উৎসবের আমেজে রাজশাহীতে বড়দিন পালন

বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরা যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচার-অনুষ্ঠান, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন করছেন।

এ উপলক্ষে রাজশাহীসহ সারাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন-আঙ্গিকে। এছাড়াও শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা গুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার।

রাজশাহীতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। শনিবার রাতে, রোববার সকাল ৮টায় এবং সকাল ৯টায় উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লী, বাগানপাড়া,রাজশাহী গীর্জায় উপাসনা করা হয়। উপসনালয়ে খ্রীষ্ট ধর্মেও শত শত নারী-পুুরুষ অংশগ্রহন করেন। ধর্মের বানী উপস্থাপন ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন এবং কর্মময়জন সম্পর্কে তুলে ধরেন রাজশাহী বিভাগীয় ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও।

সেইসাথে তিনি বলেন, ‘মানুষে মানুষে হানাহানি, কলহ ও যুদ্ধ কোনভাবেই কল্যাণ বয়ে আনে না। ঈশ্বর মানুষকে তাঁর অনুগত থাকা, প্রার্থনা করা ও যার যার ধর্ম অনুযায়ী চলার কথা বলেছেন। নিজেকে এবং দেশকে বদলাতে ধর্মীয় অনুশাসন ও সততার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে বাংলাদেশসহ বিশ্বে শান্তি বিরাজ করার জন্য গীর্জা থেকে প্রার্থনা করা হয়। শেষে খ্রীষ্ট ধর্মের রীতি অনুযায়ী যিশু খ্রিস্টকে ভক্তরা মাথা নুয়ে প্রণাম করেন।’

বড়দিনের উপাসনা পরিচালনা করেন ফাদার উত্তম রোজারিও। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিদাতা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার রঞ্জন পিউরীফিকেশনসহ সকল সিস্টারগণ এবং খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের জনগণ।

এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে রোববার ছিলো সরকারি ছুটির দিন। এই দিনে খ্রিস্টান স¤প্রদায় সকালে গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন। এছাড়া ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজে সাজসজ্জাসহ বিশেষ খাবারদাবারের আয়োজন করা হয়। কেকসহ মিষ্টিজাতীয় খাবারের আয়োজন থাকে খাবারের মেন্যুতে। এছাড়াও দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হয়েছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর। বড়দিনের আগে শনিবার রাতেও বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়।

Recommended For You

About the Author: মেঘ হাসান

As a journalist, I am entitled to find out the truth behind every incident.

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version