Connect with us

আন্তর্জাতিক

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

Published

on

প্রিসিলা সিতিনেই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থী যার বয়স ছিল ৯৯ বছর। সম্প্রতি এই বয়স্ক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। কেনিয়ায় নিজ বাড়িতে প্রিসিলার মৃত্যু হয়েছে বলে তার নাতি নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

১২ বছর বয়সী সহপাঠীদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ফাইনাল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন প্রিসিলা। তবে এরই মধ্যে গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর প্রিসিলার স্বাস্থ্যগত জটিলতা শুরু হয়।

তাকে নিয়ে ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ওই চলচ্চিত্র ইউনেস্কোর ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।

প্রিসিলা ইউনেস্কোকে বলেন, বিশ্বের যেসব মেয়ে বিদ্যালয়ে যায় না, তাদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে চাই। কারণ শিক্ষা ছাড়া আপনার ও একটি মুরগির মধ্যে আসলে কোনো পার্থক্য নেই।

Advertisement

প্রিসিলা ২০১০ সালে স্থানীয় লিডারস ভিশন প্রিপারেটরি স্কুলে ভর্তি হন। তিনি ৬৫ বছর ধরে নিজ গ্রাম দালাতের রিফট ভ্যালি এলাকায় ধাত্রী হিসেবে সেবা দিয়েছেন। স্কুলে যারা তার সহপাঠী ছিল, তাদের অনেকের জন্মই প্রিসিলার হাতে হয়েছে।

উত্তর আমেরিকা

ভারত ও জাপানকে ‘জেনোফোবিক’ বললেন বাইডেন

Published

on

ভারত ও জাপানকে ‘জেনোফোবিক’ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেনোফোবিক অর্থ হচ্ছে- বিদেশি বা অভিবাসীদের প্রতি ভীতি বা নেতিবাচক মনোভাব। অবশ্য এই মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেন কোনও দেশের অপরাধের কথা বলেননি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

শুক্রবার (৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাপান এবং ভারতকে ‘জেনোফোবিক’ বলে অভিহিত করেছেন। মূলত মার্কিন মিত্র এই দুটি দেশকে তিনি রাশিয়া এবং চীনের সাথে একত্রিত করে একই কাতারে এমন দেশ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন যারা ‘অভিবাসী চায় না’।

বিবিসি বলছে, জাপানের বিরুদ্ধে বাইডেনের সমালোচনামূলক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন এবং সেসময় মার্কিন-জাপান জোটকে ‘অলঙ্ঘনীয়’ বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন।

এছাড়া মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ভারত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। অবশ্য হোয়াইট হাউস বলেছে, নিজের মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেন কোনও দেশের অপরাধের কথা উল্লেখ করেননি।

Advertisement

স্থানীয় সময় গেলো বুধবার সন্ধ্যায় প্রচারণা তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে কথা বলেন বাইডেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানত এশিয়ান-আমেরিকান দর্শকদের উদ্দেশেই কথা বলছিলেন। এসময় বাইডেন বলেন, চলতি বছরের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচন হবে ‘স্বাধীনতা, আমেরিকা এবং গণতন্ত্র’ নিয়ে।

মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, কেন? কারণ আমরা অভিবাসীদের স্বাগত জানাই। এটা নিয়ে ভাবুন। কেন চীন অর্থনৈতিকভাবে এত খারাপভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে? কেন জাপানের সমস্যা হচ্ছে? কেন রাশিয়া? কেন ভারত? কারণ তারা জেনোফোবিক। তারা অভিবাসীদের চায় না।

বাইডেনের এই বক্তব্যের পর বিবিসি মন্তব্যের জন্য জাপান, ভারত, চীন এবং রাশিয়ার মার্কিন দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে। অবশ্য এই মন্তব্যটির বিপরীতে মার্কিন পর্যবেক্ষকদের সমালোচনা সামনে এসেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক মার্কিন উপ-সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এলব্রিজ কোলবি লিখেছেন, জাপান এবং ভারত আমাদের দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।

তার দাবি, আমাদের তাদের সাথে সম্মানের সাথে কথা বলা উচিত। এটিই তাদের প্রাপ্য। আমাদের মিত্রদের প্রতি সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করা বোকামি।

Advertisement

অবশ্য বাইডেনের এসব মন্তব্য অবমাননাকর অর্থে বোঝানো হয়েছে এমন বিষয় অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তিনি (বাইডেন) মার্কিন অভিবাসন নীতিতে আরও বিস্তৃত বক্তব্য রেখেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ভালোভাবে জানেন, তাদের বন্ধুত্ব, তাদের সহযোগিতার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন কীভাবে তাদের মূল্যায়ন করেন। তারা জানে, তিনি জোট এবং অংশীদারিত্বের ধারণাকে কতটা গুরুত্ব দেন।

ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ সদানন্দ ধুমে বিবিসিকে বলেছেন, বাইডেনের মন্তব্য সম্ভবত ভারতে খারাপভাবে গ্রহণ করা হবে কারণ দেশটি একটি ‘জাতীয়তাবাদী উত্থান’ অনুভব করছে।

তিনি বলেন, এই মন্তব্য ভারতীয়দের একটি অংশের মধ্যে এমন ধারণা নিশ্চিত করবে যে, বাইডেন ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নন। তারা চীনের মতো স্বৈরাচারী দেশগুলোর সাথে একই কাতারে নিজেদের দেখতে পাওয়াকে ভালোভাবে নেবে না।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘উল্লেখযোগ্য’ ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইসরায়েলের সাথে সব বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক

Published

on

গাজা উপত্যকায় ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল গাজায় ‘বাধাহীন ও যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ প্রবাহ’ অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত এ পদক্ষেপ বহাল থাকবে।

এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে যে এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়, তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।

দেশ দুটির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ‘স্বৈরশাসক’ এর মতো আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।

Advertisement

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎয বলেন, এরদোয়ান ‘তুরস্কের জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অসম্মান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সমঝোতাকে উপেক্ষা করেছেন’।

তিনি জানান, মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন যে তুরস্কের সাথে বাণিজ্যের বিকল্প সন্ধান করতে যাতে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্য দেশ থেকে আমদানিতে জোর দেয়া হবে।

১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরায়েলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরায়েলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে দশজন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি অধিকারকর্মী নিহত হবার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিলো।

পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দুই বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হবার ঘটনায়।

Advertisement

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গেলো সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

তিনি বলেছেন, হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা ‘হিটলার যা করেছিলো তার চেয়ে কোন অংশে কম নয়’।

জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এরদোয়ান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত করেছেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেছেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন’।

গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে এগার লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিলো এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে পিয়ার নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েকদিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

Advertisement

ভাসমান ওই পিয়ারে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিলো।

যদিও জাতিসংঘ বলেছে সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।

এর আগ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারংবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরায়েল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে। তবে জর্ডান বলেছে তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বিবিসিকে বলেছেন যে এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরায়েল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

Advertisement

ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-হামাস নতুন যুদ্ধবিরতি! যা আছে প্রস্তাবে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের  স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দী বিনিময় নিশ্চিত করতে আলাপ-আলোচনা চলছে। তিন দফায় একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী  তিন দেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। সম্প্রতি ওই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির একটি খসড়া লেবাননের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-মায়েদিনের কাছে পৌঁছেছে।

এরই ভিক্তিতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, খসড়া প্রস্তাবে মূলত তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এতে শুধুমাত্র জিম্মি ও বন্দীদের বিনিময়ের কথা বলা হয়নি, গাজাসহ এই অঞ্চলের শান্ত পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ি, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে চলে যাবে। এসময় দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টা ইসরায়েলি সামরিক বা বেসামরিক বিমান গাজার  আকাশে উড়বে না।  বন্দী-জিম্মি বিনিময়ের দিন  অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়বে না।

প্রথম ধাপের ৭ম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী আল-রশীদ স্ট্রিট থেকে আরও পূর্ব দিকে সরে যাবে। এই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।

প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী সেন্ট্রাল গাজা থেকে সরে গিয়ে গাজা-ইসরায়েল বিভক্তকারী সীমানায় চলে যাবে। এই সময়ে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে।

Advertisement

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস তাদের হাতে জীবিত থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েলি একজন জিম্মির বিপরীতে ২০ জন করে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে। আর এই  মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের আর কখনোই গ্রেপ্তার করবে না মর্মে ইসরায়েলকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

তবে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে বাধ্য থাকবে ইসরায়েল।

খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস  এবং  পরবর্তীতে প্রতি তিন দিন পরপর ৩ জন করে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে।

এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির ১৪ তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস যোদ্ধাসহ অন্যান্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যই এই ব্যবস্থা। প্রথম ধাপের ১৬ তম দিনে হামাস ও ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে যাতে এই অঞ্চলকে শান্ত রাখা যায়। প্রথম ধাপের প্রতিটি পর্যায়ে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ সবাই গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করবে।

প্রস্তাবিত খসড়া অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য  একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, নিজ ভূমিতে বাস্তুচ্যুত হওয়াদের  জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও বলা হয়েছে ওই খসড়া চুক্তিতে।

Advertisement

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঐক্যমতে পৌঁছবে। এছাড়া, এই ধাপে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়াসহ তা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।

তৃতীয় ধাপের মেয়াদও হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষের হাতে থাকা নিহত হামাস যোদ্ধা বা  ইসরায়েলি সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এসময় ফিলিস্তিনের হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গাজায় কোনো সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকবে বলে খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়।

তৃতীয় ধাপে চলার সময় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন বা পক্ষগুলো যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার কোনো সরঞ্জাম, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপাদান আমদানি করতে পারবে না। আল-মায়েদিনের প্রাপ্ত নথিতে জানা গেছে, এই চুক্তির গ্যারান্টার বা নিশ্চয়তাদানকারী হচ্ছে- কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এমআর

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আইন-বিচার33 mins ago

জামিনে মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। আজ শুক্রবার...

দুর্ঘটনা51 mins ago

গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ

গাজীপুরে জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের ৫ টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আহত...

জাতীয়2 hours ago

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। রেজ্যুলেশনটিতে ১১২টি দেশ কো-স্পন্সর করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার...

জাতীয়10 hours ago

মুক্তি পাননি মামুনুল হক, কখন পাবেন জানালো কারা কর্তৃপক্ষ

ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার(২মে) রাতে মুক্তি পাননি। ওই রাতেই তার...

আইন-বিচার13 hours ago

মামুনুল হকের জামিন, জেল গেটে নেতাকর্মীদের ভিড়

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুন হক আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এখন কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির অপেক্ষায় আছেন। রাতেই তিনি কারা মুক্ত...

জাতীয়14 hours ago

বাসার পথে বেগম খালেদা জিয়া

প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল ছাড়লেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২৪ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে...

বাংলাদেশ15 hours ago

‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’

গাজা ও ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসানে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্থানীয় সময় বুধবার(১...

জাতীয়15 hours ago

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা

সদ্যবিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২...

অপরাধ16 hours ago

নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

মায়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের ফেরত আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে...

জাতীয়16 hours ago

নির্বাচনে কাউকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না: রাশেদা সুলতানা

নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে...

Advertisement
পরামর্শ15 mins ago

লেবুতে রস আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

চট্টগ্রাম20 mins ago

বাঘাইছড়িতে পাহাড় ধস, যান চলাচল বন্ধ

আইন-বিচার33 mins ago

জামিনে মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

দুর্ঘটনা51 mins ago

গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ

বলিউড1 hour ago

ফের ছাদনাতলায় ধর্মেন্দ্র আর হেমা মালিনী!

রাজশাহী1 hour ago

ইউপি নির্বাচনে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

চট্টগ্রাম1 hour ago

নাফ নদী থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি

উত্তর আমেরিকা2 hours ago

ভারত ও জাপানকে ‘জেনোফোবিক’ বললেন বাইডেন

জাতীয়2 hours ago

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

এশিয়া2 hours ago

ইসরায়েলের সাথে সব বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক

দুর্ঘটনা7 days ago

৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই

বাংলাদেশ7 days ago

এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!

আবহাওয়া6 days ago

রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি

টুকিটাকি4 days ago

সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও

ঢাকা3 days ago

টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার

বাংলাদেশ7 days ago

৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি

অপরাধ2 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

খুলনা5 days ago

গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

দেশজুড়ে2 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক7 days ago

বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত

উত্তর আমেরিকা1 week ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায়
Exit mobile version