Connect with us

পরামর্শ

কমোডের চেয়ে ১০ গুণ বেশি জীবাণু থাকে মোবাইল ফোনে!

Published

on

বর্তমানে জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে জড়িয়ে রয়েছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন ছাড়া এক মিনিট থাকার কথা কল্পনা করা যায় না। মানুষের ব্যস্ততম জীবনকে আরও গতিময় করে তুলতে এই ফোনের অবদান সবচেয়ে বেশি।

গেলো দুবছরের করোনার সময় মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়েছিল। বাইরে থেকে ঘুরে এসে হাত-পা ধোয়ার মতো হাতে থাকা ফোন, ঘড়িও যে জীবাণুমুক্ত করতে হয়, মানুষ তা-ও শিখেছিলেন। গবেষণা বলছে, শৌচাগারের কমোডে থাকা জীবাণুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি জীবাণু থাকে হাতের মোবাইল ফোনে।

শুধু শৌচাগার নয়, রাস্তা ঘাটে, যেখানে ব্যাগ থেকে বা জামার পকেট থেকে ফোন বের করছেন বা কোনও জায়গায় রাখছেন, তার পর ফোনটি আবার হাতে ধরছেন বা পকেটে রাখছেন। ফলে ফোনে থাকা সমস্ত জীবাণু হাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।

নিত্য ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করলেও ফোন জীবাণুমুক্ত করার অভ্যাস অনেকেরই নেই। তাই চোখের আড়ালে জীবাণুরা সেখানেই নিরাপদে বাসা বাঁধে। বিশেষজ্ঞরা শৌচাগারে ফোন না নিয়ে যেতেই পরামর্শ দেন। বাড়ি ফেরার পর পাতলা সুতির কাপড়ে অ্যালকোহল জাতীয় দ্রবণ নিয়ে ফোনের উপরিভাগ মুছে নেওয়ার পরামর্শও দেন তারা।

পরামর্শ

কাঠবাদাম যেভাবে খেলে পুষ্টিগুণ বাড়ে

Published

on

সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার মতোই অনেকের কাছে এ-ও যেন একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। খালি পেটে কয়েকটা ভেজানো বাদাম খাওয়া। অনেক সময় আখরোট বা চিনেবাদামও থাকে। তবে এখানে কাঠবাদামই মুখ্য। অনেকে আবার সকালের জলখাবার মানে দুধ-ওট্‌স, দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা স্মুদিতেও কাঠবাদামের কুচি মিশিয়ে দেন। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, ই-র ঘাটতি পূরণ হয়। এই বাদামের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা হার্টের জন্যেও ভালো। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তোলারও কিছু নিয়ম রয়েছে। খাওয়ার আগে সেগুলি জেনে রাখা প্রয়োজন।

১. পানি ভেজানো কাঠাবাদাম তো খেয়েই থাকেন। তবে বাদামগুলি দুধে ভিজিয়ে রাখলে তার পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি পায়। বাদামের মধ্যে থাকা ফাইবার আরও সহজপাচ্য হয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদানগুলিও সক্রিয় হয়ে ওঠে।

২. ভেজানো কাঠবাদাম গোটা খাওয়ার চেয়ে ছোট টুকরো করে খাওয়া ভালো। যাদের দাঁতে সমস্যা রয়েছে, তারা সহজেই বাদাম চিবিয়ে খেতে পারেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন বাদাম যত টুকরো হবে, পুষ্টিগুণ শোষণের কাজটিও তত সহজ হবে।

৩. পানি বা দুধে যদি বাদাম ভেজাতে না চান, সে ক্ষেত্রে শুকনো কাঠবাদামও খাওয়া যায়। কাঠবাদামে রয়েছে ট্যানিন। শুকনো বাদামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণও বেশি থাকে।

৪. কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়ে খেতে পারলে আরও ভালো। খোসা ছাড়ানো কাঠবাদাম খেলে হজম সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে না। বিপাকক্রিয়াও ভালো হয়।

Advertisement

৫. ঘি বা সামান্য তেলে কাঠবাদাম ভেজেও খাওয়া যেতে পারে। যারা ওজন বাড়াতে চাইছেন, তাদের জন্য এই ভাবে বাদাম খাওয়া বেশ কাজের। কারণ, কাঠবাদাম ভাজলে তার মধ্যে ক্যালোরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

শুধু ডায়েট নয়, মেদ ঝরাতে যেসব ফল খাবেন

Published

on

দৈনন্দিন ব্যস্ততায় খাবার গ্রহণে অনিয়ম, তেল-মশলা দিয়ে রান্না করা ভারি খাবার, শরীর চর্চার নামে আলসেমি এবং আরও বিভিন্ন কারণে শরীরে একটু একটু করে মেদ জমতে থাকে। চেষ্টা করে ওজন যদিও বা কমানো যায়, পেটে মেদ জমলে তা কিন্তু সহজে ঝরাতে চায় না। তাই বাড়তি মেদ নিয়ে কমবেশি সবাই ভয়ে থাকেন।

আমাদের শরীরে বিন্দু বিন্দু মেদ জমে যখন সিন্ধু হয়ে ওঠে, তখনই টনক নড়ে। শুরু হয়ে যায় ডায়েট কিংবা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা। তাতে লাভ বিশেষ কিছুই হয় না। তবে এক্ষেত্রে আশার আলো হতে পারে কিছু ফল। এমনিতেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। পেটের মেদ ঝরাতে কিছু ফল আসলেই কার্যকরী। চলুন জেনে নেই সেই উপকারী ফলগুলো পরিচিতি।

আপেল

আপেল শুধু সুস্বাদুই নয়, দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর। যা হজমশক্তি উন্নত করে। রোজ একটা করে আপেল খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। হজম ঠিক করে হয় না বলেই ওজন বাড়তে থাকে, জমে মেদ। তাই নিয়মিত আপেল খেলে মেদ জমে থাকার সম্ভাবনা কম।

পাতিলেবু

Advertisement

পাতিলেবু কমবেশি সবার বাড়িতেই থাকে। সহজলভ্য এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। রোজ পাতিলেবু খেলে যে ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাতিলেবুতে থাকা পলিফেনলস ওজন বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে মেদ জমারও কোনও সুযোগ থাকে না।

কলা

কলায় আছে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট। ফলে কলা খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। তাছাড়া কলায় আছে ফাইবার। যা হজমের গোলমাল দূর করে। মেদ জমার সুযোগ পায় না।

টমেটো

টমেটো ফল না সবজি, তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। তবে টমেটো যে ওজন কমাতে সাহায্য করে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকার কথা নয়। কারণ টমেটোতে আছে লাইকোপেন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো উপাদান, যা মেদ ঝরানোর জন্য কার্যকরী।

Advertisement

তরমুজ

গরমে স্বস্তি দেওয়া ছাড়াও তরমুজ ওজন কমাতেও পারদর্শী। পেটের মেদ ঝরানোর চেষ্টা করছেন যাঁরা, তরমুজ খেতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা জমে থাকা মেদ ঝরায়। এছাড়া শরীরে প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতি তৈরি হলেও ওজন বাড়তে থাকে। তরমুজ সেই ঘাটতি পূরণ করে।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ঘন ঘন চা-কফি পানে শরীরে যে সমস্যা হতে পারে

Published

on

আমাদের মধ্যে  এমন অনেকেই আছেন যারা এক কাপ চা কিংবা কফি ছাড়া দিন শুরু করতে পারেন না। আবার অনেকে আছেন যাঁদের কাজ করতে হলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা-কফি না হলে চলে না। কেউ কেউ আড্ডার ফাঁকে একবারে বেশ কয়েক কাপ চা-কফি খেয়ে ফেলেন।

শুধু কাজের ক্ষেত্রেই নয়, বাঙালির জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই দু’টি পানীয়। বাড়িতে কোনও অতিথি এলেও এক কাপ চা পরিবেশন করার চল রয়েছে। কোথাও গিয়ে অন্তত এক কাপ চা না পেলেই মন খারাপ হয় অনেকের। কিন্তু আপাত ভাবে নির্ঝঞ্ঝাট এই পানীয় দু’টিও বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে সমস্যায় ফেলতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত বেশি চা-কফি গ্রহনে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যদি কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে কমাতে হবে রোজের চা-কফির পরিমাণ। জেনে নিন, অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফিন শরীরে প্রবেশ করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে শরীরের।

১. অতিরিক্ত পরিমানে ক্যাফিন শরীরে প্রবেশ করলে অনেকের আচরণেই অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। ফলে বিষয়টি খেয়াল রাখতে বলছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, বিরক্তি এবং উদ্বেগও বাড়তে পারে বেশি ঘন ঘন চা বা কফি খেলে।

২. চা-কফি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে অনিদ্রার ভুক্তভোগীদের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এমন কি শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Advertisement

৩. বয়স্কদের মধ্যে যাঁদের ঘন ঘন মূত্রের বেগ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও চা, কফির মাত্রা কমাতে হবে। ক্যাফিন অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে গেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

৪) যাঁদের গ্লুকোমার সমস্যা আছে, তাঁদের জন্যও অতিরিক্ত চা, কফি খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। ক্যাফিন গ্লকোমার প্রভাব কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

৫) যাঁদের গ্যাস, অম্বলের সমস্যা আছে তাঁদেরও চা, কফি খাওয়ার মাত্রার উপর রাশ টানতে হবে। শরীরে ক্যাফিনের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছলে বুকে ব্যথা ও বমি ভাব হতে পারে।

উল্লেখিত এই সমস্যা গুলোর মধ্যে যদি একটি সমস্যাও হয়ে থাকে তাহলে রোজকার  চা-কফি গ্রহণের পরিমাণ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।

এসআই/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version