Connect with us

ক্রিকেট

জরিমানার কবলে ফরিদ-আসিফ

Published

on

চলমান এশিয়া কাপের সুপার ফোরের চতুর্থ ম্যাচে আইসিসির আচরণবিধির লেভেল-১ ভঙ্গ করার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে আফগানিস্তানের ফরিদ আহমাদ ও পাকিস্তানের আসিফ আলিকে।

ম্যাচ চলাকালীন আচরনবিধি ভঙ্গের দায়ে দুজনকেই ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি একটি করে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে ফরিদ-আসিফের পাশে।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

বুধবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তান ইনংসের ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পাক ব্যাটার আসিফ ও আফগানিস্তানের পেসার ফরিদ।

ফরিদের করা ঐ ওভারের পঞ্চম বলটি হুক করে ছয় মারতে গিয়েছিলেন আসিফ। কিন্তু সেটি আকাশে উঠে যায়। বলটি তালুবন্দি করতে ভুল করেননি আফগানিস্তানের করিম জানাত।

Advertisement

আসিফ আউট হতেই তার সামনে গিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন ফরিদ। তাতেই রেগে যান আসিফ। ব্যাট উচিয়ে ফরিদকে মারতে যান আসিফ। পরে নিজেকে সংযত করেন আসিফ। তবে ডান হাতের কনুই দিয়ে ফরিদের বুকে ধাক্কা দেন আসিফ। তখন আসিফের দিকে তেড়ে যান ফরিদ। পরে অন্য ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি আর বেশি ঘোলাটে হতে পারেনি।

আইসিসি আচরণ বিধি অনুসারে ব্যাট দিয়ে মারতে যাওয়াটা আইসিসির খেলোয়াড় আচরণ বিধির ২.৬ আর্টিকেলের লঙ্ঘণ। আর ফরিদ আহমেদের আচরণটা হয়েছে আইসিসির খেলোয়াড় আচরণবিধি ২.১.১২ এর লঙ্ঘণ।

ম্যাচ শেষে ফরিদ-আসিফ দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। আর্থিক জরিমানার সাথে ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছেন তারা।

আইসিসি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট এই শাস্তির ঘোষণা করেন। পাইক্রফটের কাছে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন আসিফ-ফরিদ। তাই কোনও আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

Advertisement

ক্রিকেট

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জিতল বাংলাদেশ

Published

on

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে ম্যাচটি, বাংলাদেশের পক্ষে জয় এসেছে ৫ রানের। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সাকিব আল হাসান শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

আজ ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় নিহত স্ক্রোয়াডন লিডার আসিম জাওয়াদকে স্মরণ করে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানে বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান জাওয়াদ।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারেই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ফিরে যান। অধিনায়ক সিকান্দার রাজার সাথে তাদিওয়ানাশে মারুমানি দলীয় ২৮ রান পর্যন্ত নিজেদের ধরে রাখতে পারেন। এরপরেই ফিরে যান রাজা, তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সরাসরি বোল্ডে।

রাজা ১৭ রানে ফেরার পর, পরের ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে লেগ বিফোরে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মারুমানি। একপাশে হাল ধরে ছিলেন জোনাথান ক্যাম্পবেল। বাংলাদেশের সামনে কিছু সুযোগ তৈরি ছিল ক্যাচ নেওয়ার। যেসব হেলায় হারিয়েছে স্বাগতিক ফিল্ডাররা। তবে ক্যাম্ববেলের সাথে রায়ান বার্লের জুটি বেশ জমে উঠেছিল।

নিজেদের পক্ষে জয়ের সুযোগ তৈরি ছিল জিম্বাবুয়ের জন্য। তবে একাদশে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমান ইনিংসের ১৫তম ওভারে এসে বার্ল ও লুক জঙ্গওয়েকে ফেরালে চাপ বাড়ে সফরকারীদের উপর। ক্যাম্পবেল তখনো ছিলেন। সেটিও খুব বেশি সময় জুড়ে নয়। সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে ৩১ রানে বিদায় নেয় এই ব্যাটার।

Advertisement

জিম্বাবুয়ে তখন ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে অবস্থান করছিল।

তবে শেষ দিকে ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মিলে সর্বোচ্চ চেষ্টা জারি রেখেছিল। সেই চেষ্টা অবশ্য সফল হয়নি। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের তৃতীয় বলে ১১ রানে ফেরেন ফারাজ। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সাকিবের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দুই বলে ১ রান দিলেও, তৃতীয় বলে ছক্কা খেয়ে বসেন সাকিব। তবে পরের দুই বলে নেন ২ উইকেট।

স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ব্লেসিং মুজারাবানি। অন্যদিকে এনগারাভা সরাসরি বোল্ড আউটের শিকার হন। জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৩৮ রানে।

বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সাকিব আল হাসান একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট, তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট সংগ্রহ করেন।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০১ রান। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকারের সাথে তানজিদ হাসান তামিম প্রতিপক্ষ বোলারদেরকে খুব বেশি সুযোগ দেননি। তবে এই জুটি ভাঙার পর বেশ পতন দেখা দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ১২তম ওভারে লুক জঙওয়ের শিকার হয়ে সৌম্য ও তানজিদ দুজনেই ফেরেন।

Advertisement

তানজিদ ৩৭ বলে ৫২ রানে এবং সৌম্য ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন।

এই দুই ওপেনার ফেরার পর বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরের ৪২ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরের ব্যাটারদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে কেবল দুই ডিজিটের রান আসে। বাকি ব্যাটাররা এক ডিজিটেই সাজঘরে ফেরেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অবদান তো ছিল, পাশাপাশি স্বাগতিক ব্যাটারদের ভুল ডেলিভারিতে ব্যাট চালানোর প্রতিযোগিতা প্রকাশ পেয়েছে।

সফরকারী পেসার জঙওয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তিনি দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি এখন। জঙওয়ে ছাড়াও ব্রায়ান বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

ভালো শুরুর পর গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

Published

on

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিল স্বাগতিক ব্যাটাররা, তাতে সংগ্রহ আরও বাড়তে পারত। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর একে একে উইকেট হারাতে থাকে তারা।

মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০১ রান। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকারের সাথে তানজিদ হাসান তামিম প্রতিপক্ষ বোলারদেরকে খুব বেশি সুযোগ দেননি। তবে এই জুটি ভাঙার পর বেশ পতন দেখা দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ১২তম ওভারে লুক জঙওয়ের শিকার হয়ে সৌম্য ও তানজিদ দুজনেই ফেরেন।

তানজিদ ৩৭ বলে ৫২ রানে এবং সৌম্য ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন।

এই দুই ওপেনার ফেরার পর বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরের ৪২ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরের ব্যাটারদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে কেবল দুই ডিজিটের রান আসে। বাকি ব্যাটাররা এক ডিজিটেই সাজঘরে ফেরেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অবদান তো ছিল, পাশাপাশি স্বাগতিক ব্যাটারদের ভুল ডেলিভারিতে ব্যাট চালানোর প্রতিযোগিতা প্রকাশ পেয়েছে।

সফরকারী পেসার জঙওয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তিনি দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি এখন। জঙওয়ে ছাড়াও ব্রায়ান বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে জিম্বাবুয়ে

Published

on

টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশ একাদশ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে লিটন দাসকে। এছাড়াও নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অর্থাৎ ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে একাদশে আছে ২ পরিবর্তন।

একাদশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান। সাকিবের ফেরা বাংলাদেশ দলকে আলাদা শক্তিমত্তা দেবে। আইপিএলে দারুণ এক সময় কাটিয়ে মোস্তাফিজের কাছ থেকেও ভালো কিছু আশা করবে দল। জিম্বাবুয়ে একাদশে ফিরেছেন রায়ান বার্ল ও রিচার্ড এনগারাভা। বাদ পড়েছেন জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেগ আরভিন।

সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। যেখানে প্রতিটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দল।

 

 

Advertisement

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেটকিপার), জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙওয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।

 

এম/এইচ

 

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version