আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

তুরস্কে নিভছে না দাবানল, জীবন বাঁচাতে সৈকতে গবাদিপশু

এক সপ্তাহ পরও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের দাবানল। অন্তত ১৩০টি স্থানে জ্বলছে আগুন। পর্যটন নগরী মারমারিস আর মানগাতাওয়ে আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা কমেনি। দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানগাতাও শহর। আশপাশের আরও কয়েকটি এলাকায় নতুন করে আগুন ছড়ানোয় ঝুঁকি বেড়েছে কয়েকগুণ।

ইরানি গণমাধ্যম পার্স টুডে জানায়, কর্তৃপক্ষ বলছে, ৩৫টি প্রদেশে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে দমকল কর্মীরা। তবে তুরস্কজুড়ে তাপমাত্রা বাড়ায় দাবানল আরও বিস্তারের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার দেশটিতে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ভয়াবহ আগুনে এ পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত আটজন। গুরুতর দগ্ধ হয়েছে ৫শ’ জনের বেশি। দাবানলে চরম ক্ষতির মুখে বন্যপ্রাণীরা।

দাবানল বেড়ে যাওয়ায় গবাদি পশুগুলোকে রক্ষার জন্য সমুদ্র উপকূলে নিয়ে গেছে দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা। এই সমুদ্র সৈকতে সাধারণত পর্যটকরা ভিড় করে।

উপকূলীয় মার্মারিস শহরে দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে দমকলকর্মীরা। ইতোমধ্যে দাবানল নেভাতে সাহায্য করার জন্য দমকলকর্মী পাঠিয়েছে ইরান, আজারবাইজান, রাশিয়া এবং ইউক্রেন। এছাড়াও আগুন নেভানোর কাজে দমকল বাহিনী পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এক সপ্তাহ ধরে দাবানল নেভানোর চেষ্টা করছে তুর্কি এবং বিদেশি দমকলকর্মীরা। তবে গ্রীষ্মের ভয়াবহ উষ্ণতা দাবানল নেভানোর কাজে অনেকটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রাথমিক হিসেবে, দাবানলে এ পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অন্তত এক লাখ ৩৬ হাজার হেক্টর বনভূমি। গেলবারের তুলনায় যা প্রায় তিন গুণ বেশি। মৃত্যু এড়াতে হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দাবানলের ঘটনায় চাপের মুখে পড়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন