Connect with us

এশিয়া

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা, ৪ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৯ জন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে ইসরায়েলি বাহিনী আগ্রাসন শুরু করলে সেখানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানায় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ফিলিস্তিনি ফাতাহ আন্দোলনের এক মুখপাত্র জানান, মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী নাবলুস শহরে প্রবেশ করার পর, ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নাবলুসে তিনজন নিহত ও অন্তত ১৯ জন আহত হন। এ ছাড়া তাদের গুলিতে একজন বেসামরিক লোকও নিহত হন।

রামাল্লায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আরেক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কথাও জানায় তারা। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে যে তাদের সদস্যরা শুধু নাবলুসে কাজ করছে। তবে ঘটনার বিশদ বিবরণ দেয়নি তারা।

Advertisement

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেনেহ এক বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নাবলুসে ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে এই আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য জরুরিভিত্তিতে যোগাযোগ করছেন’।

পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা বেড়েই চলছে। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালে। ফিলিস্তিনের হামলাকারীরা কয়েক বছর ধরে পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে একাধিক ছুরিকাঘাত, গুলি এবং গাড়ি-ঘোড়া নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসে একাধিক গুপ্ত হামলায় প্রাণ যায় ১৯ ইসরায়েলি সেনার। এরপরই ইসরায়েলি বাহিনীর বেড়ে যায় ধরপাকড়।

তেল আবিবের আগ্রাসনে চলতি বছর মৃত্যু হয় ১২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির। নিহতদের তালিকায় রয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীর বন্দুকধারী, কিশোর ও যুবক যারা কথিত পাথর বা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের পরে গুলিবিদ্ধ হয়। নিরস্ত্র বেসামরিক লোক, পথচারী, বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলি বসতিবিরোধী কর্মীরা। ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর ছুরি হামলা বা অন্য অস্ত্র নিয়ে সন্দেহভাজন হামলাকারী ব্যক্তিরাও রয়েছেন এ তালিকায়।

১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে বিভিন্ন দফায় সেখানে বসতি স্থাপন করেছে দেশটি। পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ ইসরায়েলি ইহুদির বাস। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটাকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

এশিয়া

লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ চলছে

Published

on

ভারতের লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষের দিকে। শনিবার (২৫ মে) শুরু হয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। আর এক দফার মাধ্যমে শেষ হবে ভারতের এই সংসদ নির্বাচন।

জানা গেছে, ষষ্ঠ দফায় হরিয়ানার ১০টি আসন, বিহারের ৮টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি আসন, উড়িষ্যায় ৬টি আসন, উত্তর প্রদেশের ১৪টি, পশ্চিমবঙ্গের ৮টি, দিল্লির ৭টি ও জম্মু-কাশ্মীরের ১টি আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।

প্রার্থীদের মধ্যেও বেশ চমক রয়েছে। একাধিক তারকার যেমন ভাগ্যপরীক্ষা আজ, তেমনই লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদরাও। ষষ্ঠ দফায় প্রার্থীদের মধ্যে ৩৯ শতাংশই কোটিপতি।

আগের দফাগুলোতে কংগ্রেস বা বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যেই কোটিপতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হলেও, ষষ্ঠ দফায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যেই কোটিপতির সংখ্যা বেশি। ৩২৫ জন নির্দল প্রার্থীর মধ্যে ৮৬ জনই কোটিপতি।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি, তাদের ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৮ জন কোটিপতি। বিএসপির ২৩ জন কোটিপতি প্রার্থী রয়েছে, এই দফায় কংগ্রেসের রয়েছে ২০ জন কোটিপতি প্রার্থী।

Advertisement

ষষ্ঠ দফায় সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হলেন বিজেপির নবীন জিন্দাল। শিল্পপতি নবীন জিন্দালের সম্পত্তির পরিমাণ ১ হাজার ২৪১ কোটি রুপি। তিনি এবার বিজেপির টিকিটে কুরুক্ষেত্র থেকে লড়ছেন।

এদিকে এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় দেশবাসীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

তিনি লিখেছেন, প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র বিকশিত হয় যখন জনগণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

গাজায় থামছে না ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ৫০

Published

on

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় আরও  ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের চালানো পৃথক হামলায় নিহত হন তারা। এছাড়া দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় হামাসের সাথে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক লড়াই চলার খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো রাফার আরও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে, শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ইবনার দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং তিনটি পূর্ব শহরতলিতে অভিযান চালাচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

ওই শহরের এক বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ইবনার প্রান্তে রয়েছে, যা ঘনবসতিপূর্ণ। তারা এখনও এটি আক্রমণ করেনি।  ওই বাসিন্দা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন এবং তাঁরা দেখছেন  যে ইসরায়েলি সেনারা যেখানে আক্রমণ করেছে এবং সেখান থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে। এটি ওই শহরের বাসিন্দাদের জন্য আরেকটি  কঠিন রাত ছিল।

এর আগে এই মাসে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে একযোগে ইসরায়েলি হামলার ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী সাহায্য প্রবেশের প্রধান প্রবেশ পথও বন্ধ করে দিয়েছে,যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিও বাড়িয়েছে।

Advertisement

ইসরায়েলি হামলার জেরে এখন পর্যন্ত রাফা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ৮ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

প্রসঙ্গত, গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে ৩৫ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নতুন গিলাফে আবৃত পবিত্র কাবা শরিফ

Published

on

পবিত্র কাবা শরিফের কিসওয়া বা গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ঐতিহ্য অনুযায়ী গেলো ২২ মে কাবা শরিফ ঢেকে দেয়া হয় কারুকার্যমণ্ডিত কাপড়ের কিসওয়া বা গালিফ দিয়ে।

বৃহপ্সতিবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যম আরব নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গিলাফটি বেশ কয়েকটি ধাপে উত্তোলন করা হয়। হজযাত্রীদের কাবা প্রদক্ষিণের সময় কিসওয়া কাবাকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ময়লা হওয়া থেকে রক্ষা করে। এ জন্য প্রতিবছর হজের আগে কাবা শরিফকে গিলাফ বা কিসওয়া দিয়ে ঢাকা হয়।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, ১০টি ক্রেন ও ৩৬ জন বিশেষ কর্মীর সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে আড়াই মিটার চওড়া ও চারদিকে ৫৪ মিটার দৈর্ঘ্যের কিসওয়া দিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ ঢাকার কাজ।

জানা যায়, বিশেষভাবে তৈরি এই গিলাফে প্রতি মিটারে দশ ধাপে লাগানো হয় ৯৯০০ সুতা।  কাবা শরিফের গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমণ্ডিত রেশম সুতা দিয়ে দক্ষ কারিগর দিয়ে ক্যালিগ্রাফি করা হয়। এরপর ঝারনিখ কালি দিয়ে প্রথমে কাপড়ে ক্যালিগ্রাফির আউটলাইন দেয়া হয়, তারপর কারিগররা হরফের ভেতর রেশম সুতার মোটা লাইন বসিয়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হরফ ফুটিয়ে তোলেন।

Advertisement

কাবা শরিফের গিলাফ নির্মাণে যেসব জিনিসপত্র প্রয়োজন সেগুলো তৈরির বিশেষ কারখানা মক্কার উম্মুল জুদ এলাকায় অবস্থিত। নতুন গিলাফ তৈরি করতে দরকার হয় ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশম সুতা ও ২৫ কেজি রুপার সুতা।

প্রসঙ্গত, গিলাফ পরিবর্তনের কাজটি আগে হজের দিন করার রীতি থাকলেও বর্তমানে ১ মহররম হিজরি নববর্ষের প্রথম প্রহরে করা হচ্ছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version