Connect with us

বাংলাদেশ

বাংলার টাইগারদের হাতে হোয়াইটওয়াশ হলো আমিরাত

Published

on

অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আরব আমিরাতকে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের ৩২ রানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।

টাইগারদের দেয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। ফলে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০তে জয় নিয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে সাব্বির রহমানকে হারায় বাংলাদেশ। তবে এরপরই সামলে নেয় ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ আর লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে। পাওয়ারপ্লে থেকে আসে ৪৮ রান।

এর কিছু পরেই লিটন ফেরেন ২০ বলে ২৫ রান করে। এরপর আফিফ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন। তবে ১০ বলে ১৮ রান করে তিনিও ফেরেন একটু পর। ১৫তম ওভারে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ওপেনার মিরাজ ফেরেন ফিফটি থেকে ৪ রান দূরে থেকে। তার বিদায়ের ফলে আর রানের চাকার গতি বাড়ানো সম্ভব হয়নি। রান রেটটা ঘুরেছে ৮ এর আশেপাশেই।

১৭তম ওভারের শেষে মোসাদ্দেকও যখন ফিরলেন ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে, তখন দলের রান ছিল কেবল ১৩৭। সেখান থেকে বাংলাদেশের রানটা ১৬০ পেরিয়েছে ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক নুরুল হাসানের কল্যাণে। দুজন মিলে শেষ তিন ওভারে তোলেন ৩২ রান। তাতেই ১৬৯ রান পায় বাংলাদেশ।

Advertisement

বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশ সফলতা পায় ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। চিরাগ সুরিকে ফেরান নাসুম আহমেদ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মুহাম্মাদ ওয়াসিমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফেরান তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে আরিয়ান লাকরা ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেনের শিকার হয়ে। ঠিক পরের বলেই যখন বৃত্ত অরবিন্দ ফিরলেন, ২৯ রানে ৪ উইকেট খোয়ানো সংযুক্ত আরব আমিরাত অল্পেতেই গুটিয়ে যাবে, মনে হচ্ছিল তেমনটাই। 

সেখান থেকে আমিরাত যে আর মাত্র এক উইকেট খুইয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ করল, তার কৃতিত্বের পুরোটা যাবে অধিনায়ক রিজওয়ান আর বাসিল হামিদের ভাগে। রিজওয়ান ফিফটি করে অপরাজিত থাকেন, বাসিল ৪২ রানের ইনিংস খেলে এবাদত হোসেনের শিকার হয়ে ফেরেন ১৯তম ওভারে।

তাতে বাংলাদেশের অবশ্য খুব বেশি ক্ষতি হয়নি, জয়ের ব্যবধানটা কমেছে এই যা! শেষমেশ ৩২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। নিশ্চিত হয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়টাও।

জাতীয়

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এখন স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত

Published

on

সংগৃহীত ছবি

দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া এক সময়ের প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। বর্তমানে এটি যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

সোমবার (২৭ মে) সকাল পৌনে ১১টায় আবহাওয়ার ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কয়রা, খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

কিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে ৎমঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এর আগে, আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, অবিরাম বৃষ্টি ঝরিয়ে সোমবার সকালে দূর্বল হবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে এর প্রভাবে রোববার রাত থেকে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার(২৭ মে) সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। এমনকি মঙ্গলবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান।

এদিকে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিণ্ন জেলায় দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।  এ বৃষ্টিপাত সোমবার সারাদিন থাকতে পারে। এছাড়া, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় স্থান থেকে ঝোড়ো বাতাস ও বর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১২৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

জেলেই থাকতে হবে ডেসটিনির রফিকুল আমিনকে

Published

on

ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় কোম্পানির এমডি রফিকুল আমিনকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ।

সোমবার (২৭ মে) জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ রফিকুল আমিনকে জামিন না দিয়ে মামলাটি শুনানির জন্য ৬ মাস স্ট্যান্ড ওভার রাখেন। ফলে জেলেই থাকতে হচ্ছে রফিকুল আমিনকে।

এর আগে মানিলন্ডারিং আইনের এক মামলায় ১২ বছরের সাজা পাওয়া কোম্পানির এমডি রফিকুল আমিনকে ১ বছরের জন্য জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে আরও মামলা বিচারাধীন থাকায় তিনি তখনও কারামুক্তি পাননি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৪ মে দুই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় আসামি ৪৬ জন এবং ট্রি প্ল্যানটেশন মামলায় আসামি ১৯ জন। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ১৪ জনের নাম দুই মামলায় থাকায় মোট আসামি ৫১ জন। যাদের মধ্যে রফিকুল আমীন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম গত দশ বছর ধরে কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন আসামি লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, জেসমিন আক্তার (মিলন), জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম রুবেল। বাকি ৪৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন।

মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন বলে মামলাতে অভিযোগ করা হয়।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলায় মেয়র জাহাঙ্গীরের জামিন

Published

on

বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের (৪৮) জামিন দিলেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী ১ বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

গেলো ২১ মার্চ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে জাহাঙ্গীর আলম উচ্চ আদালতের বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া আদেশ তৈরি করেছিলেন। দুদকের তদন্তেও তার জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হয়। পরে গেলো ২৫ মার্চ‌ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত ২৭ মার্চ পর্যন্ত তার জামিন স্থগিত করেন।

আদালত সূত্র জানায়, দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় সিও অফিস সড়কের আফতাব হোসেনের ছেলে। বেশ কয়েক বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতিমূলে হাইকোর্টের ফৌজদারি মিস কেসের ভুয়া আদেশ সৃষ্টি করেন। এরপর সেটি বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করে ওই মামলার বিচার কার্যক্রম ১০ বছর স্থগিত করান। পরে হাইকোর্টের নম্বর রিট পিটিশন মামলার ২০২২ সালের ১৬ মার্চ রায়ের আলোকে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের আদেশে হাইকোর্টের রিট শাখার সুপারিন্টেনডেন্ট আবদুল মোমেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করেন। গেলো ৭ মার্চ জাহাঙ্গীর আলম দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণ করলে ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version