ফুটবল
চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে মেসির আর্জেন্টিনা
হারলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হতে পারে এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে দারুণ ফুটবল উপহার দিলেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত দলটিতে বাজি ধরা ছিল সহজ। কাতারে প্রথম দুই ম্যাচে চেনা ওই আকাশি-সাদার দেখা মেলেনি। ঘটেছিল অনলাইনে পণ্য অর্ডার করে হতাশ হওয়ার মতো ঘটনা। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া আর্জেন্টিনা সময় মতোই ফিরেছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দোহায় কন্টেইনার দিয়ে নির্মিত স্টেডিয়াম ৯৭৪’এ পোল্যান্ডকে পাত্তা না দিয়েই ২-০ গোলে ম্যাচ জিতে সি-গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নকআউটে পৌঁছে গেছে আর্জেন্টিনা।
তবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে দিলেন বর্তমান সময়ের সেরা তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা কিংবদন্তি মেসি। যার ফলে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে এলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও হুলিয়ান আলভারেজের গোলে শেষ নাটকীয়তায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে জায়গা করে নিলো দুইবারের বিশ্বসেরা আকাশী নীল শিবিরের যোদ্ধারা।
চার পরিবর্তন নিয়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে আলবিসেলেস্তারা৷ ম্যাচের ১১ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে মেসির জোরালো শট রুখে দেন পোলিশ গোলরক্ষক সিজনি।
১৯ মিনিটে আবারো আর্জেন্টিনার আক্রমণ। এবার আকুনার শট চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। মাঝমাঠের দখল নিয়ে আর্জেন্টিনা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে।
৩৪ মিনিটে ডি মারিয়ার কর্নার সোজা গোলমুখে ঢুকতে গেলে আবারো কর্নারের মাধ্যমে গোলবার রক্ষা করেন সিজনি। ৩৭ নিনিটে আবারো পোল্যান্ডের ত্রাতার ভূমিকায় সিজনি। এবার হুলিয়ান আলভারেজের শট রুখে দেন তিনি।
তবে এতেই ঘটে বিপত্তি। এর পরের মিনিটেই সিজনি ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন মেসিকে। রেফারি ভিএআর এর মাধ্যমে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।
কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। তার বুলেট গতির শট রুখে দেন পোলিশ এই গোলরক্ষক। ২০০২ সালের পর এক বিশ্বকাপে দুই পেনাল্টি সেভ করা একমাত্র গোলরক্ষক হলেন তিনি। বিরতির আগে আর কোন গোল না হলে গোলশূন্য ড্র তে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আর্জেন্টিনা পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল। ৪৬ মিনিটে মলিনার ডান পাশ থেকে বাড়ানো ক্রসে এলেক্সিস ম্যাক এলিস্টারের গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তারা।
৫২ নিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল পোল্যান্ড। কিন্তু ফ্রি কিক হেতে গিলিকের হেড চলে যায় গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে। ৬৮ মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এবার এনজো ফার্নান্দেজের ক্রস থেকে বল পেয়ে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেন ম্যান সিটি তারকা হুলিয়ান আলভারেজ। একাদশে সুযোগ পেয়েই দলের জয়ে অবদান রাখলেন তিনি৷
৭৪ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। আবারো হুলিয়ান আলভারেজ শট করলেও তা চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে৷ ৮৭ মিনিটে গোলের অন্যতম সহজ সুযোগটি মিস করেন বদলি হিসেবে নামা লাউতারো মার্টিনেজ৷ সিজনিকে একা পেয়েও গোল দিতে ব্যর্থ হন তিনি৷ বল মারেন গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে৷
শেষ দিকে আর্জেন্টিনা আরো গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা দেখা পায়নি জালের। ফলে ২-০ ব্যবধানের জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে আর্জেন্টিনা।
অন্যদিকে, গোল পার্থক্যে মেক্সিকোকে টপকে রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছে গেছে পোল্যান্ড। রবার্ট লেভানদোভস্কিদের সেখানে মুখোমুখি হতে হবে ফ্রান্সের। আর, অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
ফুটবল
দীর্ঘ বছর পর জার্মান কাপ জিতলো লেভারকুসেন
বায়ার লেভারকুসেন তো চলতি মৌসুমে নানাভাবেই অবাক করে চলেছে। এবার জার্মান কাপের শিরোপা জিতলো দলটি। জাবি আলোনসোর অধীনে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে তারা। বুন্দেসলিগায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি ম্যাচ তারা পরাজিত হয়েছে এই মৌসুমে। যেটি আটালান্টার বিপক্ষে ইউরোপা লিগের ফাইনাল। জার্মান কাপের ফাইনালে শনিবার রাতে ১-০ গোলে কাইজারস্লাটার্নকে হারিয়েছে তারা।
ম্যাচ শুরু হওয়ার পর দ্রুতই এগিয়ে যায় লেভারকুসেন। যখন ১৭ মিনিটের খেলা চলছে বক্সের বাইরে থেকে গ্রানিত জাকার এক দারুণ শটে এগিয়ে যায় আলোনসোর দল। এরপর আর কোনো গোল আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। যদিও প্রথমার্ধে দুইটি হলুদ কার্ড খেয়ে বসেন লেভারকুসেন ডিফেন্ডার ওদিলন কোসসুনু। ফলে লাল কার্ড খেয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে।
বিপদ শুধু সেই একটিই ছিল লেভারকুসেনের জন্য। দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময়টুকু ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে তাদের। যদিও আর কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়নি দলটির। শিরোপা নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছে।
এর আগে ১৯৯৩ সালে জার্মান কাপ জিতেছিল লেভারকুসেন। ফলে আবারও ৩১ বছর পর এই শিরোপা জিতলো তারা। আলোনসোর অধীনে বুন্দেসলিগার পর জার্মান কাপ জয় করলো লেভারকুসেন। সময়টা কত ভালো যাচ্ছে দলটির জন্য, তা তাদের খেলোয়াড় ও কোচ সবাই জেনে থাকবে নিশ্চিতভাবেই।
এম/এইচ
ফুটবল
ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা নিয়ে বিদায় নিলেন এমবাপ্পে
মাথা উঁচু করেই প্যারিস সেন্ট জার্মেই থেকে বিদায় বললেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শনিবার রাতে লিওঁ এর বিপক্ষে দলটি জিতেছে ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা। এমবাপ্পের জন্য পিএসজির হয়ে শেষ ম্যাচ ছিল এটি। এই ফ্রান্স খেলোয়াড় অবশ্য জানাননি, কোথায় যাচ্ছেন তিনি পরের মৌসুমে। ফাইনাল ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে পিএসজি।
ফ্রেঞ্চ কাপে ১৫তম বারের মতো শিরোপা উঠল পিএসজির ঝুলিতে। ক্লাবটির কোচ লুইস এনরিকে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার স্বাদ পেলেন। এর আগে লিগ ওয়ান জিতেছেন কিছুদিন আগেই। পিএসজি নিজেদের গোল দু’টি দিয়েছে প্রথমার্ধেই। প্রথম গোলটি আসে ২২ মিনিটের মাথায়, দ্বিতীয় গোলটি ৩৪ মিনিটের মাথায়। যথাক্রমে ওসমান ডেম্বেলে ও ফাবিয়ান রুইজের পা থেকে।
লিওঁ অবশ্য বিরতির পর বেশ লড়াই করে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর কিছু বাদেই জেইক ও’ব্রায়েন এর গোলে ব্যবধান কমায় দলটি। পরিস্থিতি এমন ছিল যে লিওঁ বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কোনো বিপদ ছাড়াই ম্যাচটি শেষ হয়। শিরোপা ওঠে পিএসজির কাঁধে।
The last one…❤️💙🥺 @PSG_inside pic.twitter.com/na5oKsVRya
— Kylian Mbappé (@KMbappe) May 25, 2024
এমবাপ্পে নিজের অভিব্যক্তি জানিয়েছেন ম্যাচ শেষে। তিনি বলেন, “এখানে শুধু ভাল স্মৃতি রয়েছে এবং আমি মাথা উঁচু করেই যেতে পারি, পাশাপাশি একটা ট্রফি নিয়েও। তো আমি শুধু ইতিবাচক জিনিসগুলো মনে করতে পারি।”
এম/এইচ
ফুটবল
এফএ কাপের শিরোপা জিতলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
এফএ কাপের ফাইনালে টানা দুই মৌসুমে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলা হলো না ম্যানসিটির। আলজান্দ্রো গারনাচো ও কোবি মাইনুর গোলে সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ী হয়েছে ইউনাইটেড। ফলে ১৩তম বারের মতো এফএ কাপের শিরোপা ঘরে তুললো দলটি।
ওয়েম্বলিতে শনিবার (২৫ মে) রাত ৮ ঘটিকায় মুখোমুখি হয় দুই দল। ম্যানচেস্টার ডার্বি নামে খ্যাত এই দুই দলের লড়াই। ম্যাচে বল ধরে রাখায় সিটি এগিয়ে ছিল ম্যাচ জুড়ে। তবে জয়টা ইউনাইটেডের কাছেই ভিড়েছে। যেখানে ৭০ শতাংশের বেশি সিটির অঞ্চলে বল ছিল। শট খেলাতেও এগিয়ে ছিল, কিন্তু অন-টার্গেটে শট করায় পিছিয়ে ছিল তারা। যেমনটি ইউনাইটেডের ক্ষেত্রেও হয়েছে।
তবে ২৯ মিনিটের মাথায় ইউনাইটেড প্রথম গোলটি করে। যেখানে সিটি ডিফেন্ডার গাভারদিওলের ভুলে গারনাচো গোল পেয়ে যায়। এর ঠিক ১০ মিনিট পর ৩৯ মিনিটের মাথায় গোল আসে মাইনুর দারুণ এক গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় এরিক টেন হাগের শিষ্যরা।
এই অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পর আর খুব বেশি সুবিধা করা হয়ে ওঠেনি সিটির। যখন মনে হচ্ছিল গোল আর আসছে না পেপ গার্দিওলার দলের কাছ থেকে, তখন ৮৭ মিনিটের মাথায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা জেরেমি ডকু সিটির পক্ষে গোল করে বসেন।
শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে শেষ হয় এফ এ কাপের রাত।
এম/এইচ
-
অপরাধ4 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়6 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
অপরাধ1 day ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
টুকিটাকি3 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
অপরাধ3 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
-
ঢাকা5 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
-
জাতীয়2 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন