগঞ্জ শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ ও কাজিপুর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পাউবোর এ প্রকৌশলী জানান, আজ সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৮ মিটার। গত ১২ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)।

অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ১২ মিটার। এই পয়েন্টে ১২ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)।

রঞ্জিত কুমার সরকার  বলেন, পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা  আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত পানি বাড়বে, তারপর কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ভাঙনকবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৫

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাবনা-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক সড়কে দাশুরিয়া পল্লীবিদ্যুত অফিসের সামনে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সবাই বন্ধু ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণেরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে জিহাদ হোসেন (২৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে বিজয় হোসেন (২৫), ইলিয়াস হোসেনের ছেলে সিয়াম হোসেন (২৩), ভারইমারি গ্রামের মাসুম হোসেনের ছেলে শিশির ইসলাম (২২) এবং ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে শাওন হোসেন (২৪)।

পুলিশ জানায়, প্রাইভেট কারটিতে চালকসহ মোট সাতজন আরোহী ছিলেন। তারা সবাই বন্ধু। তাদের মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। অপর দুজনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে জানান, একটি প্রাইভেট কার দ্রুতগতিতে পাবনা জেলা শহরের দিকে যাচ্ছিল। ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া এলাকায় আসার পর প্রাইভেট কারটির নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে প্রাইভেট কারটি মহাসড়কের পাশে একটি গাছে সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

তিনি আরও জানান, প্রাইভেট কারটিতে আরও দুজন আরোহী ছিলেন। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার কথা জেনেছেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ করছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে মাইক্রোবাস চাপায় মা-মেয়ে নিহত

Published

on

নাটোরে হাসপাতাল থেকে মেয়েকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে  মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মেয়ের বাবাও আহত হয়েছেন। ঘাতক মাইক্রোবাসটিকে আটক করেছে পুলিশ

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে লালপুর-বাঘা সড়কের জামতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে নিজ বাড়ি থেকে তিন বছরের শিশু রোকেয়াকে নিয়ে তার বাবা-মা  চিকিৎসার জন্য বাঘায় যায়। এরপর দুপুরে চিকিৎসা শেষে অসুস্থ্য মেয়েকে নিয়ে অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় লালপুর-বাঘা আঞ্চলিক সড়কের রহিমপুর জামতলা এলাকায় পৌঁছালে লালপুর থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, শিশু রোকেয়া তাঁর বাবার হাত থেকে ছিটকে পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মাহবুব আলমকে লালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

ওসি নাছিম আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক্রোবাসটিকে  আটক করে। মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নিহতরা হলেন লালপুর উপজেলার উধনপাড়া গ্রামের  রুবিনা বেগম ২৫ এবং তার তিন বছরের মেয়ে রোকেয়া সুলতানা।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version