Connect with us

ক্রিকেট

বৃষ্টি আইনে ক্যারিবীয়দের হারালো কিউইরা

Published

on

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৫ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ১৬ ওভারের ম্যাচে সফরকারীদের দেয়া বৃষ্টি আইনে ১৭৬ রানের লক্ষ্য ৪ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে কিউইরা। 

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি। তার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণেই যেন মাঠে নামেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও ব্র্যান্ডন কিং। মাত্র ৩ ওভারেই ৫৮ রান যোগ করেন তারা দুজন।

তবে এরপরই ব্যাটিং ধ্বসে পড়ে উইন্ডিজ শিবির। ৫৮ থেকে ৫৯ অর্থাৎ মাত্র এক রানের মাঝে পাঁচ উইকেট হারায় তারা।

এমতাবস্থায় ফাবিয়েন অ্যালেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন পোলার্ড। মাঝে বৃষ্টি বাঁধায় খেলার দৈর্ঘ্য কমে আসে ১৬ ওভারে। বৃষ্টি থামলেও থামেনি পোলার্ড ঝড়। তার ৩৭ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে পাহাড়সম সংগ্রহ পায় ক্যারিবীয়রা। এই ইনিংস খেলার পথে আটটি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটিং দানব। ১৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮০ রান।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন লকি ফার্গুসন। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন সাউদি। ডি/এল মেথডে কিউইদের লক্ষ্য ১৭৬ রান।

Advertisement

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ৭ রানেই ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে হারায় তারা। এরপর ৩৪ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার টিম শেইফার্ড। তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ডেভন কনওয়ে ও ফ্লেন ফিলিপস। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ফিলিপস। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ৭ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন এ ব্যাটসম্যান। ৭ বলের ইনিংসে একটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি।

দলীয় ৬৩ রানে ফিলিপস আউট হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে আর এক রান যোগ হতেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলর। এরপরই কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান জিমি নিশাম। দলীয় ১৪০ রানে কনও আউট হন। আউট হওয়ার আগে এ ব্যাটসম্যান খেলেন ২৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ঝড়ো ব্যাটিং করে দলকে জয় উপহার দেন নিশাম ও মিচেল সান্টনার। ২৪ বলে ৪৮ রান নিয়ে নিশাম ও ১৮ বলে ৩১ রান নিয়ে সান্টনার অপরাজিত থাকেন। ফলে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড।

এস

ক্রিকেট

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জিতল বাংলাদেশ

Published

on

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে ম্যাচটি, বাংলাদেশের পক্ষে জয় এসেছে ৫ রানের। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সাকিব আল হাসান শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

আজ ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় নিহত স্ক্রোয়াডন লিডার আসিম জাওয়াদকে স্মরণ করে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানে বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান জাওয়াদ।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারেই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ফিরে যান। অধিনায়ক সিকান্দার রাজার সাথে তাদিওয়ানাশে মারুমানি দলীয় ২৮ রান পর্যন্ত নিজেদের ধরে রাখতে পারেন। এরপরেই ফিরে যান রাজা, তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সরাসরি বোল্ডে।

রাজা ১৭ রানে ফেরার পর, পরের ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে লেগ বিফোরে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মারুমানি। একপাশে হাল ধরে ছিলেন জোনাথান ক্যাম্পবেল। বাংলাদেশের সামনে কিছু সুযোগ তৈরি ছিল ক্যাচ নেওয়ার। যেসব হেলায় হারিয়েছে স্বাগতিক ফিল্ডাররা। তবে ক্যাম্ববেলের সাথে রায়ান বার্লের জুটি বেশ জমে উঠেছিল।

নিজেদের পক্ষে জয়ের সুযোগ তৈরি ছিল জিম্বাবুয়ের জন্য। তবে একাদশে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমান ইনিংসের ১৫তম ওভারে এসে বার্ল ও লুক জঙ্গওয়েকে ফেরালে চাপ বাড়ে সফরকারীদের উপর। ক্যাম্পবেল তখনো ছিলেন। সেটিও খুব বেশি সময় জুড়ে নয়। সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে ৩১ রানে বিদায় নেয় এই ব্যাটার।

Advertisement

জিম্বাবুয়ে তখন ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে অবস্থান করছিল।

তবে শেষ দিকে ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মিলে সর্বোচ্চ চেষ্টা জারি রেখেছিল। সেই চেষ্টা অবশ্য সফল হয়নি। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের তৃতীয় বলে ১১ রানে ফেরেন ফারাজ। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সাকিবের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দুই বলে ১ রান দিলেও, তৃতীয় বলে ছক্কা খেয়ে বসেন সাকিব। তবে পরের দুই বলে নেন ২ উইকেট।

স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ব্লেসিং মুজারাবানি। অন্যদিকে এনগারাভা সরাসরি বোল্ড আউটের শিকার হন। জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৩৮ রানে।

বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সাকিব আল হাসান একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট, তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট সংগ্রহ করেন।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০১ রান। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকারের সাথে তানজিদ হাসান তামিম প্রতিপক্ষ বোলারদেরকে খুব বেশি সুযোগ দেননি। তবে এই জুটি ভাঙার পর বেশ পতন দেখা দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ১২তম ওভারে লুক জঙওয়ের শিকার হয়ে সৌম্য ও তানজিদ দুজনেই ফেরেন।

Advertisement

তানজিদ ৩৭ বলে ৫২ রানে এবং সৌম্য ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন।

এই দুই ওপেনার ফেরার পর বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরের ৪২ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরের ব্যাটারদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে কেবল দুই ডিজিটের রান আসে। বাকি ব্যাটাররা এক ডিজিটেই সাজঘরে ফেরেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অবদান তো ছিল, পাশাপাশি স্বাগতিক ব্যাটারদের ভুল ডেলিভারিতে ব্যাট চালানোর প্রতিযোগিতা প্রকাশ পেয়েছে।

সফরকারী পেসার জঙওয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তিনি দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি এখন। জঙওয়ে ছাড়াও ব্রায়ান বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

ভালো শুরুর পর গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

Published

on

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিল স্বাগতিক ব্যাটাররা, তাতে সংগ্রহ আরও বাড়তে পারত। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর একে একে উইকেট হারাতে থাকে তারা।

মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০১ রান। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকারের সাথে তানজিদ হাসান তামিম প্রতিপক্ষ বোলারদেরকে খুব বেশি সুযোগ দেননি। তবে এই জুটি ভাঙার পর বেশ পতন দেখা দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ১২তম ওভারে লুক জঙওয়ের শিকার হয়ে সৌম্য ও তানজিদ দুজনেই ফেরেন।

তানজিদ ৩৭ বলে ৫২ রানে এবং সৌম্য ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন।

এই দুই ওপেনার ফেরার পর বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরের ৪২ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরের ব্যাটারদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে কেবল দুই ডিজিটের রান আসে। বাকি ব্যাটাররা এক ডিজিটেই সাজঘরে ফেরেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অবদান তো ছিল, পাশাপাশি স্বাগতিক ব্যাটারদের ভুল ডেলিভারিতে ব্যাট চালানোর প্রতিযোগিতা প্রকাশ পেয়েছে।

সফরকারী পেসার জঙওয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তিনি দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি এখন। জঙওয়ে ছাড়াও ব্রায়ান বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে জিম্বাবুয়ে

Published

on

টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশ একাদশ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে লিটন দাসকে। এছাড়াও নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অর্থাৎ ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে একাদশে আছে ২ পরিবর্তন।

একাদশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান। সাকিবের ফেরা বাংলাদেশ দলকে আলাদা শক্তিমত্তা দেবে। আইপিএলে দারুণ এক সময় কাটিয়ে মোস্তাফিজের কাছ থেকেও ভালো কিছু আশা করবে দল। জিম্বাবুয়ে একাদশে ফিরেছেন রায়ান বার্ল ও রিচার্ড এনগারাভা। বাদ পড়েছেন জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেগ আরভিন।

সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। যেখানে প্রতিটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দল।

 

 

Advertisement

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেটকিপার), জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙওয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।

 

এম/এইচ

 

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version