Connect with us

হলিউড

প্রয়াত হলেন ইতালীয় ‘সুন্দরীশ্রেষ্ঠা’ জিনা লোলোব্রিজিদা

Published

on

জিনা

প্রয়াত হলেন এক সময়ে হলিউডের পর্দা কাঁপানো ইতালীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জিনা লোলোব্রিজিদা। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রোমের একটি চিকিৎসালয়ে ৯৫ বছর বয়সী এ অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইতালীয় চলচ্চিত্রে তার আবির্ভাব যেন এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল। তাকে বাসনার মূর্তরূপ বলে বর্ণনা করতে শুরু করে সেই সময়কার গণমাধ্যাম। অচিরেই ‘যৌন প্রতীক’ হিসেবে পরিচিতি পান জিনা।

১৯৫০ এবং ‘৬০-এর দশকের বিনোদন পত্রিকা প্রায়শই তাকে উল্লেখ করত ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী’ হিসাবে।

সোমবার ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রাঞ্চেস্কো লোলোব্রিজিদা টুইট মারফত জিনার মৃত্যুর খবরটি সর্বপ্রথম জানান। প্রসঙ্গত, ফ্রাঞ্চেস্কো জিনার প্রপৌত্র। পরে সে দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী জেনারো স্যাঙ্গিউলিয়ানো নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় জিনার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেন।

জিনা ২৪টিরও বেশি ইউরোপীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার প্রথম ইংরেজি ছবি ছিল ১৯৫৩ সালে জন হুস্টনের পরিচালনায় ‘বিট দ্য ডেভিল’। সেখানে তিনি হামফ্রে বোগার্টের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। জিনা অভিনয় করেছেন ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা বা অ্যান্টনি কুইনের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গেও।

Advertisement

১৯৬১ সালে রোম্যান্টিক কমেডি ‘কাম সেপ্টেম্বর’-এ রক হাডসনের বিপরীতে তার অভিনয় গোটা বিশ্বেরই মন জয় করে নিয়েছিল বলে জানা যায়। একই সঙ্গে জিনা ছিলেন দক্ষ নৃত্যশিল্পী।

‘লোলো’ নামে বেশি পরিচিত জিনার প্রসঙ্গ এলেই আজও চলচ্চিত্র আলোচকরা তাকে ‘যৌন প্রতীক’ হিসাবেই যেন বেশি করে ভাবেন। রূপ আর আবেদনের ঝলকানিতে তার অভিনয় প্রতিভার কথা খানিক চাপা পড়েই যায়।

সিনেমার জগৎ থেকে সরে এসে পরে জিনা পা রাখেন আলোকচিত্রের জগতে। আলোকচিত্রী হিসাবে বেশ খ্যাতিও পান এক সময়ে। ১৯৭৩ সালে তার প্রথম আলোকচিত্রের বই প্রকাশিত হয়।

যার নাম ‘ইতালিয়া মিয়া’। সেই গ্রন্থে ইতালির জনজীবনের কড়চাকে মূলত সাদা-কালোয় ধরে রেখেছিলেন জিনা। এক সময়ে রাজনীতির অঙ্গনেও প্রবেশ করেছিলেন তিনি।

১৯৬১-এ তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পান। ১৯৯৩ সালে তিনি ফরাসি সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান লিজিয়ঁ দ্য ন্যর লাভ করেন।

Advertisement

 

বলিউড

প্রকাশ্যে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় শাহরুখকে যা বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা

Published

on

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার প্রেমের গুঞ্জনে এক সময় উত্তাল ছিল ইন্ডাস্ট্রি। পরে রাজনীতির শিকার হয়ে ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই, দেশও ছাড়তে হয়েছিল বলে প্রিয়াঙ্কাকে। তবে সেসব ঘটনার অনেক আগেই শাহরুখ জানতে চেয়েছিলেন, পিসির পছন্দের পাত্র কেমন হবে?

২০০০ সালে প্রিয়াঙ্কা যখন বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন, সেখানে একজন বিশেষ বিচারক ছিলেন শাহরুখ খান। প্রশ্নোত্তর পর্বে শাহরুখ বলেন, ‘ধরো তোমাকে যদি বিয়ের পাত্র হিসেবে ক্রিকেটার মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, বা কোনো ধনকুবের ব্যবসায়ী অথবা আমার মত কোনো অভিনেতাকে বেছে নিতে বলা হয়, তখন তুমি কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করবে?’

প্রিয়াঙ্কা খুব বেশি ভাবনাচিন্তা না করেই আজহারউদ্দিনের নাম নেন।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘তিনি একজন মহান খেলোয়াড়। কোনো ম্যাচ জিতে তিনি যখন বাড়ি ফিরবেন, আমি তাকে বলব, পুরো দেশবাসীর মত আমিও তোমার জন্য গর্বিত। আমার বিচারে আজহারউদ্দিন একজন বলিষ্ঠ নেতা, যিনি টিমকে গড়ে তুলতে জানতেন।’

ঐ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা জিতেছিলেন অভিনেত্রী। তার পরপরই একটি তামিল সিনেমা করেন প্রিয়াঙ্কা। এর পরের অধ্যায়ে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

Advertisement

কিন্তু বিপত্তি বাঁধে শাহরুখের সঙ্গে ডন সিনেমায় অভিনয় করার পর। একটা সময়ে হিন্দি সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। প্রিয়াঙ্কার বলিউড ছাড়ার কারণগুলোর মধ্যে বারবার এসেছে শাহরুখের নাম।

ডন সিনেমার সেটে শাহরুখ-প্রিয়াঙ্কা ভালো বন্ধু বনে গিয়েছিলেন। এরপর ডন-২ মুক্তির পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দুজনের সম্পর্কের নতুন বাঁকের খবর ছড়ায়। প্রিয়াঙ্কা তখন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খানের বিরাগভাজন হোন।

সে সময় স্ত্রীকে শান্ত করতে গিয়ে শাহরুখ নাকি কথা দিয়েছিলেন, আর কোনো কাজ তিনি করবেন না প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে। এরপর কাজ কমে যাওয়ায় প্রিয়াঙ্কাও বলিউড ছেড়ে পাড়ি জমান হলিউডে।

পরে এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে আমাকে একটা সময় কোনঠাসা করে ফেলা হয়েছিল। আমাকে সিনেমায় নেয়া হচ্ছিল না। এই রাজনীতিতে আমি ভীষণ তিক্ত হয়ে পড়েছিলাম।’

পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আমেরিকান টিভি সিরিজ কোয়ান্টিকোতে অভিনয়ের মাধ্যমে হলিউডে পা রাখেন প্রিয়াঙ্কা। বর্তমানে নিজেকে আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী।

Advertisement

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

নিজের তৈরি গাউনে কানের লাল গালিচায় কয়লা শ্রমিকের মেয়ে ন্যান্সি

Published

on

ঠিক যেন একটা বার্বি ডল! এক মাস ধরে নিজের হাতে ১০০০ মিটার কাপড় সেলাই করে তৈরি পোশাকে কানের লাল গালিচা মাত করেছেন ভারতীয় ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী। নিজস্ব সৃজনশীলতায় ফ্যাশন বোদ্ধাদের চমকে দিলেন উত্তর প্রদেশে বেড়ে ওঠা মেয়েটি।

ন্যান্সির গাউনের রঙ ছিল বেবি পিংকের চেয়ে আরও দু-এক শেড গাঢ়। যেটিকে ব্লাশ পিংক বলা চলে। বিশাল ঘেরের এই গাউনের ওজন ২০ কেজি। বহু রাফল আর প্লিটের সমন্বয়ে এই শিয়ার জর্জেটের অফ দ্য শোল্ডার গাউনটি সম্পূর্ণ নিজের হাতেই সেলাই করেছেন ন্যান্সি। সঙ্গে ম্যাচিং গ্লাভস পরেছিলেন।

তাঁর এই অভিনব ফ্যাশন সেন্সের জন্য ন্যান্সি আলোচনার কেন্দ্রে আছেন। তাঁর মা কাজ করতেন কয়লাখনিতে। করোনার জন্য বিসর্জন দিতে হয়েছিল পড়াশুনা করার স্বপ্নকেও। দিল্লির সরোজিনী নগরের ফুটপাথে যে মেয়েটি কিনা ফ্যাশন ব্লগ করত, সেই তরুণীই এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে নজর কাড়লেন নিজের সেলাই করা গাউন পরে।

ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না কিন্তু তাতে কি, কানের লাল গালিচায় যাওয়ার পথে ভাষা তাঁর অন্তরায় হয়ে ওঠেনি। ঝরঝরে হিন্দিতেই কান-এর রেড কার্পেটে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। ভারতীয় এই ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার বলেন, ‘হাজার মিটার কাপড় থেকে নিজে হাতে গাউন তৈরি করা এবং কান-এর লাল গালিচা পর্যন্ত আসার সফর কঠিন ছিল ঠিকই, তবে প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে মূল্যবান। আমার স্বপ্নপূরণ হল।’

ছেলেবেলায় মায়ের সেলাই মেশিনে পুতুলের জন্য জামা তৈরি করতেন। সেই প্রতিভার ওপর ভর করেই নায়িকাদের পোশাক সস্তায় তৈরি করে দেখানোর ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করেন ন্যান্সি। সেখান থেকেই কান-এর রেড কার্পটে বাজিমাত করলেন এই ফ্যাশনিস্তা।

Advertisement

দিল্লির ফ্যাশন ব্লগার ন্যান্সি ত্যাগীর ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৯ লক্ষ ফলোয়ার। তাঁর এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর থেকে শুরু করে উরফি জাভেদও।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

কানের লাল গালিচায় উপেক্ষিত ঐশ্বরিয়া, ক্ষোভে ফুঁসছেন ভক্ত-অনুসারী’রা

Published

on

কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় আর কেউ থাকুক না থাকুক সেই ২০০২ সাল থেকে নিয়মিত অংশ নেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায় বাচ্চান। এবারও হাতে প্লাস্টার নিয়ে সমুদ্র পাড়ের শহর কানে দ্যুতি ছড়িয়েছেন এই লাস্যময়ী। তবে উৎসব কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর নাম উল্লেখ না করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা।

বৃহস্পতিবার নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা পরিচালিত ‘মেগালোপোলিস’ সিনেমার প্রিমিয়ারে অংশ নিতে লাল গালিচায় হাঁটেন ঐশ্বরিয়া। এই দিনে তিনি পড়েছিলেন ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার ফাল্গুনী শেন পিককের তৈরি মেটালিক কালো গাউন।

এ সময় ঐশ্বর্যার সঙ্গেই লাল গালিচায় হাঁটেন হলিউড নির্মাতা গ্রেটা গেরউইগ, নাদিন লাবাকি, ওমর সাই, আইরিন জেকবের মতো আন্তর্জাতিক তারকারা। কিন্তু বিপত্তি ঘটে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঐ বিভাগের যে ছবিগুলি উৎসব কর্তৃপক্ষ পোস্ট করেছেন, সেখানে ঐশ্বরিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এমনকি তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলেও ট্যাগ করা হয়নি। বিষয়টি নজরে আসতেই চটেছেন ঐশ্বরিয়ার ভক্ত-অনুরাগীদের একাংশ। ওই পোস্টের নীচে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মন্তব্যকারীদের একজন লিখেছেন, ‘‘আপনারা ক্যাপশনে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নাম উল্লেখ করলেন না, যিনি কি না গ্রেটা গারউইগের আগে থেকে কানে যাচ্ছেন!’’ আরও এক জন ঐশ্বরিয়ার সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট ট্যাগ করে লেখেন, ‘‘ওনার নাম উল্লেখ করা হয়নি কেন?’’ আরেক জনের কথায়, ‘‘কানের রানি শুধুই ঐশ্বরিয়া।’’

এই অসম্মানের নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য রয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। এখনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয়রা যে অনেকাংশেই উপেক্ষিত, সে কথাই উঠে আসছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি, ফ্যাশন ইভেন্ট মেট গালায় ডিজাইনার সাব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের তৈরি শাড়ি পরে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।

Advertisement

কিন্তু নেটিজেনদের একাংশের মতে, বিদেশি সংবাদমাধ্যম আলিয়াকে নিয়ে সেই ভাবে কোনও উৎসাহ দেখায়নি। এমন কি তাঁকে দীপিকা পাড়ুকোন ভেবে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের একাংশ ভুল করে বসেন। তাদের মতে, ঐশ্বর্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয়দের প্রতি পাশ্চাত্যের উপেক্ষাই যেন আরও এক বার প্রমাণিত হল।

তবে সমালোচনা শুরু হতেই বেগতিক দেখে উৎসব কর্তৃপক্ষ দ্রুত ভুল শুধরে নেন। পরবর্তীতে তাঁরা ঐ পোস্টে ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ লেখেন এবং অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টও ট্যাগ করেন। প্রসাধনী ব্র্যান্ড ল’ওরিয়াল প্যারিসের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে প্রতি বছরই কানের লাল গালিচা মুখরিত করে আসছেন ঐশ্বরিয়া।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version