চলতি বছরের শেষের দিকে তৃতীয় বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘নাম্বার ওয়ান’ অভিনেতা শাকিব খান। এরকম খবরই এখন টক অব দ্য ঢালিউড। যদিও বিয়ে করার ব্যাপারটি এখনও স্পস্ট করেননি ঢলিউড সুপারস্টার শাকিব খান। তারপরও শোনা যাচ্ছে নায়ককে নতুন করে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে তার পরিবার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা এগোচ্ছে শাকিবের। আর এ কারণে অপু বিশ্বাস এবং শবনম বুবলীকে বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেন না চিত্রনায়কের পরিবার।

শাকিবের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, সেই পাত্রীর নাম ‘শা’ দিয়ে শুরু। এখন সব কিছু চূড়ান্ত না, সে কারণে পুরো নাম জানাতে চায় না সূত্রটি। আগামী মাসের মাঝামাঝিতে ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা আছে শাকিবের। ফেরার পর বিয়ের অগ্রগতি সম্পর্কে ওই সূত্রটি বিস্তারিত জানাবে।

এর আগে, গেলো ঈদেও শাকিব বন্দনায় মুখর ছিলেন অপু বিশ্বাস। গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সাবেক স্বামীর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের গল্প। এতে ভক্তরাও ভাবতে শুরু করেন হয়তো আবারও এক হতে যাচ্ছেন শাকিব-অপু। কিন্তু তাদের সেই ভাবনাতেও পানি ঢেলে দিলো চিত্রনায়কের পরিবার। নতুন করে যখন পথ চলতে শুরু করেছেন তারা ঠিক সেই সময়ে ঢালিপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে শাকিবের তৃতীয় বিয়ের কথা।

বর্তমানে শাকিবের বিয়ের খবরে যখন গোটা শোবিজ অঙ্গন উত্তাল, তখন নীরব ভূমিকায় রয়েছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাস। মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন শাকিব খানের সর্বাধিক ছবির এই নায়িকা। শাকিবের বিয়ের খবরে হঠাৎই যেন নিশ্চুপ এই নায়িকা। বেশ কয়েকদিন ধরেই অপু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই শাকিব খানের ‘বিয়ে’ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

তবে মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) একটি গণমাধ্যমকে অপু বিশ্বাস বলেছেন, ‘শাকিব খানের বিয়ে সংক্রান্ত  কোনো সংবাদ তিনি দেখেননি।’ পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতেও রাজি হননি এই অভিনেত্রী

অপু বিশ্বাস চুপ করে থাকলেও শাকিবের বিয়ের খবরে বর্তমান স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী মুখ খুলেছেন। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘তার বিয়ের বিষয়ে আমার কথা বলার কোনো ইচ্ছে নেই। বিগত কয়েক বছরে শাকিব খানের বিয়ে নিয়ে এতবার শুনেছি, যে কয়েকদিন পর আমার ছেলে শেহজাদ খান বীর এই প্রশ্ন শুনলে বলবে ‘নো কমেন্টস’।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্যই দিয়েছেন বুবলী। তিনি বলছেন, আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।

শাকিবের তৃতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে বুবলী বলেছেন, ‘মার নিজেকে বা নিজের সিনেমাকে আলোচনায় রাখার জন্য কারও নাম বা কাহিনী বলতে হয় না। কারণ, আমার এবং আমার সিনেমার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা, সিনেমার টিম এবং আমার দর্শকেরাই যথেষ্ট। বরং আপনারা দেখছেন কারা আলোচনায় থাকার জন্য একের পর এক সিরিজ নিউজ করে আমার নাম নিয়ে যেকোনো প্রোগ্রাম বা সাক্ষাৎকারে কথা বলেই যাচ্ছে বছরের পর বছর।’

শাকিব খান বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগের ব্যাপারে বুবলী বলেছেন, ‘নিউজটি দেখেছি। অনেক অভিযোগ। দেখুন নিউজে ঘনিষ্ঠ সূত্র, পরিবারের এক সদস্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব সূত্রেই বা কী কথা বলব? নির্দিষ্ট কারও নাম বা কথা থাকলে কথা বলতে সুবিধা হতো। অভিযোগ ধরে ধরে বলা যেত।’

বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশনের সঙ্গে সবথেকে বিতর্কিত সম্পর্ক ছিল  অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের। শোনা যায়, ২০১৩ সালে ‘কৃষ থ্রি’ ছবির শুটিং চলাকালীন দুজনে একে অপরের কাছাকাছি আসেন। কঙ্গনা একটি নিউজ শোতে হৃতিকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে বেশ কিছু চমকে যাওয়া তথ্য ফাঁস করেছিলেন। এরপরই সম্পর্ক থেকে পিছিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে হৃতিককে।  আর এ ঘটনা ভারতীয় গণমাধ্যমের শিরোনামে জায়গা করে নেয়। তারপরও একে অন্যের সঙ্গে মেলের মাধ্যমে বচসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে কিছুদিনের মধ্যেই  তাদের বিচ্ছেদের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান আপ কি আদালত-এ এসে কঙ্গনা রানাওয়াত বিচ্ছেদের কারণ খোলসা করে দেন।

আপ কি আদালত অনুষ্ঠানে কঙ্গনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো-ঋত্বিকের সঙ্গে তার কি কোনও সম্পর্ক ছিল? উত্তরে কোনো রাখঢাক না রেখেই জানান, ‘নিঃসন্দেহে  ছিল। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন হৃত্বিক রোশন এই সম্পর্কের জন্য তৈরি ছিলেন না।’

কঙ্গনা রানাওয়াত আরও বলেন, ‘হৃত্বিকের একটি শর্ত ছিল। তিনি(ঋত্বিক) সম্পর্কটা চেয়েছিলেন, কঙ্গনাকেও চেয়েছিলেন। কিন্তু বলেছিলেন তিনি এমন পরিবারের ছেলে যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া সম্ভব নয়। তিনি তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ সুজন খানকে ছাড়তে পারবেন না।’

এ শর্ত দেওয়ার পরই  হৃত্বিকের জীবন থেকে সরে আসেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ওইসময় ঋত্বিককে জানিয়েছিলেন, ‘তিনি এভাবে থাকতে পারবেন না। কারণ দুজনের সঙ্গে এভাবে থাকা যায় না।’

প্রসঙ্গত, অভিনয়  জীবনে একাধিকবার প্রেমে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। কখনও তাঁর সাথে নাম জড়িয়েছে শেখর সুমনের ছেলে অধ্য়ায়ন সুমনের,কখনও বাবার বয়সী আদিত্য পাঞ্চালির প্রেমে পড়েছেন তিনি। এমনকি  অজয় দেবগান বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন বলি কুইন। তবে হৃতিক রোশনের সঙ্গে তার প্রেমের কাহিনী বলিউড পাড়ায় ছিল খুবই চর্চিত বিষয়।

বলিউডের সফল অভিনেত্রী তিনি। বিয়ে করে সংসারী হলেও অভিনয়কে বিদায় জানাননি ৪৬ বছর বয়সি লারা দত্ত। তবে তার ক্যারিয়ারের জার্নিটা মোটেও মসৃণ ছিল না। মাত্র ১৬ বছর বয়সে একাই মুম্বাই পাড়ি দেন।

লারা দত্ত তার জীবনে অনেকবার হেনস্তার শিকার হয়েছেন। অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে পথ চলতে হয়েছে তাকে। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে একবার এক লোককে বেধড়ক মারধরও করেছিলেন এই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম হাটারফ্লাই-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে লারা দত্ত বলেন, আমি বহুবার উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছি। এসব নিয়ে কথাও বলেছি। আমার অভিষেক সিনেমা ‘আন্দাজ’-এর মিউজিক লঞ্চিং উপলক্ষে দিল্লির চাঁদনি চকে গিয়েছিলাম। তখন আমার সঙ্গে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও অক্ষয় কুমার। সেদিন আমি শাড়ি পরেছিলাম। প্রচণ্ড ভিড় ছিল। কারণ, একই সিনেমায় মিস ওয়ার্ল্ড, মিস ইউনিভার্সকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে। এ ছাড়াও ছিল অক্ষয় কুমার। মূলত এ কারণেই এতো মানুষের সমাগম ছিল সেদিন।

অভিনেত্রী বলেন, কেউ একজন আমার কোমরে চিমটি দেয়। আমি বুঝতে পারি কিছু একটা ঘটেছে। আমার আর্মি ট্রেইনিং রয়েছে। তাই লোকটিকে ভিড়ের মধ্য থেকে টেনে বের করি এবং রাস্তায় পড়ে যায়। আমি শাড়ি পরেই লোকটিকে বেধড়ক মারধর করি।

এমন দৃশ্য দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন অক্ষয়। আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে তিনি বলেন, তুমি এটা কি করছো? এখন তুমি একজন অভিনেত্রী। তুমি এই ধরনের কাজ করতে পারো না।

বলিউডে এখন বেছে বেছেই ছবি করেন লারা। আগামীতে তাকে দেখা যাবে কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমাতে। অন্যদিকে, নীতিশ তিওয়ারির রামায়ণ ছবিতেও থাকার কথা রয়েছে তার।

অভিনয় গুণে যেমন আলোচনায় এসেছেন তেমনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন লারা দত্ত। প্রথমে কেলি দোরজি, তারপরে ডিনো মোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খবরে এসেছেন লারা দত্ত। তবে এখন তিনি টেনিস তারকা মহেশ ভূপতির স্ত্রী। সংসার সামলানোর পাশাপাশি অভিনয়েও সরব লারা।