পরামর্শ
দাঁতে ব্যথা দূর করতে ঘরোয়া উপায়
দাঁতে ব্যথা যার হয় সেই জানে! এই যন্ত্রণা মরা মানুষকেও কাঁদিয়ে দিতে পারে। সহ্য করা যায় না। তাই তো দাঁতে ব্যথায় ভুক্তভোগী মানুষ সহজ সমাধান চান। পেইনকিলার না খেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়েই দাঁতে যন্ত্রণা কমানোর পন্থা জেনে নিন।
কেন দাঁত ব্যথা হয়?
প্রতিটি মানুষকে দাঁতে ব্যথার কারণ জানতেই হবে। এর পিছনে থাকতে পারে দাঁতের ক্ষয়, কোনও দুর্ঘটনা, দাঁতে ফুটো হয়ে যাওয়া, ইনফেকশন ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে দাঁতের অন্দরে থাকা নার্ভের উপর চাপ পড়ে বা সেখানে প্রদাহ হয়। তার থেকেই শুরু হয়ে যায় ব্যথা। তীব্র যন্ত্রণাটা হয়ে থাকে।
ঘরোয় কৌশলে মুশকিল আসান
এই অসুখ দূরে রাখার ক্ষেত্রে আপনি কিছু ঘরোয়া উপায়ের সাহায্য নিতেই পারেন। এই প্রসঙ্গে মেডিক্যাল নিউজ টুডে বলছে,
ঠাণ্ডা সেক
ঠাণ্ডা সেক দিতে পারলে দাঁতের ব্যথা কমে। বিশেষত, দুর্ঘটনা বা মাড়ির সমস্যা হলে ঠান্ডা সেক খুবই কার্যকরী। আইস প্যাক নিন বা একটি ব্যাগে বরফ নিতে পারেন। তারপর গালের উপর থেকে ধরুন। যেই জায়গায় ব্যথা, সেখানে ধরুন। আশা করছি সমস্যার সমাধান আপনি করে ফেলতে পারবেন।
লবণ পানিতে গড়গড়া
লবণ পানিতে গড়গড়া কষ্ট কমবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে লবণ পানিতে গড়গড়া ইনফেকশনে দারুণ কাজ করে। এমনকী গলা ব্যথাও কমায়। এক গ্লাস হালকা গরম পানি নিন। সহ্যযোগ্য অবস্থায় আসলে ১ চিমটে লবণ ঢেলে দিন। তারপর ৩০ সেকেন্ড সেই পানি মুখে নিয়ে কুলকুচি করুন।
আদা মহৌষধি
ভারতে আদার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। এই মশলায় রয়েছে অ্যালিসিন। এই উপাদানটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই দাঁতের সমস্যা হলে আদা সেই জায়গাটায় লাগান। আশা করছি সমস্যা হবে দূর।
অ্যালোভেরায় দূর হবে ব্যথা
অ্যালোভেরার জয়জয়াকার এখন সর্বত্র। এর বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে এই উপাদান। তাই ব্যথার জায়গায় অ্যালোভেরা জেল লাগান। আশা করছি ব্যথা কমবে।
লবঙ্গ ব্যবহারেই দাঁতে ব্যথা কমবে
লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তাই ব্যথার জায়গায় ধরলে সমস্যা হয় দূর। আশা করছি, অনায়াসে দাঁতের ব্যথা কমাতে এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করলে উপকার মিলবে
দ্র. সচেতন হোন, কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ
চুল ঝরার নেপথ্যে যে যে কারণ থাকতে পারে
চুলে চিরুনি চালালেই তো গোছা গোছা চুল হাতে উঠে আসছে। অথচ চুলের যত্নে কোনও ত্রুটি রাখছেন না। এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করা থেকে মাঝেমাঝে স্পা— বাদ থাকছে না কিছুই। তাতে লাভ কিছুই হচ্ছে না। দিনে দিনে চুলের গোছা ক্রমশ সরু হয়ে আসছে। কেন এমন হচ্ছে, তা নিয়ে চিরুনিতল্লাশি করা জরুরি। কারণ, শুধু যত্নের অভাব নয়, অনেক সময়ে শারীরিক কিছু সমস্যার কারণেও চুল পড়তে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক চুল ঝরে পড়ার কারণ।
থাইরয়েড
থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে কিংবা কমে গেলে চুল পড়তে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্ন হলে যে উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়, চুল ঝরা তার মধ্যে অন্যতম। অত্যধিক চুল উঠলে তাই শুধু শ্যাম্পুর দোষ না দিয়ে শরীরের প্রতি নজর দিন।
মানসিক উদ্বেগ
চুল পড়ার অন্য একটি কারণ হতে পারে মানসিক উদ্বেগ। ব্যস্ততময় জীবনে উদ্বেগ আর চিন্তা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। কোনও বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন উদ্বেগে থাকলে একটা সময় তা অবসাদে পরিণত হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ চুল ঝরে শুধুমাত্র মানসিক উদ্বেগের কারণে।
শরীরের স্বাস্থ্যকর উপাদানের ঘাটতি
শরীরে ভিটামিন, আয়রন, জিঙ্কের ঘাটতি নানা অসুখ ডেকে আনে। চুল প়ড়ার নেপথ্যে এটাও একটা কারণ হতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতিও অত্যধিক চুল পড়তে পারে। হঠাৎ চুল প়ড়ার পরিমাণ বে়ড়ে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিন।
জিনগত
পরিবারে কারও এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকলে মুশকিলে পড়তে হয়। বংশানুক্রমে চুল পড়ার সমস্যা পেলে, সেটা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজসাধ্য নয়। চুল পড়ে যাওয়ার এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় অ্যালোপেশিয়া। এমনটা হয়ে থাকলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।
আই/এ
পরামর্শ
ব্যায়াম শুধু ওজন কমাতে নয়, আরও যা যা উপকার
ওজন কমাতে শরীরচর্চার জুড়ি নেই। রোগা হওয়ার তাগিদে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে ব্যস্ত সকলেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরে ওজন যদি নাও কমে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অবধারিত বা়ড়ে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। ব্যায়াম শুধু শরীর আর মনের খেয়াল রাখে না। মস্তিষ্ক সচল রাখতেও শরীরচর্চা করা জরুরি বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে বশে থাকে ওজন। হাঁটুতে ব্যথা, রক্তচাপের সমস্যা, ডায়াবিটিস থাকলেও ব্যায়াম করে সুফল পাওয়া যায়।
এর পাশাপাশি শরীরচর্চা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। স্মৃতিভ্রম যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার উদাহরণ হল ডিমেনশিয়া। মাত্র কয়েক দশকে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে প্রায় দুশো শতাংশ। টাইপ-২ ডায়াবিটিস থাকলেও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শরীরচর্চা টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমায়। ফলে রোজের শারীরিক কসরতের অভ্যাস একসঙ্গে বহু রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কী ভাবে বাড়িতে তোলে শরীরচর্চার অভ্যাস?
স্মৃতিশক্তি
নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। শরীরচর্চা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কের প্রতটি কোষ সচল থাকে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতি ধরে রাখাও অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তবে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর বদলে হাঁটলে কিংবা সাইকেল চালালেও উপকার পাওয়া যাবে।
মনোযোগ বৃদ্ধি
শরীরচর্চার অভ্যাসে বাড়ে মনোযোগ। ইঁদুরদৌড়ের জীবনে যেটা অত্যন্ত প্রয়োজন। মনোযোগহীন কাজের গুণমান নিয়ে সংশয় থাকেই। কার্ডিয়ো মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে। হার্টের খেয়াল রাখতেও কার্ডিয়োর জুড়ি মেলা ভার।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
ব্যায়াম করলে শুধু ওজন কমে না, মনও ভাল থাকে। সার্বিক ভাবে ভাল থাকতে শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি কমালে চলবে না। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও সমান নজর দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হলে শরীরের উপরেও এর প্রভাব পড়ে।
জেএইচ
পরামর্শ
তালেরশাঁস খেলে মিলবে যেসব উপকার
বৃষ্টির পর দেশে আবারও তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে। তীব্র এই গরমে প্রাণ জুড়াতে কাজ করে যেসব ফল, তার মধ্যে একটি হলো তালশাঁস। তালশাঁস হলো তালের কাঁচা অবস্থা। এটি সুস্বাদু ও ঠান্ডা ধাঁচের। অনেকে তালশাঁস কিনে এনে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খান। তখন এটি আরও বেশি সুস্বাদু লাগে। তালশাঁস যে শুধু খেতেই ভালো, তা কিন্তু নয়। এটি নানা পুষ্টিগুণের ভরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এর প্রতিবেদন থেকে তালেরশাঁসের উপকারিতা সম্পর্কে জানা গেছে। চলুন জেনে নেয়া যাক গরমে তালেরশাঁস খেলে কী ধরণের উপকার মিলবে।
পেটের সমস্যায় উপকারী- প্রচণ্ড গরমে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। তালশাঁস খেলে পেট তাৎক্ষণিকভাবে ঠান্ডা হয়। এটি খেলে পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা কমে।
বিপাকক্রিয়া বাড়ায়- দুর্বল বিপাকক্রিয়ার কারণে ওজন বাড়তে থাকে এবং মানুষ স্থূলতার শিকার হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলটি খেলে বিপাকক্রিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা অনুভূত হয় না।
হাইড্রেট রাখে- প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর গরম হতে শুরু করে। এর ফলে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে তালের শাঁস খেলে তাৎক্ষণিক শরীর হাইড্রেট হয়। ডিহাইড্রেশন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এই ফলটি খান।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণে মানুষ খুব দ্রুত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তালশাঁস খান।
ডায়াবেটিসে উপকারী- তালশাঁস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
এএম/
-
আইন-বিচার4 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
এশিয়া7 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি7 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
বলিউড7 days ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
-
ক্রিকেট2 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
অপরাধ4 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
খুলনা4 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
টুকিটাকি4 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন