Connect with us

ফিচার

‘মৃত্যুর দূত’ যখন নিজেরই মৃত্যুর কারণ

Published

on

মৃত্যুর দূত

জীবনের দূত হওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু আদতে তিনি ছিলেন ‘মৃত্যুর দূত’। চিকিৎসক হয়েও দুই শতাধিক রোগীকে খুন করেছিলেন তিনি। সংখ্যাটা কেউ কেউ দাবি করেন আড়াইশো। আর সে কারণেই ইতিহাস তাকে চিনে ‘ডক্টর ডেথ’ নামে। নাম তার হ্যারল্ড শিপম্যান।

কে এই হ্যারল্ড শিপম্যান?

১৯৪৬ সালে ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামে জন্ম তার। লিডস স্কুল অফ মেডিসিনে চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৭৬ সালে টডমরডেনের একটি হাসপাতালে কাজ শুরু করেন।

২০০০ সালে নিজের ১৫ জন রোগীকে খুনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন হ্যারল্ড। আদালত শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন দেয় তাকে। যদিও মনে করা হয়, অন্তত ২৫০ জন রোগীকে খুন করেছিলেন তিনি। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন প্রবীণ মহিলা।

রোগীরা চাইলে তাদের নিষিদ্ধ পেনকিলার ওষুধ লিখে জাল প্রেসক্রিপশন দিতেন। নিজেও সেই পেনকিলার খেয়ে নেশা করতেন। ডাক্তারি শুরু করার এক বছরের মাথায় ৬০০ পাউন্ড জরিমানা হয় হ্যারল্ডের। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্য এখন ৬৮ হাজার ৮০০ টাকা। জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিল তাকে প্র্যাকটিস করতে নিষেধ করে দেয়।

Advertisement

তিন বছর পর গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টরে দিয়ে আবারও প্র্যাকটিস শুরু করেন হ্যারল্ড। তবে কোনও বিশেষজ্ঞ হিসাবে নয়, জেনারেল প্র্যাকটিশনার হিসাবে। ১৯৯৩ সালে হাইডে নিজের প্র্যাকটিস শুরু করেন হ্যারল্ড। প্রায় তিন হাজার রোগীকে দেখেছিলেন তিনি।

সময়টা ১৯৯৮ সালের মার্চ। সে সময় হ্যারল্ড সম্পর্কে প্রথম সন্দেহ জেগেছিল ডেবোরা ম্যাসি নামে এক মহিলার। শেষকৃত্য করে এমন একটি সংস্থায় কাজ করতেন ডেবোরা। তিনি লক্ষ করেন, তার আগের কয়েক বছরে মৃতদের মধ্যে একটা বড় অংশ হ্যারল্ডের চিকিৎসাধীনে ছিলেন। পুলিশকে তিনি সে কথা জানান। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও প্রমাণের অভাবে বন্ধ করে দেয় তাদের কাজ।

১৯৯৮ সালে ক্যাথলিন গ্রান্ডি নামে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন হ্যারল্ড। একই বছর জুনে গ্রান্ডির চিকিৎসা করেছিলেন হ্যারল্ড। ওই বছরেই নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় ক্যাথলিন গ্রান্ডির।

ক্যাথলিন গ্রান্ডির মেয়ে অ্যাঞ্জেলা উড্রাফ পেশায় এক আইনজীবী। মায়ের মৃত্যুর পর তিনি জানতে পারেন, ক্যাথলিনে সব সম্পত্তি দিয়ে গিয়েছেন চিকিৎসককে। এর পরেই সন্দেহ বাড়ে অ্যাঞ্জেলার। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান তিনি।

পুলিশ ময়নাতদন্ত করায় ক্যাথলিনের দেহের। তাতে ওই প্রবীণার শরীরে হেরোইন (ডায়মরফিন) মিলেছিল। ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয় এই ডায়মরফিন।

Advertisement

পুলিশের জেরায় হ্যারল্ড দাবি করেন, নেশা করতেন ক্যাথলিন। নিয়মিত মরফিন, হেরোইন খেতেন। যদিও পুলিশ সে প্রমাণ পায়নি। ক্যাথলিনের বাড়িতে গিয়ে তারা বুঝতে পারে, তার টাইপরাইটার ব্যবহার করে ভুয়ো উইল তৈরি করেছিলেন হ্যারল্ড।

১৯৯৮ সালের আগস্টে হ্যারল্ডকে নিয়ে একই সন্দেহ হয় এক ট্যাক্সি চালকের। জন শ নামে ওই চালক পুলিশকে বলেন, অনেক প্রবীণ মহিলাকে তিনি হ্যারল্ডের চেম্বারে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে জানতে পারেন ঐ রোগীদের মৃত্যু হয়েছে। জনের দাবি, তারা কেউই মৃত্যু হওয়ার মতো অসুস্থ ছিলেন না। ১৯৯৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন হ্যারল্ড। ২০০০ সালে তাকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়।

২০০১ সালের ইংল্যান্ড সরকার রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ২৩৬ জন রোগীকে খুন করেছিলেন হ্যারল্ড। ২০০২ সালে তদন্ত শুরু হয় হ্যারল্ডের বিরুদ্ধে। সেই তদন্তে দেখা গিয়েছে, ১৯৯৯ সালেই তিনি ১৫ জন রোগীকে খুন করেন। এর পর হ্যারল্ডের ১৫ জন রোগীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। প্রত্যেকের শরীরেই মেলে ডায়মরফিন। প্রত্যেক রোগীর প্রেসক্রিপশনেই হ্যারল্ড লিখে রেখেছিলেন, তারা গুরুতর অসুস্থ।

এরপর ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে ওয়েকফিল্ড জেলেই আত্মহত্যা করেন হ্যারল্ড।

সংবাদ মাধ্যমের দাবি, আত্মহত্যার আগে পুলিশ কর্মীদের হ্যারল্ড জানিয়েছিলেন, তার স্ত্রী যাতে অবসরভাতা পান সে কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

Advertisement

সূত্র: সিরিয়াল কিলারস উইকি

ফিচার

প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস

Published

on

বলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।

এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে,  প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।

আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।

আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।

তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)

Published

on

৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।

নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।

নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।

নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।

Advertisement

এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।

তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।

এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।

Advertisement

ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মালিহা ফাইরুজের বিশ্ব রেকর্ড

Published

on

একে তো বিশ্বর সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, তার উপর তিনি আবার নারী। সঙ্গে গায়ের রঙও ছিলো একটি বড় বিষয়। ইমিগ্রেশন অফিসার , পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু এ বিষয়গুলো রুখতে পারেনি তাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইতোমধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।

যার কথা এতক্ষণ বলছিলাম, নাম তার মালিহা ফাইরুজ।

জানেন কি সেই দুর্বল পাসপোর্টটি কোন দেশের?

এটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট র‍্যাংকিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।

এই পাসপোর্ট নিয়েই এতগুলো দেশ ভ্রমণ করায় গত অক্টোবরে মালিহা ফাইরুজকে ‘নোমাডম্যানিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। মূলত ভ্রমণে ব্যতিক্রম কোনো কিছু করে দেখানোর কৃতিত্বস্বরূপ প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবার নানা কারণে ১১ জনকে এ পুরস্কারটি দেয়া হলেও মালিহাকে দেয়া হয়েছে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।

Advertisement

বাংলাদেশি পাসপোর্টকে পৃথিবীর সপ্তম ‘বাজে’ পাসপোর্ট আখ্যা দিয়ে নোম্যাডমেনিয়া কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘এই পাসপোর্ট নিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে এমনও হয়েছে যে মালিহাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  অভিবাসন কারাগারে রাখা হয়েছে, তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই তার ভ্রমণের চেতনাকে ম্লান করেনি।’

সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ৪০টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্টের র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে প্রবেশ করা যায়।

ভ্রমণে গায়ের রং একটি বড় ইস্যু। মালিহার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে—তারা অবৈধ অভিবাসী।

আফ্রিকার দেশ ক্যাপ ভার্দ, যেটি মূলত একটি ছোট দ্বীপ মাত্র। সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে মালিহাকে দেশটির বিমানবন্দরে আটকে রাথা হয়েছিল ১৭ ঘন্টা। প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধু পাসপোর্টের জন্য তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় দেশটিতে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশ থেকে তিনি উড়োজাহাজে উঠেছিলেন সেই সেনেগালে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন-চার দিনের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কেউ ক্যাপ ভার্দে ভ্রমণ করে না। ১৭ ঘণ্টা আটক রাখার পর শেষ পর্যন্ত মালিহাকে ঢুকতে দিয়েছিল তারা। কারণ, জাতিসংঘে কর্মরত তার মা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

কিরগিজস্তানে ফাইরুজের ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ঐ দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আর ঐ আমন্ত্রণপত্রটি পেতে, তাকে আগে প্রথমে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতে হয়। এর পরে আরো পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে অপেক্ষা করতে হয়– ভিসার অনুমোদন পেতে।

Advertisement

ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফাইরুজের প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশি হওয়ায় বিভিন্ন গৎবাঁধা আচরণ এর সম্মুখীন হওয়া। অন্যান্য দেশের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে ধনী পর্যটক মনে করার বিপরীতে বাংলাদেশিদের ধরে নেয়া হয় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এ ছাড়া, নারী ভ্রমণকারী হিসেবেও তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ফাইরুজ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার মায়ের সাথে পূর্ব আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বার্লিনে বাস করছেন। সেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।

দূর্বল পাসপোর্টের নানা প্রতিবন্ধকতার কাছে অদম্য মালিহা বিশ্বাস করেন, তার ভ্রমণে নেতিবাচক বিষয়গুলোর চেয়ে ইতিবাচকের পাল্লাই ভারী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আইন-বিচার12 seconds ago

জামিনে মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। আজ শুক্রবার...

দুর্ঘটনা18 mins ago

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ

গাজীপুরে জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের ৫ টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আহত...

জাতীয়1 hour ago

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। রেজ্যুলেশনটিতে ১১২টি দেশ কো-স্পন্সর করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার...

জাতীয়9 hours ago

মুক্তি পাননি মামুনুল হক, কখন পাবেন জানালো কারা কর্তৃপক্ষ

ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার(২মে) রাতে মুক্তি পাননি। ওই রাতেই তার...

আইন-বিচার12 hours ago

মামুনুল হকের জামিন, জেল গেটে নেতাকর্মীদের ভিড়

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুন হক আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এখন কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির অপেক্ষায় আছেন। রাতেই তিনি কারা মুক্ত...

জাতীয়14 hours ago

বাসার পথে বেগম খালেদা জিয়া

প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল ছাড়লেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২৪ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে...

বাংলাদেশ14 hours ago

‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’

গাজা ও ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসানে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্থানীয় সময় বুধবার(১...

জাতীয়15 hours ago

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা

সদ্যবিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২...

অপরাধ16 hours ago

নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

মায়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের ফেরত আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে...

জাতীয়16 hours ago

নির্বাচনে কাউকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না: রাশেদা সুলতানা

নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে...

Advertisement
আইন-বিচার13 seconds ago

জামিনে মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

দুর্ঘটনা19 mins ago

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ

বলিউড33 mins ago

ফের ছাদনাতলায় ধর্মেন্দ্র আর হেমা মালিনী!

রাজশাহী46 mins ago

ইউপি নির্বাচনে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

চট্টগ্রাম55 mins ago

নাফ নদী থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি

উত্তর আমেরিকা1 hour ago

ভারত ও জাপানকে ‘জেনোফোবিক’ বললেন বাইডেন

জাতীয়1 hour ago

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

এশিয়া2 hours ago

ইসরায়েলের সাথে সব বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক

আবহাওয়া2 hours ago

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

অন্যান্য2 hours ago

টিভিতে আজকের খেলা

দুর্ঘটনা7 days ago

৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই

বাংলাদেশ7 days ago

এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!

আবহাওয়া6 days ago

রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি

টুকিটাকি4 days ago

সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও

ঢাকা3 days ago

টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার

বাংলাদেশ7 days ago

৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি

অপরাধ2 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

খুলনা5 days ago

গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক7 days ago

বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত

দেশজুড়ে2 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

উত্তর আমেরিকা1 week ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায়
Exit mobile version