Connect with us

ক্রিকেট

শান্ত-মুমিনুলের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ

Published

on

মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসেই ৮৭ রানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে কোনো বিপদ হলে আরও চাপে পড়তো টাইগাররা। সেটি হতে দেননি দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান।

দেখেশুনে খেলে ৬ ওভার কাটিয়ে দেন তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৭ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। শান্ত ৫ আর জাকির ২ রানে অপরাজিত ছিলেন। আত্মবিশ্বাস ছিল তাদের ব্যাটিংয়ে।

তবে তৃতীয় দিনের শুরুতেই বড় বিপদে পড়েছে টাইগাররা। ২৬ রানে হারিয়ে বসেছে ২ উইকেট। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন শান্ত (৫)। এরপর মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি মুমিনুলের ব্যাট ছুঁয়ে চলে গেছে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের হাতে। মুমিনুলও করেন ৫।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৭ রান। সাকিব আল হাসান ১ আর জাকির হাসান ১৬ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে রিশাভ পান্ত আর শ্রেয়াস আইয়ারের এক জুটিই বেশ ভুগিয়েছে টাইগারদের। তবে ৮৬.৩ ওভারে ভারতের প্রথম ইনিংস ৩১৪ রানে থামিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

প্রথম দিন শেষ বিকেলে বেশ কয়েকবার ভাগ্যগুণে বেঁচে যায় ভারত। বিনা উইকেটে তুলেছিল ১৯ রান। তবে ধীরগতিতে এগিয়ে চলা ভারতের ওপেনিং জুটিটা খুব বড় হয়নি। দ্বিতীয় দিন সকাল সকালই আঘাত হেনেছেন তাইজুল ইসলাম।

Advertisement

তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ইনিংসের ১৪তম ওভারে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ভারত। ভেঙেছে ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।

আম্পায়ার অবশ্য আউটটি দিতে চাননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল রাহুলের (১০) মিডল অ্যান্ড লেগ স্টাম্পে আঘাত করতো।

নিজের পরের ওভারে আরেকটি এলবিডব্লিউ তাইজুলের। এবার সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করেন শুভমান গিল (২০)। আবেদনে আঙুল তুলে দিতে দেরি করেননি আম্পায়ার।

তৃতীয় উইকেটে একটি জুটি গড়ে ফেলেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা আর বিরাট কোহলি। ৯৪ বল কাটিয়ে গড়া তাদের ৩৪ রানের জুটিটিও ভাঙেন তাইজুল, ইনিংসের ৩১তম ওভারে। তাইজুলের ডেলিভারিটি পূজারা ডিফেন্ড করতে চাইলে ব্যাট-প্যাড হয়ে সেটি চলে যায় শর্ট লেগে মুমিনুল হকের হাতে।

২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন পূজারা। ৭২ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ৩৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল দলটি। বিরাট কোহলি ১৮ আর রিশাভ পান্ত ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

Advertisement

লাঞ্চের পর অবশ্য কোহলি বেশিদূর এগোতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৪ রানে তিনি হন তাসকিন আহমেদের শিকার। টাইগার পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি বুঝতে না পেরে খোঁচা মেরে বসেন কোহলি। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান নেন সহজ ক্যাচ।

৯৪ রানেই ভারতের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সম্ভাবনা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার। কিন্তু বিপদ কাটিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় লোকেশ রাহুলের দল।

রিশাভ পান্ত আর শ্রেয়াস আইয়ার পঞ্চম উইকেটে গড়েন ১৫৯ রানের বড় জুটি। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভেঙেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, পান্তকে বোকা বানিয়ে।

এর আগেও বহুবার নার্ভাস নাইন্টিজে কাটা পড়েছেন রিশাভ পান্ত। নব্বইয়ের ঘরে আসলে তার বোধ হয় বুক ধরফর করতে থাকে। মিরপুর টেস্টে আরও একবার দেখা গেলো তেমনটা। সেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় এসে ফিরলেন ভারতীয় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

১০৪ বলে ৭ চার আর ৫ ছক্কায় মারকুটে ইনিংস খেলা পান্তকে ৯৩ রানে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানান মিরাজ। ৩৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো নার্ভাস নাইন্টিজে ফিরতে হলো তাকে।

Advertisement

পান্ত আউট হওয়ার পর দ্রুতই আরও দুটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন অক্ষর প্যাটেল (৪)। বাউন্ডারির কাছে শান্ত ক্যাচটি নিয়ে দারুণভাবে ভারসাম্য সামলে নেন।

এরপর সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো শ্রেয়াস আইয়ারও ফেরেন ৮৭ করে। সাকিবের ঘূর্ণি সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন ডানহাতি এই ব্যাটার, বল লেগে যায় প্যাডে। আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি ভারতের।

অশ্বিনকে ১২ রানে এলবিডব্লিউ করেন সাকিব। ১৪ করে উমেশ যাদব হন তাইজুলের শিকার। সিরাজ ফেরেন ৭ করে। সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলাম নেন ৪টি করে উইকেট।

মিরপুর টেস্টে প্রথম দিন টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশ মুমিনুল হকের ৮৪ রানের ইনিংসের পরও ২২৭ রানের বেশি এগোতে পারেনি। ৪টি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর উমেশ যাদব।

Advertisement

ক্রিকেট

ভালো শুরুর পর গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

Published

on

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিল স্বাগতিক ব্যাটাররা, তাতে সংগ্রহ আরও বাড়তে পারত। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর একে একে উইকেট হারাতে থাকে তারা।

মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০১ রান। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকারের সাথে তানজিদ হাসান তামিম প্রতিপক্ষ বোলারদেরকে খুব বেশি সুযোগ দেননি। তবে এই জুটি ভাঙার পর বেশ পতন দেখা দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ১২তম ওভারে লুক জঙওয়ের শিকার হয়ে সৌম্য ও তানজিদ দুজনেই ফেরেন।

তানজিদ ৩৭ বলে ৫২ রানে এবং সৌম্য ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন।

এই দুই ওপেনার ফেরার পর বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরের ৪২ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরের ব্যাটারদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে কেবল দুই ডিজিটের রান আসে। বাকি ব্যাটাররা এক ডিজিটেই সাজঘরে ফেরেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অবদান তো ছিল, পাশাপাশি স্বাগতিক ব্যাটারদের ভুল ডেলিভারিতে ব্যাট চালানোর প্রতিযোগিতা প্রকাশ পেয়েছে।

সফরকারী পেসার জঙওয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তিনি দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি এখন। জঙওয়ে ছাড়াও ব্রায়ান বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে জিম্বাবুয়ে

Published

on

টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশ একাদশ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে লিটন দাসকে। এছাড়াও নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অর্থাৎ ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে একাদশে আছে ২ পরিবর্তন।

একাদশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান। সাকিবের ফেরা বাংলাদেশ দলকে আলাদা শক্তিমত্তা দেবে। আইপিএলে দারুণ এক সময় কাটিয়ে মোস্তাফিজের কাছ থেকেও ভালো কিছু আশা করবে দল। জিম্বাবুয়ে একাদশে ফিরেছেন রায়ান বার্ল ও রিচার্ড এনগারাভা। বাদ পড়েছেন জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেগ আরভিন।

সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। যেখানে প্রতিটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দল।

 

 

Advertisement

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেটকিপার), জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙওয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।

 

এম/এইচ

 

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

নতুন কোচ খুঁজবে ভারত, আবেদন করতে হবে দ্রাবিড়কেও

Published

on

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেবে। বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে কোচ নিয়োগ নিয়ে কিছুটা তাড়াহুড়োর মধ্যে পড়ে যায় ভারতীয় বোর্ড। এবার আর তেমন কিছু চায় না তারা। তাই আগে-ভাগে এ বিষয়টি জানানো হলো। বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড় চাইলে আবারও আবেদন করতে পারবে প্রধান কোচ হওয়ার ব্যাপারে।

দ্রাবিড়ের চুক্তি আছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। মেয়াদ শেষ হলে নতুন কোচের খোঁজ করবে ভারতীয় বোর্ড। দ্রাবিড় দায়িত্ব নিতে চাইলে, তাকে আবার আবেদন করতে হবে। এরপর বিসিসিআই এর নিয়োগ বোর্ডের প্রক্রিয়া মেনেই যেতে হবে।

ভারতীয় বোর্ড সেক্রেটারি জয় শাহ বলেন, “রাহুলের মেয়াদ আছে জুন পর্যন্ত। পুনরায় দায়িত্ব পেতে চাইলে তাকে আবার আবেদন করতে হবে। নতুন যিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, তার সাথে আলাপ-আলোচনা করে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোচের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

দেশি কোচ দিয়ে দায়িত্ব চালানো হবে, নাকি বিদেশি কোচের প্রতি ঝুঁকবে বিসিসিআই- তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্বকাপের মতো আসর থেকে ভারত শিরোপা অর্জনের কাছাকাছি যেয়েও ব্যর্থ হয়। যদিও সম্ভাবনাময় হিসেবে দল গঠন করে তারা। সামনে যাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাকে ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপ পর্যন্ত চাইবে ভারত।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version