Connect with us

আন্তর্জাতিক

আট মাস পর তরল গ্যাস কিনেছে বাংলাদেশ

Published

on

তরল গ্যাস

দীর্ঘ আট মাস বন্ধ রাখার পর আবারও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি চালান কিনেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাজারে গ্যাসের দাম আকাশ ছোঁয়ার পর গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেয় সরকার। কিন্তু দাম কমায় আবারও অতি জরুরি এ পণ্যটি আমদানি শুরু করছে ঢাকা।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দাম কমায় উন্নয়নশীল দেশগুলো আবারও নিজেদের চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গ্যাস কিনতে সক্ষম হচ্ছে— বাংলাদেশের গ্যাস কেনার বিষয়টি এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

মার্কিন এ সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য গেলো সপ্তাহে ‘স্পট মার্কেট’ থেকে বাংলাদেশ এ গ্যাস কিনেছে। গেলো বছরের আগস্ট থেকে এশিয়ার স্পট মার্কেটে তরলীকৃত গ্যাসের দাম প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাওয়ার পরই বাংলাদেশ গ্যাস কিনল।

যদিও এশিয়ান এলএনজি স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম গেলো ১০ বছরের মধ্যে চড়া। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাসের মূল্যহ্রাসের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি আশীর্বাদই।

Advertisement

কারণ জ্বালানি সংকটের আশঙ্কা ও জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাতে সারা দেশে ভাগে ভাগে স্বল্পসময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন (ব্ল্যাকআউট) রাখতে হয়েছে সরকারকে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর গেলো বছরের জুনে বাংলাদেশ অধিক তরলীকৃত গ্যাস কেনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে কঠোরতার ঘোষণা দেয়।

মূল্য বেড়ে যাওয়ার পর শুধু বাংলাদেশ নয়, আরও যেসব উন্নয়নশীল দেশ আছে সেগুলোও তরলীকৃত গ্যাস কেনা প্রায় বন্ধ করে দেয়। এর বদলে কয়লার মতো কমদামী জ্বালানির দিকে ঝুঁকে দেশগুলো। এছাড়া গ্রাহক ও কোম্পানির কাছে গ্যাস সরবরাহে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে কিছু দেশ।

ব্লমবার্গের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আর এ ঋণ পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে ঢাকার সক্ষমতা বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে যায়।

আন্তর্জাতিক

‘ভগবান আমাকে একটি উদ্দেশ্য সাধনে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন’

Published

on

ছবি: এনডিটিভি

‘পরমাত্মা (ভগবান) আমাকে একটি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পাঠিয়েছেন। এ কারণে আমি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ভগবানের কাছে উৎসর্গ করেছি।’’

তৃতীয়বারের মতো নিজের জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে শনিবার (২৫ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ আমাকে ক্রেজি (পাগল) বলতে পারেন, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে পরমাত্মা (ভগবান) আমাকে একটি উদ্দেশ্যের জন্য পাঠিয়েছেন। একবার উদ্দেশ্য পূরণ হলে আমার কাজ শেষ হবে। এ কারণে আমি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ভগবানের কাছে উৎসর্গ করেছি।’

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এমন দাবি আগেও করেছিলেন তবে বিশেষ কোন কাজ করার জন্য তাকে পাঠানো হয়েছে তা উল্লেখ করেননি।

নরেন্দ্র মোদি দাবি করে বলেন, ‘ভগবান আমাকে বিভিন্ন কাজ করার জন্য ‘নির্দেশ’ দেন। তবে কখনো আসল উদ্দেশ্যের কথা বলেন না। ভগবান কখনো তার আসল লক্ষ্যের কথা প্রকাশ্যে বলেন না। আমি কী করি, তা দেখেন আগে। এর পরে কী করতে হবে, তা জানতে আমিও সরাসরি ভগবানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি না।’

Advertisement

এনডিটিভির এক রিপোর্টারের  প্রশ্নের জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলগুলোর নেতাদের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে পড়লেও তিনি তাদের কাউকে শত্রু বলে মনে করেন না। ভারতকে এগিয়ে নিতে বিরোধী দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করাই তার লক্ষ্য বলে জানান।

নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘আমি কখনোই বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ করি না। আমি তাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। আমি কাউকে উপেক্ষা করি না। তারা ৬০-৭০ বছর ধরে সরকার চালিয়েছে। তারা যে ভালো কাজগুলো করেছে, আমি তা থেকে শিখতে চাই।’’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুরাতন মানসিকতা থেকে মুক্তি পেতে চাই। আমি ২১ শতকে এসে ভারতের ভবিষৎত গড়তে  কোনোভাবেই ১৮ শতাব্দীর পুরনো ঐতিহ্য ও আইনকে ব্যবহার করতে পারি না। সংস্কার, অর্জন ও রূপান্তরের মাধ্যমে আমি পরিবর্তন আনতে চাই।’

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলকে আইসিজের আদেশ মানতে হবে: ইইউ

Published

on

গাজা উপত্যকার রাফাহ অঞ্চলে ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ মানা বাধ্যতামূলক বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এক্স পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন। বোরেল বলেন, ‘ইসরাইলকে আইসিজে-র রায় মানা বাধ্যতামূলক। সেগুলোকে সম্পূর্ণ এবং কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।’

গেলো শুক্রবার ইসরাইলকে রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধ, সেনা প্রত্যাহার, মানবিক সাহায্য প্রবেশের জন্য রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। পাশাপাশি সংস্থাটি গাজা উপত্যাকায় আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রবেশানুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।

দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের প্রেক্ষিতে আইসিজের ১৫ সদস্যের বিচারক প্যানেল সর্বোচ্চ (১৩ বিচারক) সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই রায় দেন।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশকে জঘন্য বললো ইসরায়েল

Published

on

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, জঘন্য ও বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। তাছাড়া দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে তাও মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৪ মে) ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে হামলা বন্ধের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতের ১৫ বিচারকের একটি প্যানেল এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, রাফায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি, বরং আরও অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি রাফা থেকে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য ইসরায়েল যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি বলে মনে হয় না।

জাতিসংঘের জরুরি সহায়তা প্রধান বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এমন একটি ট্র্যাজেডি, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এমন পরিস্থিতির অবশ্যই অবসান হওয়া উচিত।

Advertisement

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে তোয়াক্কা না করে রাফার দক্ষিণপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাছাড়া আদালতের আদেশের পরপরই রাফায় হামলা চালায় ইসরায়েল।

গেলো ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৮৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজার ২৯৩।

 

এসি//

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version