সম্প্রতি শুরু হওয়া দুই প্রতিবেশি দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যেকার যুদ্ধের বিরতির দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্মেনীয়রা। তবে আজারবাইজান এখনো পর্যন্ত তা নিশ্চিত করেনি। যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রশ্নে আজারবাইজানের নিরাপত্তা বিভাগের অফিসার কোনো উত্তর দিতে চাননি।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় এক টেলিভিশনে আর্মেনিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আরমেন গ্রিগরিয়ান রাত আটটা থেকে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধে ১৫৫ জন সৈন্য নিহত হয়েছে।
সেক্রেটারি আরমেন গ্রিগরিয়ান বলেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার কিছু আগে এই বিরতি কার্যকর হয়।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আগের একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও তা পরে ব্যর্থ হয়।
সবশেষ ২০২০ সালে নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে ৬ সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়ায় এই প্রতিবেশী দুই দেশ। সেই সময় আজারবাইনের পক্ষ নিয়েছিল তুরস্ক। এতে আর্মেনিয়ার বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, 'সিক্স ডে ওয়ার' নামে পরিচিত ওই ঘটনায় ৬ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হন।
১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকার সময় নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে মধ্যে প্রথম দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ওই সময় আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড বলে স্বীকৃত অঞ্চলটি দখল করে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী। অঞ্চলটিতে বিপুল সংখ্যক আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত মানুষের বসবাস। ২০২০ সালের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে ফের অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয় আজারবাইজান। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ওই সময় সংঘাতের অবসান ঘটে। এরপর থেকে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার চুক্তির জন্য দুই দেশের নেতারা একাধিকবার মিলিত হয়েছেন।
তাসনিয়া রহমান