ভর্তি -পরীক্ষা
আগামীকাল শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা
আগামীকাল রোববার (৬ নভেম্বর) সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১৩ ডিসেম্বর এই পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রতিবছর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষা শুরু হয়ে থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এবং বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ বছরে যথাসময়ে এ পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
এবার সারাদেশে ৯টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন ছাত্রী। দুই হাজার ৬৪৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন স্থানের ৯ হাজার ১৮১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ২০২২ সালের সংশোধিত ও পুর্নবিন্যাসকৃত সিলেবাসে ২ টি আবশ্যিক, ৩ টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে এবং ৪র্থ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর পরীক্ষার নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি)/ এইচএসসি ভোকেশনাল) /ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষা ) পরীক্ষা ৬ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শেষ হবে। পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার এইচএসসিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা না নিয়ে তা সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর দেয়া হবে।
এতে আরো জানানো হয়,দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী সক্রাইব(শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
ভর্তি -পরীক্ষা
নটর ডেম কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৫ মে
প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নটর ডেম কলেজে একাদশ শ্রেণিতে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তির আবেদন গ্রহণ করবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামী ২৫ মে। এদিন দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়ে চলবে ৩০ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। যা বিকাশে পরিশোধ করা যাবে। কলেজের ওয়েবসাইটে ndc.edu.bd প্রকাশিত ভর্তির বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, গত কয়েক বছরের ন্যায় এবাররও নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে মিশনারি প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় মোট ৩ হাজার ২৯০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে।
এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে বাংলা মাধ্যমে ১ হাজার ৮১০টি এবং ইংরেজি মাধ্যমে ৩১০টি আসন রয়েছে। এছাড়া মানবিক বিভাগে ৪১০টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।
আবেদন করতে হবে যেভাবে
নটর ডেম কলেজ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা কলেজের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। আবেদনের পর প্রবেশপত্রের প্রিন্ট আউট কপি সংগ্রহ করতে হবে।
অনলাইনে আবেদন করার সময় ভর্তি পরীক্ষার খরচ বাবদ অফেরতযোগ্য ৪০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। ভর্তির আবেদন ও ফি পরিশোধের সব নিয়ম কলেজের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ থাকতে হবে। অবশ্যই এসএসসিতে উচ্চতর গণিত বিষয় থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য। এছাড়া মানবিক বিভাগের জন্য জিপিএ-৩.০০ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য জিপিএ-৪.০০ থাকতে হবে।
বিভাগ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে আবেদন করতে চাইলে তার এসএসসিতে কমপক্ষে জিপিএ-৪.৫০ পেতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে মানবিক বিভাগে যেতে হলে জিপিএ-৩.৫০ থাকতে হবে।
এদিকে, ফল পুনঃনিরীক্ষণে কোনো শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়ে ভর্তির আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করলে পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশের দুই দিনের মধ্যে কলেজের নির্ধারিত অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।
এসএসসিতে বাংলা মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ইংরেজি মাধ্যমের জন্য আবেদন করতে পারবে না। ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীদের আবেদনও গ্রহণ করবে না কলেজটি।
ভর্তি পরীক্ষা ও চূড়ান্ত মনোনয়ন
আবেদনকারী সব প্রার্থীকে ভর্তির লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার তারিখ ও সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে। এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ ও কলেজে লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হবে।
চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা ও ভর্তির তারিখ এবং সময় কলেজের ওয়েবসাইট, নোটিশ বোর্ড এবং ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হবে। ভুল বা অসত্য তথ্য দিয়ে ভর্তি হলে ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে এবং টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
এদিকে, ভর্তির ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও মিশনারি পরিচালিত প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় আনা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার বিষয়সমূহ
এসএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যারা বিজ্ঞান শাখা থেকে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তির আবেদন করবে, তাদের বিজ্ঞান শাখার প্রশ্নে এবং যারা ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে মানবিক শাখায় ভর্তির আবেদন করেবে, তাদের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে।
বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার বিষয় বাংলা, ইংরেজি, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান। মানবিক বিভাগে পরীক্ষার বিষয় বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি ও সাধারণ জ্ঞান। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার বিষয় বাংলা, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, আইসিটি ও সাধারণ জ্ঞান। পরীক্ষাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।
ভর্তি -পরীক্ষা
হলি ক্রস কলেজে ভর্তি কবে বিস্তারিত দেখুন
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। রাজধানী ঢাকার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলি ক্রস কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু ২৬ মে। এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং লিখিত পরীক্ষার (সিলেকশন টেস্ট) ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিজ্ঞান বিভাগ: এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ থাকতে হবে (উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান থাকতে হবে)।
মানবিক বিভাগ: এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫–এর মধ্যে কমপক্ষে ৩ থাকতে হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা: এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫–এর মধ্যে কমপক্ষে ৪ থাকতে হবে।
বিভাগ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে
বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৪ ও তদূর্ধ্ব জিপিএপ্রাপ্তরা মানবিকে আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান বিভাগের ৪.২৫ ও তদূর্ধ্ব জিপিএপ্রাপ্তরাও ব্যবসায় শিক্ষায় আবেদন করতে পারবে।
ভর্তির আবেদনের লিংক
ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ২৬ থেকে ২৯ মে সকাল আটটার মধ্যে এই লিংকে ক্লিক করে অথবা www.hcc.edu.bd তে Admission>Admission Application–এ ক্লিক করে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবে। ফরম পূরণের পর বিকাশের মাধ্যমে চার্জসহ মোট ৩০০ টাকা জমা দিয়ে ফরম সাবমিট করতে হবে। বিকাশ পেমেন্টের পর আবেদন ফরম ও পারমিট স্লিপ ডাউনলোড করা যাবে। আবেদন ফরম ও পারমিট স্লিপ ডাউনলোড দিয়ে প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত যেকোনো কাজে পারমিট স্লিপ অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
* লিখিত পরীক্ষা (সিলেকশন টেস্ট)
বিজ্ঞান বিভাগ ৩১ মে, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ আগামী ১ জুন অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার আসন ব্যবস্থাপনা ৩০ মে বিকেল পাঁচটার পর কলেজের ওয়েবসাইটে www.hcc.edu.bd তে প্রকাশ করা হবে।
ফল প্রকাশ: চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ৬ জুন বেলা একটার পর কলেজের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও কলেজের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হবে।
লিখিত পরীক্ষার বিষয়:
২০২৪ সালের সিলেবাস অনুযায়ী সিলেকশন টেস্ট হবে।
* বিজ্ঞান বিভাগ: বাংলা, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান
* মানবিক বিভাগ: বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত, ভূগোল, পৌরনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস ও সাধারণ জ্ঞান
* ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ: বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত, হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ব্যবসায় উদ্যোগ ও সাধারণ জ্ঞান
আসনসংখ্যা
বিজ্ঞান বিভাগ: ৭৮০
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ: ২৭০
মানবিক বিভাগ: ২৬০। মোট ১ হাজার ৩১০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
ভর্তির বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন
বি.দ্র.:
বিবাহিত শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয় না; সেশন চলাকালে কারও বিয়ে হলে তাকে টিসি দেওয়া হবে (বাল্যবিবাহ আইনত অপরাধ), কলেজ নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান বাধ্যতামূলক, শরীরচর্চা ও সহপাঠ্যক্রম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক, কলেজে পড়াশোনাকালে মুঠোফোন আনা ও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
ভর্তি -পরীক্ষা
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, সর্বোচ্চ ফি ৮৫০০
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কলেজে ভর্তি করার জন্য নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৫ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ নীতিমালা জারি করা হয়। এবারও সর্বোচ্চ ভর্তি ফি রাখা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা।
ভর্তির যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচন
পূর্ববর্তী তিন বছরে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি; মানবিক গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপ এর যে কোনটিতে আবেদন করতে পাবরে।
আর যে কোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপ এর যে কোনটি; মাদরাস শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যাতীত যে কোনোটিতে আবেদন করতে পারবে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোন গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, মেট্রোপলিটন (ঢাকা ছাড়া) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা, জেলায় ২ হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্বলে দেড় হাজার টাকা।
নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ভার্সনে সাড়ে ৭ হাজার টাকা, ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে ৮ হাজার টাকা, মেট্রোপলিটন (ঢাকা ছাড়া) বাংলা ভার্সনে ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ৬ হাজার টাকা, জেলায় বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্বলে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা।
শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করার সময় রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১৪২ টাকা, ক্রীড়া ফি বাবদ ৫০ টাকা, রোভার/রেঞ্জার ফি বাবদ ১৫ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৬ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, বিএনসিসি ফি ৫ টাকা, শিক্ষক কল্যাণ ফি ও অবসর সুবিধা ভাতা ফি ১০০ টাকাসহ মোট ৩৩৫ টাকা নিতে পারবে।
প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি
ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশসহ মোট ২ শতাংশ কোটা মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।
মোট আসনের ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের শনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান/বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী/খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।
কোনও কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে।
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানকে তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে।
সব কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয় তথা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ও সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। কোন প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয় ও বোর্ড নির্ধারিত তারিখের বাইরে নিজ ইচ্ছামাফিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
অনলাইনে ভর্তি
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য এই হচ্ছে ওয়েবসাইটের ঠিকানা।
শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তি, ভর্তি ও ফি
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত আসন সংখ্যা (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ, শিফট্, পুরুষ/মহিলা/সহশিক্ষা, ভার্সন) এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি ফিসহ অনুমোদিত অন্যান্য সকল ফি, ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ কোনক্রমেই উন্নয়ন ফি গ্রহণ করতে পারবে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন।
নন এমপিও/আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নীতিমালা অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন।সরকারি কলেজগুলো সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে।
দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ভর্তি প্রক্রিয়ার আগেই বেসরকারি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচ এর লিস্ট স্ব স্ব কলেজের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে হবে।
কোনো শিক্ষার্থীর নিকট হতে অনুমোদিত ফি-এর অতিরিক্ত কোনো অর্থ গ্রহণ করা যাবে না এবং অনুমোদিত সকল ফি যথাযথ রশিদ প্রদানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীর নিকট হতে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করার সময় শিক্ষার্থী প্রতি নীতিমালা অনুযায়ী ফি গ্রহণ করবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে এই ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন। প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক ক্রীড়া মঞ্জুরি ফি বাবদ ৩০০ টাকা বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে।
ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/বোর্ড প্রতিবছর নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ বরাবর ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু সংক্রান্ত সিডিউলের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণ পূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করবেন এবং তা প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবেন।
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র/ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
-
অপরাধ4 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়7 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
বাংলাদেশ4 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
অপরাধ2 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
টুকিটাকি4 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
ঢাকা6 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
-
অপরাধ4 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
-
জাতীয়2 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন