নোয়াখালীতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার

নোয়াখালী সদরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক নারী (৪২)। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন তারই সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হোসেন মিলন। গেলো বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট সংলগ্ন একটি গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন মিলন (৫০) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বারাহীপুর দিঘী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভিকটিম পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ঢাকা থেকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট এলাকায় আসেন। সেখানে সাবেক স্বামী মিলন তাকে একটি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে ভিকটিম সৌদি আরব থাকাকালীন মোজাম্মেল হোসেন মিলনকে বিয়ে করেন। এ সময় তিনি স্বামী মিলনের কাছে কয়েক ধাপে ১০ লাখ টাকা জমা রাখেন। একপর্যায়ে দাম্পত্য কলহের জেরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং দেশে ফিরে আসেন দুজনেই।

পরে ভুক্তভোগী ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন গাড়িতে তুলে দেন। গাড়িতে ওঠার পর ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি চিকিৎসার জন্য জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। একপর্যায়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি সোনাইমুডী থানা পুলিশকে অবহিত করেন। সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত জেনে ঘটনাস্থল সুধারাম থানা এলাকায় হওয়ায় ভিকটিমকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মিলনের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন জানান, মিলনের সঙ্গে এক নারীর ঝগড়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি-না, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী নারী মৌখিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে যে, তার সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হোসেন মিলনের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি তাকে ধর্ষণ করেন। ভিকটিম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এএম

Recommended For You

About the Author: Abdullah Mamun

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version