এশিয়া
চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের মৃত্যু
Published
1 year agoon
By
বায়ান্ন প্রতিবেদনবিশ্ব পরিমণ্ডলে অন্যতম এক বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের আবির্ভূত হওয়ার পেছনে অনবদ্য অবদান রাখা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন মারা গেছেন।
আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) ৯৬ বছর বয়সে চীনের সাবেক এই নেতা মারা গেছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১২টায় মারা গেছেন জিয়াং। দীর্ঘদিন ধরে প্রাণঘাতী লিউকেমিয়াসহ একাধিক জটিল রোগে ভোগার পর সাংহাই শহরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি, সংসদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং সামরিক বাহিনী সাবেক এই নেতার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে চীনা জনগণের কাছে একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। চিঠিতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কমরেড জিয়াং জেমিনের মৃত্যু আমাদের পার্টি, সামরিক বাহিনী এবং আমাদের সব জাতিগোষ্ঠীর জনগণের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
এতে জিয়াং জেমিনকে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন একজন অসামান্য নেতা, মহান মার্কসবাদী, রাষ্ট্রনায়ক, সমর কৌশলবিদ, কূটনীতিক এবং দীর্ঘ পরীক্ষিত কমিউনিস্ট যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিয়াং জেমিনের মৃত্যুতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান অফিস, সরকারি বিভিন্ন ভবন ও বিশ্বজুড়ে চীনা দূতাবাস ও কনস্যুলেটে চীনের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি বলছে, জিয়াংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ব্যবস্থাপনা কমিটির এই আদেশ বুধবার থেকে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। তবে দেশটির সাবেক এই নেতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ এখনও ঘোষণা দেয়া হয়নি।
১৯৮৯ সালে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর রক্তাক্ত তিয়ানআনমেন অভিযানের কিছুদিন পর জিয়াংকে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ঘটনার পর চীনের পরবর্তী কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক মেরামত এবং নজিরবিহীন অর্থনৈতিক উত্থানের তত্ত্বাবধান করেন তিনি।
ইতিহাস সৃষ্টিকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে চীনকে দেখেছেন জিয়াং; যার মধ্যে রয়েছে বাজার-ভিত্তিক সংস্কার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন, ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তন এবং ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) বেইজিংয়ের প্রবেশ।
তবে জিয়াং নেতৃত্বাধীন চীনের তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। বাইরের বিশ্বের জন্য চীন উন্মুক্ত হলেও দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে অভিযানের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল জিয়াংয়ের সরকার।
সেই সময় মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা এবং গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের কারাবন্দি করে জিয়াং নেতৃত্বাধীন চীনা সরকার। দেশটির আধ্যাত্মিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসা ‘ফালুন গং’কেও নিষিদ্ধ করা হয়; এই গোষ্ঠীকে তখন কমিউনিস্ট পার্টির একচেটিয়া ক্ষমতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হতো।
প্রায় ১৩ বছর ধরে চীনের রাষ্ট্রপ্রধান এবং কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করলেও জিয়াং কখনোই তার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত ছিলেন না। বরং পার্টির ভিন্ন ভিন্ন বিভিন্ন মতাবলম্বীদের জন্য একজন দক্ষ প্রশাসক এবং আপোসকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি।
২০০২ সালে হু জিনতাওয়ের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিতে ব্যাপক পরিবর্তনের পর জিয়াং তার ক্ষমতার শিখরে পৌঁছান বলে মনে করা হয়। দীর্ঘ সময়ের জন্য তিনি দলটিতে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখেন। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দ্য সিনিয়র (ঝাংঝে) নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
২০০৪ সালে সরকারি উপাধি ত্যাগ করলেও ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসা বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উত্থানের পেছনে ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করেন জিয়াং। জিয়াংয়ের অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং কঠোর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের মিশ্রণে এখনও আটকে আছেন শি জিনপিং।
প্রাথমিকভাবে ক্রান্তিকালীন নেতা হিসাবে দেখা হতো জিয়াংকে। যিনি দল ও দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা দেং জিয়াওপিংয়ের ম্যান্ডেটে কাজ করেছিলেন। দেশটির সংস্কারকামী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন জিয়াং।
তার ক্ষমতার ১৩ বছরে চীনের শীর্ষ পদ অর্থাৎ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দলটিতে পুঁজিবাদীদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বেইজিংয়ের যোগদানের পর বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের উত্থানের পথ দেখান তিনি।
চীনের বিশ্ব শক্তি হয়ে ওঠার পেছনে অসামান্য ভূমিকা রাখা জিয়াংকে তার শেষ সময়গুলোতে বেশ বিবর্ণই দেখা গেছে। কিছুটা আড়ালে চলে যাওয়া চীনা এই নেতাকে সর্বশেষ ২০১৯ সালে বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন গেটে বর্তমান ও সাবেক নেতাদের সাথে কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতায় আরোহণের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে দেখা যায়।
অন্যরা যা পড়ছেন
-
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা
-
রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত
-
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
-
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
-
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
-
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
-
বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল
-
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
আন্তর্জাতিক
মক্কায় প্রবেশে অনুমতি লাগবে সৌদির বাসিন্দাদের
Published
3 hours agoon
May 4, 2024By
Anik Mahmudপবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সৌদির বাসিন্দাদেরও অনুমতি লাগবে। হজ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিষয়ক অধিদপ্তর এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।
এসপিএ জানায়, হজ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও হজের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাদের কাছে পবিত্র স্থানগুলোতে কাজের অনুমতি,মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা, ওমরাহ ও হজের বৈধ অনুমতি থাকবে না তাদের মক্কার প্রবেশদ্বার থেকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো সপ্তাহে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় নুসুক অ্যাপ কার্ড দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এটি ডিজিটাল এবং সাধারণ উভয় ফরমেটে পাওয়া যাবে। এই কার্ডের মাধ্যমে হজের প্রক্রিয়া খুবই সহজে করা যাবে। এতে করে অনুমতি ছাড়া হজ করার প্রবণতা কমে আসবে এবং পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
হজ যাত্রীরা তাদের হজ মিশন অথবা যাদের মাধ্যমে হজ করতে আসবেন তাদের কাছে কার্ডটি পাবেন। অপরদিকে ডিজিটাল ফরমেটটি পাওয়া যাবে নুসুক এবং তাওয়াকলানা অ্যাপে।
প্রসঙ্গত, এটির মাধ্যমে সহজে সব ধরনের সেবা পাবেন হজ যাত্রীরা। এমনকি যাদের মাধ্যমে তারা হজ করতে আসবেন তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে এটির মাধ্যমে অভিযোগও জানানো যাবে।
আই/এ
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর প্রায় ৬ মাস পর নিষেধাজ্ঞা জারির পর অবশেষে তা তুলে নিলো ভারত। শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য নিশ্চিত করে।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি।
ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি। গেলো বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হন; ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা।
ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে— সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।
বিস্তারিত আসছে…
টিআর/
এশিয়া
ইসরায়েলের সাথে সব বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক
Published
1 day agoon
May 3, 2024By
জাকির হোসাইনগাজা উপত্যকায় ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল গাজায় ‘বাধাহীন ও যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ প্রবাহ’ অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত এ পদক্ষেপ বহাল থাকবে।
এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে যে এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।
দেশ দুটির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ‘স্বৈরশাসক’ এর মতো আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎয বলেন, এরদোয়ান ‘তুরস্কের জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অসম্মান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সমঝোতাকে উপেক্ষা করেছেন’।
তিনি জানান, মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন যে তুরস্কের সাথে বাণিজ্যের বিকল্প সন্ধান করতে যাতে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্য দেশ থেকে আমদানিতে জোর দেয়া হবে।
১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরায়েলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরায়েলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে দশজন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি অধিকারকর্মী নিহত হবার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিলো।
পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দুই বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হবার ঘটনায়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গেলো সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।
তিনি বলেছেন, হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা ‘হিটলার যা করেছিলো তার চেয়ে কোন অংশে কম নয়’।
জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এরদোয়ান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত করেছেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেছেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন’।
গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে এগার লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিলো এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে পিয়ার নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েকদিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
ভাসমান ওই পিয়ারে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিলো।
যদিও জাতিসংঘ বলেছে সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।
এর আগ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারংবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরায়েল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে। তবে জর্ডান বলেছে তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।
জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বিবিসিকে বলেছেন যে এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরায়েল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে।
জেএইচ
জাতীয়
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। গেলো শুক্রবার (৩ মে) রাতে পানির...
উত্তরায় লেক থেকে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর উত্তরায় লেকের পানি থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লেকে গোসল করতে নেমে ওই দুজন শিক্ষর্থী নিখোঁজ...
‘ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা গুরুত্বপূর্ণ ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুরের এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গেলো শুক্রবার ওই বৈঠকে...
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
এক শিক্ষিকা দেরি করে স্কুলে আসার দায়ে তাকে ঘুষি মেরেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। এ ঘটনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল...
দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরলো ৪ প্রাণ, আহত ১১ জন
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ট্রাকচাপায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। একইদিনে গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শনিবার...
জাল দলিলে ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ
অভিনব কৌশলে একই ফ্ল্যাট একাধিক ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে লোনের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। বিষয়টি এতদিন...
উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গেলো বৃহস্পতিবার...
বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত হয়ে আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। তাই বর্ডার লাইন টানা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের...
মিল্টনের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: হারুন
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ...
বিপুল পরিমাণ নকল ওরস্যালাইন জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
দেশ জুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন আবহাওয়ায় বেড়ে যায় খাবার ওরস্যালাইনের চাহিদা। এই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধুচক্র কারখানা স্থাপন...
প্রেমের বিয়ের দুই মাস পর কিশোরীর আত্মহত্যা
রাত ১টার মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস
আবারও এক লাইনে দুই ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
আট দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানালো মন্ত্রণালয়
সুন্দরবনের গহীনে আগুন
বাকরুদ্ধ পপ তারকা নিক!
খাবার খাওয়ার আগে, মাঝে না পরে, কখন পানি পানে হজম ভালো হবে?
স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
সন্তানদের নিয়ে মসজিদে ঘুমন্ত ইমামকে পিটিয়ে হত্যা
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
-
ঢাকা4 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
-
অপরাধ3 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
-
টুকিটাকি5 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
-
দেশজুড়ে3 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
-
তথ্য-প্রযুক্তি1 day ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
ঢালিউড2 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
-
খুলনা6 days ago
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন