Connect with us

ক্রিকেট

ডার্কওয়ার্থ লুইস মেথডে আয়ারল্যান্ডের কাছে কাবু ইংল্যান্ড

Published

on

বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ডের চমক

তখনও বাকি ৫.৩ ওভারের খেলা। এ সময় ইংল্যান্ডের যম হয়ে নেমে এলো যেন বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত এই বৃষ্টি আর থামলো না এবং ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাধুগালে বৃষ্টি আইন ডার্কওয়ার্থ লুইস মেথডে আয়ারল্যান্ডকেই ৫ রানে বিজয়ী ঘোষণা করলেন।

বিশ্বকাপে টপ ফেবারিট হিসেবে খেলতে আসার পর প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেলেও ইংলিশদের বেশ ধুঁকতে হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে আয়ারল্যান্ডের কাছে পরাজয়ই বরণ করতে হলো।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডও খুব ভালো অবস্থানে ছিল না। বৃষ্টি নামার সময় ১৪.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৫ রান ছিল তাদের। ডি/এল মেথডে ইংলিশরা তখনও আয়ারল্যান্ডের চেয়ে ৫ রান পিছিয়ে। শেষ পর্যন্ত এই ৫ রানই জয়-পরাজয়ের নির্ধারক হয়ে দাঁড়ালো।

মেলবোর্নের আকাশ সকাল থেকেই ছিল মেঘে ঢাকা। যে কারণে ম্যাচ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়। টস হয়েছিল যথা সময়ে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। এ সময় তিনি বলেন, আবহাওয়ার বিরুদ্ধে তাদের লড়তে হবে এবং হয়তো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আবাহাওয়াও নিয়ে নিতে পারে।

শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। ম্যাচের মাত্র ৫.৩ ওভার বাকি থাকতে নিয়ন্ত্রণটা চলে যায় বৃষ্টির হাতে এবং মুষলধারে বৃষ্টি নামার ফলে ম্যাচই আর মাঠে গড়ানো গেলো না। এসব ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, দুই দল অন্তত ৫ ওভার খেলা হতে হবে। তাহলে ডিএল মেথডে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা হবে।

Advertisement

আয়ারল্যান্ড পূর্ণ ২০ ওভার খেলেছে (যদিও ১৯.২ ওভারে অলআউট হয়েছে তারা)। ইংল্যান্ড খেলেছে ১৪.৩ ওভার। যার ফলে ম্যাচ হয়ে উঠেছে ফল নির্ধারণের উপযুক্ত। সেই হিসেবেই জয় পেয়ে গেলো আয়ারল্যান্ড।

মূলত ম্যাচের শুরুর দিকে অ্যান্ডি বালবিরনি এবং লরকান টাকারের দ্রুতগতির ব্যাটিংয়ের ফলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে আয়ারল্যান্ড। ৮২ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা দু’জন। ৬২ রান করেন বালবিরনি। ৩৪ রান করেন লরকান টাকার।

১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করাতে নামার পর ইংল্যান্ডও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছিল। বাটলার আউট হয়ে যান শূন্য রানে। অ্যালেক্স হেলস আউট হন ৭ রানে। এরপর বেন স্টোকসও বিদায় নেন ৬ রানে।

ডেভিড মালান ৩৭ বলে ৩৫ রান করে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেও পারলেন না। ব্যারি ম্যকার্থির বলে আউট হয়ে যান। হ্যারি ব্রুক মাত্র ১৮ রান করে বিদায় নেন। মইন আলি ১২ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। লিয়াম লিভিংস্টোন ২ বল খেলে করেন ১ রান। এ সময় নমে বৃষ্টি।

আইরিশ বোলার জস লিটল ২ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ব্যারি ম্যাকার্থি, ফিনোড হ্যান্ড এবং জর্জ ডকরেল।

Advertisement

বিশ্বকাপের মঞ্চে আয়ারল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ডের এটাই প্রথম হার নয়। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের করা ৩২৭ রান তাড়া করে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। এরপর বাংলাদেশের কাছে হেরে সেবার বিদায়ই নিতে হয়েছিল ইংলিশদের।

ক্রিকেট

ভালো শুরুর পর গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

Published

on

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিল স্বাগতিক ব্যাটাররা, তাতে সংগ্রহ আরও বাড়তে পারত। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর একে একে উইকেট হারাতে থাকে তারা।

মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০১ রান। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকারের সাথে তানজিদ হাসান তামিম প্রতিপক্ষ বোলারদেরকে খুব বেশি সুযোগ দেননি। তবে এই জুটি ভাঙার পর বেশ পতন দেখা দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ১২তম ওভারে লুক জঙওয়ের শিকার হয়ে সৌম্য ও তানজিদ দুজনেই ফেরেন।

তানজিদ ৩৭ বলে ৫২ রানে এবং সৌম্য ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন।

এই দুই ওপেনার ফেরার পর বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরের ৪২ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরের ব্যাটারদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে কেবল দুই ডিজিটের রান আসে। বাকি ব্যাটাররা এক ডিজিটেই সাজঘরে ফেরেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অবদান তো ছিল, পাশাপাশি স্বাগতিক ব্যাটারদের ভুল ডেলিভারিতে ব্যাট চালানোর প্রতিযোগিতা প্রকাশ পেয়েছে।

সফরকারী পেসার জঙওয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তিনি দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি এখন। জঙওয়ে ছাড়াও ব্রায়ান বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে জিম্বাবুয়ে

Published

on

টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশ একাদশ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে লিটন দাসকে। এছাড়াও নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অর্থাৎ ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে একাদশে আছে ২ পরিবর্তন।

একাদশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান। সাকিবের ফেরা বাংলাদেশ দলকে আলাদা শক্তিমত্তা দেবে। আইপিএলে দারুণ এক সময় কাটিয়ে মোস্তাফিজের কাছ থেকেও ভালো কিছু আশা করবে দল। জিম্বাবুয়ে একাদশে ফিরেছেন রায়ান বার্ল ও রিচার্ড এনগারাভা। বাদ পড়েছেন জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেগ আরভিন।

সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। যেখানে প্রতিটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দল।

 

 

Advertisement

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেটকিপার), জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙওয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।

 

এম/এইচ

 

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

নতুন কোচ খুঁজবে ভারত, আবেদন করতে হবে দ্রাবিড়কেও

Published

on

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেবে। বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে কোচ নিয়োগ নিয়ে কিছুটা তাড়াহুড়োর মধ্যে পড়ে যায় ভারতীয় বোর্ড। এবার আর তেমন কিছু চায় না তারা। তাই আগে-ভাগে এ বিষয়টি জানানো হলো। বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড় চাইলে আবারও আবেদন করতে পারবে প্রধান কোচ হওয়ার ব্যাপারে।

দ্রাবিড়ের চুক্তি আছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। মেয়াদ শেষ হলে নতুন কোচের খোঁজ করবে ভারতীয় বোর্ড। দ্রাবিড় দায়িত্ব নিতে চাইলে, তাকে আবার আবেদন করতে হবে। এরপর বিসিসিআই এর নিয়োগ বোর্ডের প্রক্রিয়া মেনেই যেতে হবে।

ভারতীয় বোর্ড সেক্রেটারি জয় শাহ বলেন, “রাহুলের মেয়াদ আছে জুন পর্যন্ত। পুনরায় দায়িত্ব পেতে চাইলে তাকে আবার আবেদন করতে হবে। নতুন যিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, তার সাথে আলাপ-আলোচনা করে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোচের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

দেশি কোচ দিয়ে দায়িত্ব চালানো হবে, নাকি বিদেশি কোচের প্রতি ঝুঁকবে বিসিসিআই- তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্বকাপের মতো আসর থেকে ভারত শিরোপা অর্জনের কাছাকাছি যেয়েও ব্যর্থ হয়। যদিও সম্ভাবনাময় হিসেবে দল গঠন করে তারা। সামনে যাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাকে ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপ পর্যন্ত চাইবে ভারত।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version