ক্রিকেট মাঠের একসময়ের পরিচিত মুখ পাকিস্তানের সাবেক আম্পায়ার আসাদ রউফ হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন।
২০০০ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে আম্পায়ারিংয়ের অভিষেক ঘটে আসাদ রউফের। এরপর পাকিস্তানের এই আম্পায়ার ক্যারিয়ারে ৬৪টি টেস্ট (৪৯টি অন ফিল্ড এবং ১৫টি অফ ফিল্ড), ১৩৯টি ওয়ানডে এবং ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৬ সালে এই আম্পায়ার আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হন। এর আগের বছর ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয় আসাদের। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ওয়ানডে আম্পায়ারদের প্যানেলেও ছিলেন। বিংশ দশকের শুরুর দিকে তিনি এবং আলিমদার পাকিস্তানের আম্পায়ারিংয়ে অনেক সুনাম অর্জন করেন।
তবে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার থেকে আসাদের সমাপ্তি ঘটে ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে যাওয়ায় ২০১৩ সালে মুম্বাই পুলিশ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। সেই আইপিএল শেষ হওয়ার আগে ভারত ছেড়ে যান আসাদ রউফ। এরপর আইসিসিও এই আম্পায়ারকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি টুর্নামেন্ট থেকে সরিয়ে দেন।
পরের বছর আইসিসির এলিট প্যানেল থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় এই পাকিস্তানি আম্পায়ারকে। যদিও স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির জন্য তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলেনি আইসিসি।
২০১৬ সালে বিসিসিআই এই আম্পায়ারকে দুর্নীতি এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। আম্পায়ারিংয়ে আসার আগে পাকিস্তানের ঘরোয়া লিগে ক্রিকেট খেলতেন আসাদ। আম্পায়ারিং ছাড়ার পর দেশে ব্যবসা করেই জীবনধারণ করতেন তিনি।
এসি