Connect with us

অন্যান্য

সরকার ঘোষিত এই বাজেট একটি ব্যর্থ বাজেট: ড. রেজা কিবরিয়া

Published

on

একজন ব্যবসায়ী অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের জন্যই এই বাজেট ঘোষণা করেছে। প্রতিটি প্রকল্পে সরকারের লুটপাটের কারণে এ বাজেট বাস্তবায়ন হবে না, তাই ঘোষিত এই বাজেট একটি ব্যর্থ বাজেট। বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া।

সোমবার (৭ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের ঘোষিত জাতীয় বাজেট নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ "তারুণ্যের বাজেট পর্যালোচনা" শীর্ষক সেমিনারে রেজা কিবরিয়া এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বরাদ্দের পুরো টাকাই অপব্যবহার করছে, ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎই আমরা ব্যবহার করতে পারছি না, অথচ এখাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে,  লুটপাট হচ্ছে। এ মূহুর্তে  দেশের সবচেয়েই গুরুত্বপূর্ণ দুইটি খাত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কে এই বাজেট প্রাধান্য দেয়া হয়নি, মহামারী করোনা বিবেচনায় স্বাস্থ্য খাতকে অনেক গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভ্যার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই বাজেটে যাদের অনেক সম্পদ আছে যেমন কর্পোরেট শ্রেণী,গার্মেন্টস মালিক, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পুঁজিপতি ইত্যাদি তাদেরকেই সুযোগ-সুবিদা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে দরিদ্র, সম্পদহীন,কম সম্পদশালী বিশাল জনগোষ্ঠীর উপর উল্টো করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিনিময়ে কিছু তেমন দেয়া হয়নি।তিনি সরকারের সমালোচনা করে আরো বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও কয়লা নির্ভর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বছর বছর বাজেটে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে, অথচ এসব কোম্পানির বিদ্যুৎ আমরা ব্যবহার করতে পারছি না।

ডাকসু ভিপি নুরুলহক নুর বলেন, এ পরিস্থিতিতে যেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিলো। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়নি, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কোন ভুর্তুকি বা প্রণোদনা নেই।স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দিয়ে যেখানে সকলের জন্য টিকা নিশ্চিতের পাশাপাশি জেলা,উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে বাড়তি বরাদ্দ দরকার ছিলো,সেখানে বাজেটে এ নিয়ে কোন রূপরেখা দেওয়া হয়নি। 

Advertisement

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্গ আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন শিক্ষাখাতে ৭১ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, যা জাতীয় বাজেটের ১১.৯২%। যা আন্তর্জাতিক মানের দিক থেকে নগন্য। যেকোন দেশের শিক্ষাখাতে বাজেট মোট বাজেটের ১৫-২০% হওয়া উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে সবসময় শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু একটি দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষাখাতকে সবসময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হয়। এই বাজেটে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের উপরে ১৫% ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। যেটি প্রত্যাহার করতে হবে।

এসময় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, লেখক রাখাল রাহা। সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, পরিবেশবাদী আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান । সেমিনারে মূল বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সাদ্দাম হোসেন।  যুব পরিষদের সদস্য সচিব মঞ্জুর মোর্শেদের সঞ্চালনায়  আরো বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্র, যুব ও শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর, যুব পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ ও যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমান। শ্রমিক পরিষদের আহবায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্য সচিব আরিফ হোসেন।

 

অন্যান্য

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক

Published

on

অর্ধশতাধিক মামলায় গ্রেপ্তারের সময় জব্দকৃত মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (১৮ মে) বিকালে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, গ্রেপ্তারের সময় মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তিনি।

তবে তার মোবাইলটি ডিবি হস্তান্তর করেছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই মাসেই বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গেলো ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মামুনুল হক।

Advertisement

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

ডিবিতে হেফাজত নেতা মামুনুল হক

Published

on

ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক। তবে তিনি কী কারণে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তা জানা যায়নি।

শনিবার (১৮ মে) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক আজ বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কিছুক্ষণ পর জানানো হবে।

ডিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তিনি। সাক্ষাতে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেটা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই মাসেই বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গেলো ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মামুনুল হক।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি’

Published

on

ইসরায়েলর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরাসরি ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। যখনই আমাদের প্রয়োজন হবে, সুযোগ হবে, আমাদের যা কিছু আছে সব নিয়ে ইসরায়েলের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ব। সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

শুক্রবার (১০ মে) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত অব্যাহত ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে নামাজের পর স্লোগানে স্লোগানে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ মুখর করে তোলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘের জবাব চাই’। সমাবেশ চলাকালে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে নাড়তে থাকেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, আপনি যদি ইসরায়েলের বিপক্ষে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকেন তাহলে বলতে চাই, তাহলে আপনি ইসরায়েলের বিপক্ষে একদল সৈন্য বাহিনী গঠন করুন।

তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলি পণ্য বয়কট নয়, বাংলাদেশে ইসরায়েলের কোনো পণ্য ঢুকতে দেয়া হবে না। এটি আইন করে নিষেধ করতে হবে। তাহলেই আমরা বুঝব আপনি ইসরায়েলের বিপক্ষে।

Advertisement

ভারতকে উদ্দেশ করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, আজ বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমানকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আজ এই ভূখণ্ডকে বিক্রি করার ষড়যন্ত্র চলছে। আজ বন্ধু বলে যাদের আপন করতে চাই, তারা আমাদের বুকের ওপর বারবার গুলি করবে, আমাদের ভূখণ্ড দখল করার ষড়যন্ত্র করবে, এ দেশের ইসলামকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করবে, এ দেশের মানুষকে গোলাম বানাবার চক্রান্ত করবে, এ দেশের মানুষ তা মানতে পারে না। কাজেই শুধু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, যে ভারত ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে, ইসরায়েলের পক্ষে তারা দাবি তুলেছে, সেই ভারতকে বাংলাদেশের মানুষ বয়কট করে তাদের আপন করতে পারে না।

কর্মসূচি ঘোষণা করে ফয়জুল করীম বলেন, একই দাবিতে শুক্রবার দেশের সব উপজেলা, জেলা ও মহানগরীতে মিছিল করা হবে। এ ছাড়া ফরিদপুরে যেসব শ্রমিক ভাইয়েরা হত্যার স্বীকার হয়েছে, আজও সেই খুনিদের অ্যারেস্ট করতে সরকার পারেনি, ব্যর্থ হয়েছে। যদি সরকার তালবাহানা করে তবে ইনশাআল্লাহ ফরিদপুরে বিশাল জনসভার ঘোষণা দেব। পুরো দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ একত্রিত হয়ে আমরা এই খুনিদের বিপক্ষে আন্দোলন করব।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version