Connect with us

পরামর্শ

যে খাবার বার বার গরম করে খাওয়া উচিত নয়

Published

on

আগেকার দিনে তো আর ঘরে-ঘরে ফ্রিজ ছিল না, টাটকা রান্না করে খাবার খেতেন সকলে। কিন্তু যতো সময় এগিয়েছে বিজ্ঞান ততো উন্নত হয়েছে। আজকালকার লাইফস্টাইলে ব্যস্ত সকলেই, রেঁধে-বেড়ে খাওয়ার সময় কই? সকালে খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিয়েই দৌড়তে হয় অফিসে।

সেই খাবার খেতে হয় দিনভর। আগে থেকে তৈরি করে রাখা রান্না গরম করে খাওয়ার অভিজ্ঞতা সকলেরই আছে। অনেক সময় আবার রাতের রান্না সেরে ফ্রিজে রেখে দেন, সকালে খেতে বসার আগে শুধু গরম করে নিলেই হলো। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো বার বার গরম করে খাওয়া মোটেই উচিত নয়। দেখে নিন সেগুলি কী কী।

মুরগির মাংস

সময় বাঁচানোর জন্য ছুটির দিনে আমরা একসঙ্গে অনেকটা করে চিকেন রান্না করে নিই, যাতে পরের দিন খাওয়া যেতে পারে স্বস্তি করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুরগির মাংস বারবার গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ, এর মধ্যে যে প্রোটিন থাকে, তা বার বার গরম করলে প্রোটিনের কম্পোজিশন বদলে যায়। তাই অনেক সময় বাসি চিকেন থেকে বদহজম হয়।

ডিম

Advertisement

ডিম যদি বারবার গরম করা খান তাহলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডিমের মধ্যে সর্বদা সালমোনেলা থাকে, তাই যদি গরম করে খান এর মধ্যে নতুন করে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়, যা পেটের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়া ডিম দ্বিতীয়বার গরম করলে এরমধ্যে যে নাইট্রোজেন অক্সিডাইজড হয় তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই তো পুষ্টিবিদরা ডিম সিদ্ধ বা ভাজা যাই খান না কেন, গরম করে খাওয়া ঠিক নয়।

পালংশাক

একাধিক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, পালংশাক বার বার গরম করে খেলে শরীরে কার্সিনোজেনিক এলিমেন্ট বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। আসলে পালংশাকে থাকে নাইট্রেট যা বার বার গরম করলে নাইট্রাইটস-এ রূপান্তরিত হয়ে যায়। নাইট্রাইটস শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই পুষ্টিবিদরা রান্না করার পর পরই পালং রান্না করার পরামর্শ দেন।

বিটের যে কোনও পদ

বিটরুট বা বিট যাই বলুন না কেন, এর মধ্যে নাইট্রিক অক্সাইড থাকে। যখন এই যৌগ সমৃদ্ধ খাবার গরম করে খাওয়া হয়, তখন প্রথমে নাইট্রাইট এবং পরে নাইট্রোসামিনে রূপান্তরিত হয়। যা কার্সিনোজেনিক হিসেবে পরিচিত। তাই তো চিকিৎসকরা এই জাতীয় সবজি বারবার গরম করে খেতে নিষেধ করেন।

Advertisement

মাশরুম

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাশরুমের মধ্যে ফাইবার ও এনজাইম রয়েছে। এগুলি আমাদের হজম করতে সহায়তা করে। কিন্তু বার বার গরম করলে ফাইবার ও এনজাইম নষ্ট হয়ে যায়। আর তাই তো বিশেষজ্ঞরা মাশরুম বাসি খেতে নিষেধ করেন।

পরামর্শ

যে ৫ ভুল না করলে ননস্টিক পাত্র টিকবে অনেক দিন

Published

on

অফিসে বেরোনোর তাড়া, ছেলেমেয়েকে স্কুলে পৌঁছনোর তাড়া, কখনও আবার অন্য ব্যস্ততা। কর্মব্যস্ত জীবনে রান্না ঘরে খুব বেশি সময় খরচ করার অবকাশ নেই! কড়াইতে কষিয়ে রান্না করলে স্বাদ বেশি হয় বটে, তবে চটজলদি রান্না করতে ননস্টিক কড়াইতেই ভরসা রাখেন অনেকেই।

তবে দীর্ঘ দিন এই পাত্র ব্যবহার করা যায় না, এমন অভিযোগ করেন অনেকেই। অল্প দিনেই ননস্টিক পাত্রের উপরের পরত খুলতে শুরু করে, ফলে তা আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। ব্যবহারের সময় কোন ভুলে আয়ু কমে যায় ননস্টিক পাত্রগুলির?

১. গরম ননস্টিক পাত্র ভুলেও জলের তলায় রাখবেন না। রান্না সেরে গ্যাস থেকে ননস্টিক পাত্রটি নামিয়েই জলের তলায় রাখার ভুল করেন অনেকেই। এই ভুলেই কিন্তু পাত্রের উপরের পরত উঠতে শুরু করে। পাত্রটি ঠান্ডা করে তার পরেই ধোয়ার জন্য রাখুন।

২. ননস্টিক পাত্রে ভুলেও স্টিলের হাতা-খুন্তি ব্যবহার করবেন না। কাঠ কিংবা সিলিকনের হাতাই ব্যবহার করতে হবে। তাড়াহুড়ো থাকলেও এ ক্ষেত্রে ভুল করা চলবে না।

৩. কড়াইতে পোড়া দাগ লাগলে খানিক ক্ষণ সাবান মাখিয়ে পাত্রটি রেখে দিন, তার পর হালকা সাবান-জল দিয়ে মেজে নিন। খুব বেশি জোরে মাজাঘষা করবেন না ভুলেও। তারের জালি নয়, পাত্রগুলি পরিষ্কার করার সময়ে নরম কিছু ব্যবহার করুন। স্পঞ্জ বা কাপড় ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল হয়।

Advertisement

৪. খুব বেশি আঁচে রান্না করলে কিন্তু ননস্টিক পাত্রের পরত উঠতে খুব বেশি সময় লাগে না। তাই ননস্টিক কড়াই, ফ্রায়িং প্যান ব্যবহারের সময় গ্যাসের আঁচ কম করে রাখাই ভাল।

৫. ননস্টিক বাসন ধোয়ার পর মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। তার পর অন্য ধাতব বাসনপত্র থেকে আলাদা করে রাখুন। এতে ননস্টিক পাত্রে আঁচড় পড়বে না।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ইন্টারনেট ছাড়াই ইউটিউবে ভিডিও দেখার টিপস

Published

on

প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী কয়েকশো কোটি গ্রাহক ইউটিউব ব্যবহার করেন। এ প্লাটফর্ম দেখতে আপনার স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে, একথা সবারই জানা। তবে সব সময় হয়তো ইন্টারনেট থাকে না। অনেক সময় স্লো ইন্টারনেট কানেকশনের কারণে ভিডিও স্ট্রিমিং বন্ধ করে দিতে হয়। তবে ইউটিউবের ভিডিও দেখতে পারবেন ইন্টারনেট ছাড়াই।

কিছু ভিডিও আছে, যা বারবার দেখতে ভালো লাগে বা দেখার প্রয়োজন হয়। যেমন- বহু মানুষ কিছু গান বারবার শুনতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে শিক্ষণীয় বিভিন্ন পাঠ একাধিকবার দেখেন। এসব ভিডিও বারবার দেখার জন্য ইন্টারনেট খরচ করতে হয়। তবে অফলাইন মোডে রাখলে বেশি ডেটা খরচ হবে না। সেভ করা ভিডিও যতবার খুশি, ততবার দেখা যায়।

এজন্য ওই ভিডিওর নীচেই থাকবে ডাউনলোড অপশন। সেখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। তারপর অফলাইনে সেই ভিডিও যত খুশি দেখুন। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে ইউটিউবের ভিডিও অফলাইনে চালাবেন-প্রথমে ইউটিউব খুলে প্রয়োজনীয় ভিডিও প্লে করতে হবে, যেটা অফলাইন মোডে সেভ করতে চান। তারপর ভিডিও নিচে ডাউনলোড অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে কেমন কোয়ালিটির ভিডিও সেভ করতে চান, তার অপশন আসবে। কম (১৪৪পি), মাঝারি (৩৬০পি) এবং বেশি (৭২০পি) অপশন পাওয়া যাবে।

ভিডিও কোয়ালিটি যতো বেশি হবে, ডাউনলোড করতে ততো বেশি ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে। তবে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে যখন খুশি তখন চালানো যাবে সেই ভিডিও। অফলাইন মোডে যতো খুশি ততো ভিডিও সেভ করা যায়। তবে এজন্য ফোনে স্টোরেজ থাকতে হবে। কারণ ডাউনলোড করা ভিডিওগুলো মোবাইলের ইন্টার্নাল স্টোরেজে সেভ হবে। অর্থাৎ ফোনের যে স্পেস রয়েছে তা ব্যবহার হবে।

তবে আরও একটি উপায় রয়েছে, যার জন্য মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হবে। এটি হলো ইউটিউব প্রিমিয়াম। এখানে স্মার্ট ডাউনলোড ফিচারও পাওয়া যাবে। ইউটিউব প্লে লিস্টে যোগ হয়ে যাবে ভিডিও। তা অফলাইনে দেখা যাবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

দইয়ে রয়েছে যেসব উপকার, তবে…

Published

on

প্রচণ্ড তাপদাহে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত। তবে আরো একটি খাবার আছে, যাকে আপনি প্রত্যেক দিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন সেটি হল দই। দইয়ে রয়েছে নানান উপকার।

দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম :

গরম দই কখনও খাবেন না। দই সবসময় ঠাণ্ডা খাবেন, না হলে দইয়ের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দইয়ের মধ্যে পানি মেশানো হলে একটি শীতল ভাব যোগ হয় যার ফলে আপনার শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে আপনার যদি স্থূলতার সমস্যা থাকে তাহলে দই খাবেন না।

দই খেলে হয় কী কী উপকার

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে: গরমকালে শরীর ডিহাইড্রেশন হয়ে যাওয়া কোনও নতুন কথা নয়। শুধুমাত্র প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে শরীরের জলের চাহিদা মিটবে না তাই অবশ্যই প্রতিদিন খেতে হবে দই। দই খেলে শুধুমাত্র শরীর হাইড্রেটেড থাকবে তা নয়, শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্যও দইয়ের জুড়ি মেলা ভার।

Advertisement

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: দইয়ের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক উপাদান, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই অসহ্য গরমে যে কোনও সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাই দই খেতে হবে রোজ।

হজম ক্ষমতার উন্নতি করে: দইয়ের মধ্যে থাকে এমন কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা উন্নত করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকে দূরে রাখে আপনাকে।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে: দইয়ের মধ্যে থাকা উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম আপনার স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি ঘটায়। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি12 লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।

মানসিক অবসাদ দূর করে: প্রতিদিন দই খেলে মানসিক অবসাদ দূর হয় এবং মুড ভালো থাকে। এছাড়া দই শরীর থেকে বাজে কোলেস্ট্রল দূর করে দেয় এবং হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version