Connect with us

অপরাধ

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে নানাকে হত্যা

Published

on

বেড়াতে যাওয়ার টাকার জন্য পরিকল্পনা করে মাদকাসক্ত প্রেমিক রাজুকে সাথে নিয়ে নানাকে হত্যা করেছে নাতনি আনিকা। এ ঘটনায় জড়িত ছিল তার ছোট ভাই আলভিও।  গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার চকবাজার এলাকায় হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।

তিনি বলেন, আনিকাদের পরিকল্পনা ছিল নানাকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে লুট করা হবে নগদ টাকা। তবে ঘটনাক্রমে ডাকাতির সময় মারধরে মারা যান নানা হাজী মনসুর আহম্মেদ (৮০)।

এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত পরিবারের সদস্যরাই।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বকশিবাজার, চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ থেকে মনসুর আহম্মেদের দুই নাতি-নাতনিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ।

Advertisement

গ্রেপ্তাররা হলেন- মনসুর আহম্মেদের মেয়ের দুই ছেলে-মেয়ে শাহাদাত মুবিন আলভী-আনিকা তাবাসসুম, তাবাসসুমের ছেলেবন্ধু রাজু, রাজুর ভাই রায়হান ও তাদের পরিচিত সাঈদ।

পুলিশ জানায়, গত ১৭ নভেম্বর একমাত্র নানা ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা ছিলেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। এই সুযোগে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে চকবাজার খাজে দেওয়ান রোডের ফার্স্ট লেনের ছয়তলা ভবনের দোতলায় ডাকাতির জন্য প্রবেশ করে একদল তরুণ।

সত্তরোর্ধ্ব হাজী মনসুর আহম্মেদকে অচেতন করার জন্য ইনজেকশন দিতে গেলে তিনি বাধা দেন। আর তখনই মারধর করলে তিনি মারা যান। আর ডাকাতি করতে আসা তরুণরা তার বাসা থেকে নিয়ে যান ৯২ হাজার টাকা।

ঘটনার পর ১৯ নভেম্বর নিহতের ছেলে আসগার আহম্মেদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় দস্যুতাসহ হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে যে, মনসুর আহম্মেদ হত্যায় তার পরিবারের সদস্যরাই জড়িত।

ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে একটি সিরিঞ্জ পাওয়া যায়। এই সিরিঞ্জকে কেন্দ্র করেই তদন্ত মোড় নেয়। শুরুতে আমরা দস্যুতাসহ খুনের মামলা নিলেও পরে পরিবারের সদস্যদের পরিকল্পনায় খুনের প্রমাণ পাই।

Advertisement

তিনি বলেন, নাতনি আনিকা ন্যাশনাল ডেন্টালে পড়েন। তিনি মূল পরিকল্পনাকারী, তার ভাই, তার ছেলেবন্ধু ও অন্যান্যরা পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতি করতে গিয়েছিলেন। ঘুরতে যাওয়ার জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। সেই টাকা জোগাড় করতেই ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয়।

এক মাস আগে এই ডাকাতির পরিকল্পনা হয় উল্লেখ করে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, তারা বাসা ফাঁকা থাকার সুযোগ খুঁজছিলেন। সুযোগটি আসে ১৭ নভেম্বর রাতে। পরিবারের সদস্যরা চাঁন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়েতে অংশ নিতে যান। আনিকাও সেখানে যান। সেখান থেকেই ঘটনার তদারকি করেন তিনি।

আর বাড়ির আশেপাশে থেকে আনিকার ছেলেবন্ধু রাজু ওয়াচার হিসেবে কাজ করেন। ডাকাতি করতে বাসায় প্রবেশ করেন আনিকার ভাই আলভী, রাজুর ভাই রায়হান ও সাঈদ।

এই তিনজন ভুক্তভোগীকে ইনজেকশন দেয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেন ভুক্তভোগী। আর তখনই রায়হান ও সাঈদ মনসুর আহম্মেদকে মারধর করে ঘরে থাকা টাকা লুট করে নিয়ে যান। টাকাগুলো খুঁজে বের করে দেন আলভী।

বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, ৯২ হাজার টাকা লুট হয়। এখান থেকে ৬২ হাজার টাকা আনিকার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

পারিবারিক মূল্যবোধ ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ডাকাতি করা। আনিকা ও আলভী পরিবার থেকে হাতখরচ হিসেবে খুবই সামান্য টাকা পেতেন। ঘুরতে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা প্রয়োজন থেকে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তারা। ঘটনাক্রমে হত্যার শিকার হন মনসুর আহম্মেদ।

ভুক্তভোগী মনসুর আহম্মেদের স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ের দুই সন্তান ডাকাতির পরিকল্পনায় জড়িত।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, এই ঘটনায় আনিকা ও আলভী জড়িত থাকার বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারলেও তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন, জড়িতদের ডিজিটাল ফরেনসিক, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকারও করেছেন গ্রেপ্তার পাঁচজন।

অপরাধ

জাল দলিলে ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

Published

on

অভিনব কৌশলে একই ফ্ল্যাট একাধিক ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে লোনের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। বিষয়টি এতদিন গোপন থাকলেও সম্প্রতি সিআইডির এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এই ঘটনায় চক্রটির ১১ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

শুক্রবার (৩ মে) অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরিকৃত একই ফ্ল্যাটের একাধিক নকল দলিল ও দলিল রিসিট, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলমোহর, একই ব্যক্তির একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র, টিন, ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ নগদ কয়েক লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি। তিনিসহ গ্রেপ্তার চক্রের প্রধান ব্যক্তিরা হলেন প্রধান সহযোগী রাকিব হোসেন (৩৩), জয়নালের ভায়রা ভাই এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান ওরফে মিঠু (৩০), ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)।

সিআইডি বলছে, এখন পযর্ন্ত চক্রটির ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, এই চক্রের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও দালাল, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন অসাধু কর্মী জড়িত।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

Advertisement

চক্রটি ব্যাংক লোন হাতিয়ে নিত যেভাবে

সিআইডি প্রধান জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যের সক্রিয় সহযোগিতায় চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক সক্রিয় জাতীয় পরিচয়পত্র ও কর দেয়ার টিন তৈরি করা হয়। পরে এসব ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু অসাধু লোকের মাধ্যমে নিজেদের নামে ফ্ল্যাট/জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করত। এরপর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তৈরিকৃত একাধিক দলিল দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রাখত। শেষে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে একাধিক লোন গ্রহণ করত। এখন পর্যন্ত তারা এমন প্রতারণা করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে সিআইডির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, এই সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস। তারা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হতেন। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বায়না করতেন। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করতেন। ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে নেয়া দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু অসাধু লোকের মাধ্যমে তৈরি করা হতো জাল দলিল।

জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস জাল দলিলে কখনো নিজে মালিক হতেন, আবার কখনো চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মালিক বানাতেন। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পাততেন তারা। ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকাও নিতেন জয়নাল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে রেজিস্ট্রিকৃত ক্ষমতা অর্পণ দলিল দেখিয়ে ক্রেতার নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করতেন। এভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ফ্ল্যাটের জাল দলিলে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছে শত কোটি টাকা।

সিআইডির অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে এসেছে, চক্রটির প্রতারণায় ঢাকার অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদে পড়ে পথে বসেছেন বহু ফ্ল্যাট মালিক। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদের নিঃস্ব করেছেন তারা।

জাল দলিলে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নাল আবেদীনের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, হোসেন এন্টারপ্রাইজ, ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করেছে সিআইডি।

 

Advertisement

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গেলো বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী নিজেই জানিয়েছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, যেহেতু আমি আবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করছি, সে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত একটি আলোচনা সভা শেষ করি। পরে রাতে হোয়াইক্যংয়ের কম্বনিয়া পাড়া, পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মুরব্বি এবং মেম্বারদের সঙ্গে দেখা করি। এ সময় আমরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনের মতো লোক দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি ও জাফর চেয়ারম্যানসহ ২০ থেকে ৩০ জন লোক আমাকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। চেয়ারম্যান নুরুল আলমের দাবি, আব্দুর রহমান বদি নিজেই তার পিস্তল দিয়ে গুলি করেছেন।

গেলো শুক্রবার (৩ মে) রাতে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বদি।

তিনি বলেন, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আলম চেয়ারম্যান বিভিন্ন কৌশলে আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আহম্মদের সঙ্গে বাহারছড়া ইউনিয়নে প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে জানতে পারি জাফর আহাম্মদের সমর্থক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে নুরুল আলম চেয়ারম্যানের কিছু কর্মী জোরপূর্বক আটকে রেখেছে।

পরে জাফর আহম্মদসহ আমরা হোয়াইক্যং এলাকায় তাকে উদ্ধারের জন্য যাই। এ সময় পাশের একটি বাড়িতে বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আতশবাজি ফোটানো হচ্ছিল। আমরা তাকে উদ্ধার করে চলে আসার পর তারা ওই আতশবাজির আওয়াজকে গুলিতে রূপান্তরিত করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বদি গুলি করেছে মর্মে খবর ছড়িয়ে দেয়।

Advertisement

এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম এ বিষয়ে একটি জিডি দায়ের করেছেন। তার জিডি’র অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মিল্টনের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: হারুন

Published

on

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস কীভাবে আসে, কীভাবে সে দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতো এবং কেনই বা তাদেরকে টর্চার সেলে এনে পেটাতেন সবকিছুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন তদন্ত করে জানানো হবে।

Advertisement

বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ।

পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত।

সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়35 mins ago

এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা সেনানিবাসে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির (এএফআইপি) নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৫ মে) সকাল সোয়া...

জাতীয়1 hour ago

মালয়েশিয়ায় ১০ অবৈধ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার পাহাং-এ ১০ বাংলাদেশিসহ ৩০ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। শুক্রবার (৩ মে) জেলার আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে পরিচালিত অভিযানে...

আইন-বিচার2 hours ago

এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ

সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে আজ বন্ধ...

জাতীয়10 hours ago

সুন্দরবনে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়ছে চারদিক

দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের কারণে সুন্দরবনের গহীনে লাগা আগুন আরও এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব...

জাতীয়10 hours ago

জিআই স্বীকৃতির অপেক্ষায় মুণিপুরী শাড়ি ও ঢাকার কাতানসহ ৭ পণ্য

টাঙ্গাইল শাড়ির পর এবার বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী শাড়ি। জিআই পণ্য হিসেবে...

বাংলাদেশ13 hours ago

ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন নায়েব আলী

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দারকে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগের সংসদীয়...

জাতীয়14 hours ago

তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ...

জাতীয়16 hours ago

আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। গেলো শুক্রবার (৩ মে) রাতে পানির...

ঢাকা18 hours ago

উত্তরায় লেক থেকে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর উত্তরায় লেকের পানি থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লেকে গোসল করতে নেমে ওই দুজন শিক্ষর্থী নিখোঁজ...

জাতীয়18 hours ago

‘ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা গুরুত্বপূর্ণ ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুরের এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গেলো শুক্রবার ওই বৈঠকে...

Advertisement
ঢাকা5 days ago

টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার

অপরাধ4 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

আন্তর্জাতিক3 days ago

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

টুকিটাকি6 days ago

সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও

দেশজুড়ে4 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

তথ্য-প্রযুক্তি2 days ago

গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি

ঢালিউড3 days ago

শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরামর্শ3 days ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

খুলনা7 days ago

গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক6 days ago

সন্তানদের নিয়ে মসজিদে ঘুমন্ত ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

উত্তর আমেরিকা1 week ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায়
Exit mobile version