Connect with us

আন্তর্জাতিক

নজিরবিহীন বিক্ষোভে মুখে মোদি

Published

on

মোদি-আদানি ভাই ভাই, আদানি কি গুলামি বান্ধ কারো, এলআইসি-পে কুছ তো বোলো, এসবিআই-পে কুছ তো বোলো। ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় গতকাল এভাবেই স্লোগান দেন বিরোধীরা। রাজ্যসভায় এদিন সোয়া এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন নরেন্দ্র মোদি। আর সেই পুরো সময়টায় বিরোধী সদস্যরা দল বেঁধে স্লোগান দিতে থাকেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক, আদানিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, শেয়ার দরে কারচুপি নিয়ে সরব ছিলেন বিরোধীরা। প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যসভায় মোদিকে নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তবে লোকসভার পরে রাজ্যসভাতেও তার সরকারের আমলে আদানিদের ফুলেফেঁপে ওঠা, আদানিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।

নজিরবিহীন বিক্ষোভের মধ্যে গলা চড়িয়ে বক্তব্য চালিয়ে যেতে তাকে বার বার পানি খেতে হয়েছে। বিরোধীদের থামিয়ে দিতে বক্তব্যের শুরুতে বলেছিলেন, যত পাক ছুড়বেন, তত পদ্ম ফুটবে, তাতেও লাভ হয়নি। বিরোধী শিবির থেকে উড়ে আসা কটাক্ষে বার বার বক্তব্যের ছন্দপতন হয়েছে। তা সত্বেও বক্তব্যের শেষদিকে বলেছেন, গোটা দেশ দেখছে, এক জন একাই কত জনকে টেক্কা দিচ্ছে। বিরোধীরা পালা করে স্লোগান দিয়ে চললেও, আমি একাই এক ঘণ্টার বেশি সব আক্রমণের জবাব দিয়ে চলেছি।

মনে করা হচ্ছে এ সব বলে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে আদানি নিয়ে প্রশ্নের মুখে কোণঠাসা মোদি বার্তা দিতে চাইছেন, বিরোধীরা এককাট্টা হলেও তিনি একাই সবাইকে টেক্কা দেবেন। অনেকে এর মধ্যে তার অহঙ্কারও দেখছেন। একের পর এক ভোটে বিজেপির জয় মোদিকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।

আগেভাগেই কৌশল করে বিরোধীরা এ দিন মোদি বক্তব্য শুরু করতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিরোধীদের এককাট্টা দেখে মোদি কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় অন্য দলের সঙ্গে কী রকম আচরণ করেছিল, ইন্দিরা গান্ধী কী ভাবে ৫০ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে বিরোধী শাসিত রাজ্যে সরকার ফেলে দিয়েছিলেন, তার স্মৃতি উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি।

Advertisement

একই সঙ্গে গান্ধী পরিবারকে লক্ষ্য করে মোদি বলেন, দেশের ৬০০ প্রকল্পে গান্ধী-নেহরু পরিবারের নাম রয়েছে। নেহরুর নামের উল্লেখ না হলে অনেকের চুল খাড়া হয়ে যায়, রক্ত গরম হয়ে যায়। আমাদের না হয় ভুল হয়ে যায়। কিন্তু নেহরুর পরিবারের উত্তরপুরুষরা কেন নেহরুর পদবি ব্যবহার করেন না? এত কীসের লজ্জা?

রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় কাশ্মিরে গিয়ে দাবি করেছিলেন, তার পূর্বপুরুষরা কাশ্মিরি পণ্ডিত ছিলেন। সে কারণেই মোদির এই প্রশ্ন বলে অনেকে মনে করছেন। তবে মোদির এই প্রশ্নকে কোণঠাসা ব্যক্তির মরিয়া আক্রমণ বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতারা। তাদের বক্তব্য, সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কার নেহরু পদবি ব্যবহারের প্রশ্নই নেই। কারণ তারা নেহরু-কন্যা ইন্দিরার স্বামী ফিরোজ গান্ধীর পদবি ব্যবহার করেন।

মোদি গতকাল আবার দাবি করেন, ২০১৪ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার আগে কোনো কাজ হয়নি। তিনি আসার পরেই মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছেছে। যে কোনো প্রকল্পের সুবিধা ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটা তার লক্ষ্য বলে দাবি করে মোদি যুক্তি দিয়েছেন, এটাই আসল ধর্মনিরপেক্ষতা। কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের ‘তুষ্টিকরণ’ বা দুর্নীতির সুযোগ থাকে না।

ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল প্রশ্ন তুলেছেন, বুধবার বিকেলে মোদিজি লোকসভায় বললেন, নলবাহিত জলের সুবিধা ৮ কোটি মানুষ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বললেন, ১১ কোটি মানুষের ঘরে জল পৌঁছেছে। ২১ ঘণ্টার মধ্যে ৩ কোটি মানুষ জল পেয়ে গেলেন? এই গতিতেই প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু আদানির সম্পত্তি বেড়েছে।

গতকাল রাজ্যসভায় কক্ষ সমন্বয়ের প্রশ্নে বিরোধীদের যে ঐক্য দেখা গেছে তা ভবিষ্যতেও সরকারবিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে বজায় থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক গ’ব্রায়েন। তিনি বলেন, প্রায় সব বিরোধী দলই সরব ছিল। কিন্তু দুই কক্ষ মিলিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার বক্তব্যে যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী আদানি-প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন তা তার ঔদ্ধত্যের পরিচয়। শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, আদানি গোষ্ঠীর মুখপাত্র ও সেলসম্যান হিসাবে বছরের সেরা পুরস্কারটি প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া উচিত।

Advertisement

বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে মোদির বক্তব্যের সময় স্লোগান তোলায় তা নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বিরোধী সাংসদদের কড়া নিন্দা করেছেন। আদর্শ আচরণের কথা মনে করিয়েছেন তিনি। কিন্ত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে বাজেট নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেসের সাংসদদের বক্তব্যের সময় বিজেপি সাংসদরাও ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান তোলেন। ফলে অধিবেশন মুলতবি করে দিতে হয়।

আন্তর্জাতিক

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস থেকে মিললো মুক্তি, বিশ্বে তোলপাড়

Published

on

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক অসুস্থতা। এ রোগের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। এই রোগ জটিল অবস্থায় পৌঁছালে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। সেই ডায়াবেটিস রুখে দেয়ার লড়াইয়ে আশার আলো দেখিয়েছে একদল চীনা বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসক। বিশ্বে প্রথমবারের মতো, সেল থেরাপি ব্যবহার করে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিকে পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে সফল হয়েছেন তারা।

সাংহাই চ্যাংজেং হাসপাতাল, চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সের অধীনে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন মোলিকিউলার সেল সায়েন্স এবং সাংহাইভিত্তিক রেনজি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং গবেষকরা যৌথভাবে গত ৩০ এপ্রিল সেল ডিসকভারি জার্নাল প্রকাশ করে।

এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, ওষুধ এবং ইনসুলিন ছাড়াই টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে চিরতরে মুক্ত থাকা সম্ভব। তবে এটি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ২৫ বছর ধরে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। তার একটি কিডনি ২০১৭ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। প্রতিদিন একাধিক ইনসুলিন ইনজেকশনের উপর নির্ভরশীল ছিলেন তিনি।

সাংহাই চাংজেং হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় গবেষক ইয়িন হাও জানিয়েছেন, এই রোগীকে ২০২১ সালের জুলাই মাসে ‘উদ্ভাবনী কোষ প্রতিস্থাপন’ (ইনোভেটিভ সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট) সেবা দেয়া হয়েছিলো। প্রতিস্থাপনের ১১ সপ্তাহ পর থেকে ওই ব্যক্তি বাহ্যিকভাবে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেয়ার প্রয়োজন হয়নি।  শুধু তাই নয়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে  মুখে খাওয়ার ওষুধও ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হয়েছিল। এক বছর পরে ওরাল ওষুধও সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলো-আপ পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ওই রোগীর অগ্ন্যাশয় আইলেটের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি ফিরে এসেছে।

Advertisement

এ বিষয়ে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলুলার এবং শারীর বৃত্তীয় বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক টিমোথি কিফার বলেন, ‘আমি মনে করি এই গবেষণাটি ডায়াবেটিসের জন্য সেল থেরাপির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করে’।

১৯৮০-২০১৪ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ কোটি থেকে বেড়ে ৪২ কোটি ছাড়িয়ে যায়। তাদের মধ্যে শতকরা  ৯০ জন  মানুষ টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

টর্নেডো ও ভয়াবহ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

সংগৃহীত ছবি

টর্নেডো ও ভয়াবহ ঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে ড়েছে মার্কিন টেক্সাস, আরকানসাস এবং ওকলাহোমাসহ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্য। এতে অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন।  আগত হয়েছেন আরও অনেকে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় হাসপাতালগুলো।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে’র ২৭ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, টেক্সাস, আরকানসাস এবং ওকলাহোমাসহ মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে টর্নেডো ও তীব্র ঝড় আঘাত হানে। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অঞ্চলগুলোতে উদ্ধার অভিযান চলছে। শনিবার গভীর রাতে শুরু হওয়া ঝড়ের কারণে কয়েক হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলেও প্রতিকেদনে বলঅ হয়েছে।

ডালাসের উত্তরে ভ্যালি ভিউ এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে সাতজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন টেক্সাসে কুক কাউন্টি শেরিফ রে স্যাপিংটন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, বর্তমানে এলাকাটিতে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

ইউএসএ টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট অর্থছাড় সংক্রান্ত একটি ডিক্রি অনুমোদন করেছেন। চারটি কাউন্টিতে যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে তাদের সাহায্য করার জন্য তিনি এই পদতেক্ষপ নিয়েছেন। এ রাজ্যে ঝড়ের কারণে বাড়িঘর এবং একটি গ্যাস স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এ ছাড়া হাইওয়েতে যানবাহন উল্টে গেছে।

দ্য ওয়েদার চ্যানেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে টেক্সাসে কুক কাউন্টি শেরিফ এ ক্ষতিকে ‘বেশ ব্যাপক’ বলে বর্ণনা করেছেন।

Advertisement

এদিকে, শনিবার গভীর রাতে ওকলাহোমার মায়েস কাউন্টিতে টর্নেডোর আঘাতে কমপক্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন মায়েস কাউন্টির জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রধান জনি জানজেন।  এ ছাড়া রোববার(২৬ মে) ভোরে আকস্মিক ঝড়ে আরকানসাসে পাঁচজন মারা গেছেন।

পাওয়ারআউটেজ.ইউএস. ওয়েরাইট অনুযায়ি, ঝড়ের কারণে টেক্সাস থেকে কানসাস, পূর্বে ওহিও এবং কেনটাকি পর্যন্ত বিস্তৃত রাজ্যগুলোতে প্রায় চার লাখ ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। এখনও টর্নেডো সতর্কতা জারি রয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকায়।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

গাজায় হামাসের সাফল্যে ফিলিস্তিন ও লেবাননে উৎসব!

Published

on

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যেই তাদের বেশ কয়েকজন সেনাকে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস যোদ্ধারা আটক করায় আনন্দ ও উল্লাস করছে ফিলিস্তিন ও লেবাননের জনগণ।

ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা পার্স টুডে ও লেবাননের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনা আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিজয় উদযাপনের জন্য রোববার অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও লেবাননের রাস্তায় অসংখ্য মানুষের ঢল নামে। তারা ‘হামাস দীর্ঘজীবী হোক’ বলেও স্লোগান দেন।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছ থেকে রোববার বড় ধরণের দুঃসংবাদ পায় ইসরায়েলি বাহিনী। দুঃসংবাদটি হলো- হামাসের যোদ্ধারা বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করে নিয়ে গেছে।

হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডের ‍মুখপাত্র আবু উবায়দার বরাত দিয়ে রোববার(২৬ মে) ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার উত্তর গাজার জাবালিয়াতে এক সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করে কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। তবে কতজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করা হয়েছে তা উল্লেখ করেনি আবু উবায়দা।

কাসসাম ব্রিগেডের নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপলোড করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, এক ইসরায়েলি সেনাকে আহত অবস্থায় গাজার একটি টানেলের ভেতর  টেনে নিয়ে যাচ্ছে যোদ্ধারা। এ সময় ভিডিওতে বন্দি ইসরায়েলি সেনাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র ও নিরাপত্তাসামগ্রীর ছবি দেখানো হয়।এতে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে তিন সেনাকে আটক করেছে কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা।

Advertisement

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামাস যোদ্ধারা ফাঁদে ফেলে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি  সেনাকে টানেলের ভেতর নিয়ে যায়।  সেখানে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইসারায়েলি সেনাদলের সব সদস্য নিহত, আহত ও বন্দি হয় বলে জানান তিনি।

তবে হামাসের এমন দাবি সম্পূর্ণরুপে অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, সেনা অপহরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে এক হাজার দুইশো জনের বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা ও প্রায় চারশো নাগরিককে আটক করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় ওইদিনই বড় ধরণের অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অব্যাহত অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ৮০ হাজারের বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version